May 2023

নবরায় নগরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৭ই এপ্রিল,২০২৩ নদীয়া জেলার নবরায়নগরে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শিপ্রা সরকারের বাসগৃহে শতাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মানবমুক্তির মহামন্ত্র ৰাৰা নাম কেবলম্‌ অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের পর আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন আনন্দমার্গের প্রবীন সন্ন্যাসী আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নদীয়ার ভুক্তিপ্রধান  জেনারেল ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস৷

কৃষ্ণনগরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ১৬ই এপ্রিল ২০২৩ বাংলার নববর্ষ উপলক্ষ্যে সন্ধ্যে ৬টা থেকে বিদ্যালয়ের কর্ত্তৃপক্ষের উদ্যোগে ছাত্র-ছাত্রা ও অতিথি শিল্পীদের নিয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি কাউন্সিলর স্থানীয় শ্রীমতি সুমিতা বিশ্বাস  ও নদীয়া ভুক্তিপ্রধান জেনারেল ডাঃ বৃন্দাবন বিশ্বাস, গোরাচাঁদ দত্ত উপস্থিত ছিলেন৷

নারায়ণ সেবা

২৯শে এপ্রিল,২০২৩, সেবাদল মহিলা বিভাগের পক্ষ থেকে নারায়ণ সেবা করা হয় কলকাতা ভুক্তির পঞ্চান্ন গ্রাম আবাহনী ক্লাব -এর সামনে

ভারতীয় সমাজের নারীর অবদান

অদিতি দত্ত বাগ

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

১৫) শাশ্বতী অঙ্গিরাশি ঃ শাশ্বতী অঙ্গিরাশি ঋষি অঙ্গিরাশ এর কন্যা ছিলেন এবং এই ঋষিকা ঋক্‌বেদের ৮.১.৩৪ নং সূক্তোটির রচয়িতা,

১৬) রাত্রি ভরদ্বাজী ঃ রাত্রি ভরদ্বাজী ঋষি ভরদ্বাজ এর কন্যা ছিলেন ইনি ঋক্‌বেদের ১০.১২৭ নং সূক্তোটি রচনা করেন৷

১৭) সিকত নিভাবরী ঃ - সিকত নিভাবরী ঋষি নিভাবরের কন্যা ছিলেন তিনি ঋক্‌বেদের ৯.৮৬.১১-২০ নং সূক্তোটি রচনা করেন৷

১৮) সূর্য্য সাবিত্রী ঃ --- সূর্য্য সাবিত্রী সবিতার কন্যা, ইনি ঋক্‌বেদের ১০.৮৫ নং সূক্তোটির রচয়িতা৷

১৯) ঊবর্বশী ঃ ঊবর্বশী ছিলেন পুরুরবার পত্নী তিনি ঋকবেদের ১০.৯৮ নং সূক্তোটির রচয়িতা৷

গাছ/বৃক্ষ, খায়া, কমলা/নারাঙ্গী প্রভৃতি প্রসঙ্গে

অনেকে মনে করে থাকেন যে, ‘গ্রৎস’ শব্দটি থেকে ‘গাছ’ কথাটি এসেছে আর ‘গ্রৎস’ মানে হচ্ছে, চলা যার স্বভাব৷ কিন্তু এ ধরনের মানে নেওয়া চলে না, কারণ গাছ কি কখনও চলাফেরা করে? এটি এক ধরনের বিপরীত অলঙ্কার হয়ে গেল৷ এ যেন সেই হাতে মল, পায়ে চুড়ি, কাণে নাকছাবি৷ এ প্রসঙ্গে কবীরের একটি উক্তির কথা মনে পড়ছে৷ সেখানে উল্টো কথা বলা হয়েছে৷ তবে তা’ আসলে উল্টো নয়–

‘‘চলতী কো সব গাড়ী কহে, জ্বলতী দুষকো খোয়া,

রঙ্গীকো নারঙ্গী কহে, যহ্ কবীর কা দোঁহা৷৷’’

মাতৃসমা

 

শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

বাংলাভাষায় শুধু ‘ণ’ (নঁ) নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও চন্দ্রৰিন্দুর ব্যবহার খুবই সীমিত তথা পরিমিত৷ জনসাধারণের মধ্যে চন্দ্রৰিন্দুর ব্যবহার কম থাকায় মানুষের থেকে ভূতের তফাৎ ৰোঝাবার জন্যে ভূতের মুখে বেশী চন্দ্রৰিন্দুযুক্ত ভাষা ব্যৰহার করা হয়৷ তফাৎ ৰোঝাবার জন্যে এত বেশী চন্দ্রৰিন্দুর ব্যবহার করা হয় যা অস্বাভাবিক......যা ঠিক ফরাসী ভাষায় উল্টো৷ ফরাসী ভাষায় চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহারে অতি প্রাবল্য৷

জনমদিন

সুপর্ণা মজুমদার

আইজ হামার বাপের

জনমদিন আছে বটে৷

আরে তুই জালিস লাই কোন বাপের?

হামার অন্তর্যামী বাপের৷

যে বাপের লামে সূরয উঠে,

পূর্ণিমার একফালি চাঁদটু দেখি,

যে বাপের লামে আনধার আকাশে

তারা ঝিঁকিমিকি করে লো৷

খোলা আকাশে পাখি কলকল করে,

মিরদু বাতাস বয়৷

জগতের দিন রাইত হয়৷ সেই বাপের৷

এই জগৎ সংসারটু হামার

বাপের লামেই চলে রে৷

কালো আনধারে ডুবে যায় রাইত...

রাইতের পরভাত হইলে সূরযের

মাঝখানটুতে হামার বাপরে দেইখতে পাবেক

হামার অন্তর্যামী বাপ এক লতুন

সমাজের সপন দিখাইনছে৷

তোমার আবির্ভাব দিনে

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

আঁধারের বুক চিরে তুমি এলে

জাগল রং পূবাকাশে,

তরুশাখে  বিহগ গাহে গীতি

হাসল নদীর জল রঙে রঙে

ফুটল কুসুম পাহাড়ী বনে৷

বাজল সবে আবাহনী তান...

হ’ল আলোক স্নান জীবনে,

নেচে উঠল প্রাণ সর্বত্র,ত্থত্ব

সঞ্জীবিত হল  এ ধরা

বাড়ল  শোভাতব আগমনে৷

আলোক উজ্জ্বল রথে তুমি এলে

সরে গেল আঁধারি কালো

হ’ল ভাস্বর এ চরাচর,

বিস্তারিলে তুমি প্রাণ,

রঞ্জিত হ’ল ধরা,

হাসলে তুমি আড়ালে, আনমনে৷