June 2022

প্রথম স্তরীয় সেমিনার শুরু হচ্ছে

আনন্দপূর্ণিমা ধর্মচক্র শেষের পর দ্বিতীয় দশার সান্মাষিক সেমিনারের প্রথম ডায়োসিস স্তরশুরু হচ্ছে আগামী ২৪,২৫ ও ২৬শে জুন, ২০২২৷ আগামী ২৪, ২৫, ২৬ প্রথম স্তরীয় সেমিনার  কলকাতা সার্কেলে শিলিগুড়ি আনন্দমার্গস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে৷ এবারের সেমিনারে আলোচনার আধ্যাত্মিক বিষয় থাকছে ইষ্ট ও আদর্শ, জীবন মৃত্যু ও সংস্কার৷ সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয় থাকছে মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য ও অর্থনীতিতে গতিতত্ত্ব৷

পরবর্তী সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে পশ্চিম মেদিনীপুরে মেদিনীপুর শহরের কেরানীটোলা আনন্দমার্গী স্কুলে আগামী ১,২,৩ জুলাই,২০২২৷

ত্রিপুরায় আমরা বাঙালী প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার চলছে

ত্রিপুরা বিধানসভার চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ তিনটি কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী দিয়েছে৷ এই তিন কেন্দ্রেই প্রার্থীদের সমর্থনে কর্মীরা জোর কদমে প্রচারে নেবেছে৷

বিভেদের রাজনীতি ভুলে বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

মনোজ দেব

‘‘মানুষ মানুষ হারায়ে হুঁশ কোথায় চলেছ তুমি

আকাশ সাগর বিষিয়ে দিয়ে নরক করে মর্তভূমি’’৷

আত্মোপলব্ধি

গড়পড়তা ৰৌদ্ধিক মাপের একজন মানুষের কাছে জল ও বরফ দু’টি পৃথক সত্তা কিন্তু যারা সত্য সম্পর্কে অল্পকিছু জানে তারা ৰোঝে জলের ঘনীভূত রূপই বরফ৷ একইভাবে সাধারণ মানের মানুষ যখন একটা পাত্র ও কুম্ভকারের ঙ্মযে পাত্রটি তৈরী করেছেৰ মধ্যে একটা বিরাট পার্থক্য দেখে, ব্রহ্মজ্ঞানী সেখানে দুই–কে একইভাবে দেখে৷ এই যে জগত আর ব্রহ্ম–এ দু’টো কি পৃথক সত্তা না তারা অবিভাজ্য, একটা  সত্য আর অন্যটা কি মিথ্যা? এ দু’টো সত্তার মধ্যে যে পার্থক্য চোখে পড়ে তা কি সত্য না মায়া?–এ ধরনের প্রশ্ণ বা চিন্তা–ভাবনা ব্রহ্মজ্ঞদের মনে কখনও আসে না৷

অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে

শোষণ যখন চরম বিন্দুতে গিয়ে পৌঁছায়, সমাজের গতিশীলতা ও গতিবেগও তখন প্রায় শূন্যাঙ্কে পৌঁছে যায়৷ এমন পরিস্থিতিতে, শোষণের সেই চরমাবস্থায় সমাজের বুকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়৷ ভৌতিক জগতের ক্ষেত্রে এই বিস্ফোরণটা হয় জড়াত্মক, আর মানসিক অধিক্ষেত্রে বিস্ফোরণটা হয় মানসিক বা ভাবাত্মক৷ এ ভাবেই অবস্থাভেদে বিস্ফোরণগুলি ঘটে চলে৷ এই যে মন্দা এটা আসলে সমাজের বুকে শোষণ বা দমন–প্রদমন–ব ফলশ্রুতি৷ সমাজতান্ত্রিক দেশ বা পুঁজিবাদী দেশ উভয় রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক পরিভূতে মন্দা আসতে বাধ্য–কারণ উভয় দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে এক গভীর জড়তা৷

রাজনীতি ও বিভাজন নীতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোসণা হয়েছে. শাসক ও বিরোধী শিবিরেও শুরু হয়েছে বিভাজনের রাজনীতি৷ তিনি একসময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন--- গত বারে রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে মনোনীত করা হয়েছিল, কারণ তিনি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ বলে৷ বাংলায় যাকে বলে ‘নীচু জাতে’র---সিডিউল কাষ্টের মানুষ৷ উদ্দেশ্য কী? আগামী লোকসভা নির্র্বচনে যাতে এই তথাকথিত ‘দলিত শ্রেণীর মানুষের সমর্থন পাওয়া যায়৷ বিজেপি’র নেতারা তাঁদের এই রণকৌশলের কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন৷

শিক্ষাব্যবস্থাটা শিক্ষাবিদদের হাতে থাকাটাই কাম্য আর্থিক দায় সরকারের

প্রভাত খাঁ

ভারতের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হবে দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা৷ কোথাও বলা হয়নি এ কথা যে শাসকগণ এর অধিকার আছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে হাতে নিয়ে যখন যেখানে রাজনৈতিক দলের সরকার আসবে তারা এসেই নিজেদের মতো করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করবে৷ শিক্ষা বিস্তারে তারা উৎসাহ দেবে৷ শিক্ষা থাকবে শিক্ষাবিদদের হাতে আর শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে তার জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার৷ দেখা যাচ্ছে কি কেন্দ্র আর কি রাজ্য শাসনে এসেই অর্থ সাহায্য করে বলে তারা বা শাসকগণ শিক্ষা ব্যবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে৷ ইংরেজ শাসনেও দেখা গেছে এই বৃহত্তর বাংলার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চলতো বেসরকারীভাবে শিক্ষাবি

নুপূর শর্মাদের কুর্কীত্তিটা স্পর্দ্ধার সীমা অতিক্রম করেছে

নিরপেক্ষ

ভারতের সুপ্রাচীনকালে মহান ঋষিগণ মানুষকে ‘অমৃতের সন্তান’’ হিসাবে ঘোষনা করেন৷ সেই মহান ভারতে  তাই সারা পৃথিবীর বিভিন্ন সম্প্রদায় ও ধর্মমতের মানুষরা এসেছে ও স্থায়ীভাবে বসবাস করে ভারতের সন্তান হয়ে গেছে৷ এখানে তাই নানা সম্প্রদায়ের মানুষরা ভারতীয় হিসাবেই যুগ যুগ  ধরে বাস করেছেন ও বাহিরের বিদেশী শক্তি যেমন পাঠান, মোগল ও ইংরেজরা এদেশের মানুষদের রাজশক্তির অধিকারী হয়ে শাসন করেছে আর তারা মিলে মিশে এক হয়ে গেছে৷ সাম্প্রদায়িকতাটা কিন্তু এদেশের মাটিতে তেমন গুরুত্ব পায়নি৷ আর যারা বাহির থেকে এদেশে এসেছে তাদের অনেকেই এদেশের মেয়েদের  বিবাহ করে তারা এদেশেরই স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে ভারতীয় হয়ে গেছে৷ বাহিরের শাসকদের

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন

তপোময় বিশ্বাস 

অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে পড়ুয়াদের বেশ কিছু আন্দোলন চোখে পড়ছে৷  রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়  কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন  বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন মোডে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণার পর থেকেই অফলাইন বাতিল করে অনলাইন পরীক্ষার দাবীতে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করা শুরু হয়েছে৷ গত ২০ মে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অফলাইন পরীক্ষার কথা সুপারিশ করার পরের দিনই শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস গেটের বাইরে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী৷