June 2022

রাজ্যে অসমিয়া বাঙালী বিভাজনে মদত দেওয়া হচ্ছে

সাধন পুরকায়স্থ

সম্প্রতি রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে হোজাইয়ের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্জিত বিতর্ক তৈরি করে রাজ্যে অসমিয়া বাঙালি বিভাজনে মদত দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ‘আমরা বাঙালী’ অসম, রাজ্যসচিব সাধনপুরকায়স্থ

বিশ্বকবির নামাঙ্কিত হোজাইয়ের রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে অধ্যক্ষ কর্তৃক একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানেরই একাংশ আপত্তি তুলেছেন ও এটিকে অসমিয়া ভাষার উপর আগ্রাসন প্রতিপন্ন করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন৷ এনিয়ে  এবার তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করলেন সাধন পুরকায়স্থ৷

আমরা বাঙালী জেলা সম্মেলন

গত ১২ই জুন পুরুলিয়া রাঢ় ভবনে ‘‘আমরা বাঙালী’’ পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংঘটন সচিব জয়ন্ত দাস ও ছাত্র-যুব নেতা তপোময় বিশ্বাস, রাঢ় সংঘটন সচিব সুনীল মাহাত৷ সম্মেলন ২০ জুনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরী হয়৷ জেলা সচিব হলেন মানস রায়৷

আমরা বাঙালীর স্মারকলিপি

রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগে ১০০ ভাগ বাঙালী নিয়োগের দাবীতে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে সল্টলেক আরক্ষ ভবনে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷  উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, তপোময় বিশ্বাস প্রমুখ৷

বঙ্গে বাড়ছে করোনা

করোনার চতুর্থ ঢেউ কি আসন্ন!  গত দুদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির হার সেই আশঙ্কাই করাচ্ছে৷ গত ১৪ই জুন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছিল ১৩৫ জন৷ কিন্তু ১৫ই জুন আক্রান্তের হার প্রায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২৩০জন আক্রান্ত৷ এর মধ্যে কোলকাতাতেই আক্রান্ত ১০৫ জন৷ উত্তর ২৪ পরগণায় ৬৮জন দক্ষিণ ২৪ পরগণায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩জন হাওড়ায় ৮ ও হুগলীতে ৫ জন৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা বঙ্গে করোনার প্রত্যাবর্তন শুরু হয়ে গেছে৷ তাঁদের অভিমত অবিলম্বে করোনা বিধি মেনে চলার ওপর জোর দিতে পথে ঘাটে মাস্ক পরা মানুষ চোখেই পড়ে না৷ এই পরিস্থিতি চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা তৈরী করছে৷

আমাশয়

লক্ষণ ও কারণ ঃ পাচক রসের ত্রুটি নিবন্ধন মল কাঠিন্য প্রাপ্ত হলে তা যথাবিহিত ভাবে নিঃসারিত হতে চায় না৷ মলের সেই কাঠিন্যকে বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য৷ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কোষ্ঠকে পরিষ্কার করবার জন্যে প্রাকৃতিক নিয়মে উদরে এক প্রকার হড়হড়ে বস্তু (gelatinous substance) তৈরী হয়ে যায়৷ এই হড়হড়ে বস্তুকে সংস্কৃত ও বাংলায় ‘আম’ বলা হয়৷ হিন্দীতে ‘আঁব’ (আঁও) বলে৷ এই ‘আম’ একটি তৎসম শব্দ যার ভাবারূঢ়ার্থ হ’ল কাঁচা জিনিস৷ যেমন ‘আম–মাংস’ মানে কাঁচা মাংস৷ অতিরিক্ত কাঁচা ফল খেলে (কাঁচা মানে না–রাঁধা), অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য আনতে পারে এমন জিনিস খেলে (যেমন চিঁড়ে, যবের মণ্ড, ঘি কম ব্যবহার করে আতপ চাল, অতি মাত্রায় পুঁই শাক)

