May 2023

দুগ্ধ (দুধ)

মানুষ গোরুর সংস্পর্শে আসার প্রায় সে৷ সে৷ দুধের গুণ জেনে ছিলঙ্গ একটি খাদ্যে যদি সর্বাধিক খাদ্য গুণের দরকার হয় তবে তা দুধেই পাওয়া যাবেঙ্গ আর গোরুর দুধের পরে মানুষ মোষের দুধের সংস্পর্শে এলঙ্গ উটের,, ভেড়ার সংস্পর্শে এসে সবাইকার দুধ খেয়ে মানুষ ৰুঝল যে গোরুর দুধে যে গুণ আছে, মোষের দুধেও তা আছে–আছে হয়ত বা বেশী পরিমাণেঙ্গ স্নেহজাতীয় পদার্থ মোষের দুধেই সোয়া গুণ থেকে দেড় গুণ বেশী থাকেঙ্গ এই জন্যে মোষের দুধ ষোলো থেকে চল্লিশ বছরের মানুষের পক্ষে ঠিক, তার কম বা বেশী বয়সের মানুষের পক্ষে ঠিক নয়ঙ্গ বিহারের যেখানে মোষের দুধ বেশী পরিমাণে পাওয়া যায়, সেখানেও শিশুকে ও ৰৃদ্ধকে গোরুর দুধ খাওয়ানো হয়ঙ্গ ভেড়ার দুধে স

সুস্থ শরীর সুস্থমন নেশামুক্ত আদর্শ জীবন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ৷ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে৷ ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা৷ এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....৷

ঊণিশের আহ্বান

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

এসো সদা সচেতন বাংলা ভাষী যত নরনারী

আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা বাঙলা মায়ের সন্তান

হাতে রাখো হাত, মান-অভিমান ছাড়ি,

ওই শোন, অমর ঊণিশের দৃপ্ত আহ্বান

বাঁচাতে বাঙালীর মর্যাদা, বাংলা ভাষার সম্মান৷

বেইমান, শয়তান, হীনচক্রী হেনেছে আঘাত

বাঙলার বুকে, ঐতিহ্য-সংস্কৃতি দিয়েছে নির্বাসন

ঢাকা-শিলচরে বাঙালীর গর্বিত প্রতিবাদ

পুলিশ-দুর্বৃত্তের গুলিবর্ষণে সঁপেছে জীবন

বাঁচাতে বাঙালীর মর্যাদা, বাংলা ভাষার সম্মান৷

ঢাকার একুশে ফেব্রুয়ারী, শিলচরের ঊণিশে মে

বঙ্গভাষা-সংগ্রামের ইতিহাস মিলে-মিশে একাকার

তোমার আবির্ভাব দিনে

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

আঁধারের বুক চিরে তুমি এলে

জাগল রং পূবাকাশে,

তরুশাখে  বিহগ গাহে গীতি

হাসল নদীর জল রঙে রঙে

ফুটল কুসুম পাহাড়ী বনে৷

বাজল সবে আবাহনী তান...

হ’ল আলোক স্নান জীবনে,

নেচে উঠল প্রাণ সর্বত্র,

সঞ্জীবিত হল  এ ধরা

বাড়ল  শোভাতব আগমনে৷

আলোক উজ্জ্বল রথে তুমি এলে

সরে গেল আঁধারি কালো

হ’ল ভাস্বর এ চরাচর,

বিস্তারিলে তুমি প্রাণ,

রঞ্জিত হ’ল ধরা,

হাসলে তুমি আড়ালে, আনমনে৷

ডেণ্টিষ্টের দোকানে

যোগারূঢ়ার্থে ‘গঙ্গাক্ষেত্র’ বলতে সেই স্থানকে বোঝায় যে স্থান থেকে পদব্রজে এক অহোরাত্রের মধ্যে গঙ্গাতীরে পৌঁছানো যায়৷ বৌদ্ধোত্তর যুগে ভারতে যখন গঙ্গামহিমা প্রবল, অন্যান্য দেব–দেবীর মত গঙ্গাও একটি প্রতিপত্তিশালিনী দেবী, সেই সময় মানুষের গঙ্গাক্ষেত্রে বসবাস করাকে শ্লাঘার জিনিস বলে মনে করত৷ তাদের মনে একটা নিশ্চিততা থাকত যে মৃত্যুর পরে তাদের চিতাভস্ম গঙ্গানীরে একীভূত হয়ে থাকবে৷ সেই সময় একটা অলিখিত নিয়ম তৈরী হয়েছিল যে যারা গঙ্গাক্ষেত্রের অধিবাসী তাদের মধ্যে যারা সঙ্গতিসম্পন্ন তাদের দাহক্রিয়া গঙ্গাতীরে হবে ও তাদের চিতাভস্ম কলসোৎক্রান্ত জলে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হবে৷ অস্থি হরিদ্বারে, প্রয়াগ সঙ্গমে বা গ