শশা

কিডনী ও লিবারের রোগে ঃ বর্ষাতী ও শীতের শশা–এই উভয় শশারই ঔষধীয় ও স্বাস্থ্যগত মূল্য আছে৷ কিডনী ও লিবারের ওপরে এর শুভ প্রভাবই রয়েছে৷ তবে অতি মাত্রায় খেলে সব কিছুই খারাপ৷ বর্ষাতী শশা সরস, মিষ্ট রস–যুক্ত, কষা ভাব অল্প–তাই মুড়ি ও চিড়ে ভাজার সঙ্গে অত্যন্ত মুখরোচক৷ জলখাবার হিসেবে চিঁড়ে ভাজার সঙ্গে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল৷ মুড়ির সঙ্গে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়৷ বর্ষাতী শশার সঙ্গে মুড়ির কোন দোষ নেই, অথচ স্বাদেও ভাল৷

ভাবজড়তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম

ধর্মমতের উপর ভিত্তি ক’রে তৈরী হয়েছে পাপ–পুণ্যের খসড়া, তৈরী হয়েছে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন দণ্ডসংহিতা ও শাস্ত্র৷ নিজেদের কায়েমী স্বার্থের দুরভিসন্ধিতে সেই সব শাস্ত্রকে অপৌরুষেয় বলে প্রচার করা হয়েছে৷ তাই মানুষের থেকে তথাকথিত শাস্ত্র বর্ণিত দেববাণীর দাম অনেক বেশী৷ মানুষ সেই বাণীর, সেই ব্যবস্থার অবমাননা বা বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে পেতে হবে কঠোর শাস্তি৷ বিজাতীয় মানুষকে স্পর্শ করা মহাপাপ৷ সমাজ থেকে তাকে হ’তে হবে বিতাড়িত সেই পাপের জন্যে৷ শাস্ত্রমতে হয়তো প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে, সে প্রায়শ্চিত্ত কখনও কখনও তার প্রাণহানিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ কেউ যদি এই কঠোর শাস্তি থেকে একটু শৈথিল্য প্রার্থনা করে, সমাজগুরুরা তা

হে প্রিয়তম

কৌশিক খাটুয়া

তুমি স্রষ্টা, প্রতিপালক,

তুমি পরিত্রাতা,

তোমার চরণে শতকোটি নমি, তুমি পরমপিতা৷

তব কৃপায় তোমাকে জেনেছি,

সারাৎসার তোমাকে মেনেছি

সর্বদা সাথে তাও বুঝেছি

যুগ যুগ ধরে শুধু তোমা তরে

চাপা আছে ব্যাকুলতা৷

 

যে কথাটি আজও হয়নি ব্যক্ত

সে কথা কি তবে অশ্রুসিক্তা!

সব খানে নয় অভিব্যক্ত

তাই প্রকাশের আকুলতা৷

 

ছোট ছোট কথা ছোট ছোট ভাব

অঞ্জলী দিয়ে গড়ি সদ্ভাব,

সৃষ্টির মাঝে তব আবির্ভাব

নানারূপে রঙে তোমারই আভাস৷

 

বিপদে সম্পদে আছ পাশে পাশে,

এক নূতন দেশে

সুকুমার রায়

পথের হদিস কেউ জানে না, কেউ বুঝে না

বিষয়েতে মন মজেছে,কিছুই শুনে না

জীবনতরী আঁধারে ভাসে  সুখের কথায়

সল্পে সল্পে দিন গেল, কার যে আশায়,

আপন পরের হিসাব, আর কদিন হবে

সারছাড়া অসারে মজে মাথার ভবে

সময় হলে যেতেই হবে এক নূতন দেশে

মনের কোনে পড়বে সাড়া,যার সন্দেশে

সেই দেশেতে যেতে মানা,এই মাটির দেহায়

এবার অন্ধ মন ছাড়বে তরী, কোন দিশায়৷

প্রিয়তম মম

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

অবধারিত মৃত্যুর হাত থেকে

বাঁচিয়েছো কত দিন,

নাবিয়েছো বিপর্যয়মুখী বাস হতে

কৈশোরে জীবনে,

তুলেছো টানি---বিক্ষত মনের আবর্জনা থেকে

আলো আঁধারি পথে,

মৃত্যুমুখে হারায়েছি চেতনা যবে

যুগিয়েছো তুমি বল,

থেকেছো সাথে সব দিন  ঘেরিয়া মোরে

ভুলি সে কেমনে?

নূপুর নিক্কনে কুসুম কাননে

এসেছো কাছে মম,

ঘাত প্রতিঘাতে গড়েছো মোরে সে জানি

তাই এত ভালবাসাবাসি প্রিয়তম!