বাঙলার মিডিল অর্ডারের ভরসা অনুষ্টুপ

এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিনি ছিলেন তৃতীয় স্থানে৷ ১৫টি ইনিংস খেলে ৮৬৭ রান করেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার৷তিনটি শতরান ও চারটি অর্ধশতরান করেছিলেন৷ বাঙলার  মিডল অর্ডারের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি৷ ৩৯ বছরের অনুষ্টুপ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন ২০০৪ সাল থেকে৷ প্রায় ২০ বছর বাঙলার হয়ে ব্যাট করছেন তিনি৷ আই.পিএলেও কলকাতা নাইট রাইডারসের হয়ে দু বছর খেলেছেন তিনি৷  ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে নাইট সংসারে থাকলেও ম্যাচ খেলা হয়নি৷ ২০১২ সালে পুণে ওয়ারিয়র্সের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন সেই সময় সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷

বাঙলায় দাবা খেলা নিয়ে শুরু নতুন পদক্ষেপ

রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আরও দাবাডু তুলে আনার জন্য একটি নতুন প্রতিযোগিতা শুরু হতে চলেছে৷ তার নাম ‘প্রিমিয়ার চেস লিগ-বেঙ্গল চ্যাপ্ঢার৷’ বাঙলায় এই প্রথম এমন ধরণের কোনও প্রতিযোগিতার আয়োজন হতে চলেছে৷

সারা বাঙলা দাবা সংস্থা ও ইভেন্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড নামের এক সংস্থা মিলে এই প্রতিযোগিতা শুরু করতে চলেছে৷ ১০ জুন থেকে শুরু এই প্রতিযোগিতা৷ তার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে৷ তার চেয়ারম্যান হয়েছে বাঙলার প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়কে৷

আপ্তবাক্য

‘আমি দরিদ্রের প্রতি বৈশ্যের কৃপা-কণার কথা বলছি নে’---ৰলছি তাদের কথা যারা ভাৰত ধনীর ধন লুন্ঠন করে দরিদ্রের মধ্যে বন্টন করা একটা পুণ্যকর্ম৷ সে যুগের  সে রবিন হুডেরা ভাবত, হয়ত এইভাবেই সামাজিক অসাম্য দূরীভূত হবে, কিন্তু তা’ হৰার  নয়, তাই তা হয়নি৷ পৃথিবীর কমবেশী প্রতিটি দেশেই এই জাতীয় রৰিনহুডের অভ্যুদ্বয় হতে দেখেছি৷ কিন্তু  এতে সমস্যার সমাধান হয় না৷ তার কারণ দানে কেউ ৰাঁচে না তাতে একটা ভিক্ষাজীবীর সমাজ তৈরী হয় বটে, কিন্তু সেই লোভী, জড় অকর্মণ্য সমাজ ভবিষ্যতে অধিকতর দারিদ্র্যের সূচনা করে দেয়৷’’

                                               (কঃপ্রাঃ ১মখণ্ড) প্রভাতরঞ্জন সরকার

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

* মিথ্যা ও প্রবঞ্চনার  বেশি অধর্ম আর নেই৷ মিথ্যাবাদী যদি কখনো সত্যও বলে, তাহলেও কেউ তা বিশ্বাস করে না৷ আবার একটি মিথ্যাকে বজায় রাখতে আরও মিথ্যা দিয়ে তা সাজাতে হয়৷ এর বেশি প্রবঞ্চনা আর কী আছে৷

*এই জগতে বিদ্যমান প্রতিটি বস্তু পৃথক পৃথকভাবে কয়েকটি কারণ, পরম্পরা ও নিয়মের অনুবর্তী৷ এমনকি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সেই কারণ,  পরম্পরা ও নিয়মগুলি গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখা যায়, যে প্রতিটি অস্তিত্ব একটি অখণ্ড পরিকল্পনায় বাঁধা৷    ---রামমোহন রায়

সদ্‌গুরুর দুর্লভ সান্নিধ্যে সাধক কমলাকান্তের মুক্তিলাভ

গত ১৯শে মে জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে বাঁকুড়া জেলার পাত্র সায়ের ব্লকে বেতুল গ্রামের শ্মশানে সাধক কমলাকান্তের সমাধি লাভের দিনটি প্রভাতসঙ্গীত, ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও তারপর দিনটির ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য সম্বন্ধে আলোচনা করে আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