May 2023

বাঙালীস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘আমরা বাঙালী’র বাংলা ভাষা শহীদ দিবস পালন

গত ১৯শে মে বরাকের একাদশ বাংলা ভাষা শহীদদের স্মরণসভা প্রতিবারের মতো এবারও সারা বাঙালীস্তান জুড়ে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন আয়োজন করে৷ বারাসাত, নবব্যারাকপুর,কাকিনাড়া, নৈহাটি, মেদিনীপুর ত্রিপুরা, অসম সহ বাঙালীস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে ‘বাংলাভাষা শহীদ দিবস’ পালন করা হয়৷ কেন্দ্রীয়ভাবে শ্যামবাজার মেট্রোর সামনে ‘আমরা বাঙালী’র জমায়েত ও শহীদ স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, যুব সচিব তপোময় বিশ্বাস, হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, বাপি পাল, অরূপ মজুমদার, মোহন অধিকারী সহ বিভিন্ন বক্তগণ৷ জ্যোতিবিকাশ সিনহা বলেন--- বাঙলা জুড়ে যে হিন্দী আগ্রাসন চলছে, অবিলম্বে তা আগ্রাসনক

সভ্যতার আদিবিন্দু রাঢ়ের কেন্দ্রবিন্দু আনন্দনগর

প্রভাত খাঁ

পশ্চিম বাঙলায় পুরুলিয়া জেলা নোতুন করে অন্তর্ভূক্তির আগে বিহারের ছোটনাগপুর ডিভিশনের অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ পুরুলিয়ার পূর্ব নাম ছিল মানভূম৷ মানভূমের সদর মহকুমা ছিল পুরুলিয়া বা পুরুল্যে৷ ১৯৫৬ সালে এই জেলা ঘটিত হয়৷ খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে জৈন ধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর মহাবীর এখানে এসেছিলেন৷ এটি বজ্রভূমির অন্তর্ভূক্ত ছিল৷ কুর্মি, ভূমিজ, বাউরি, কোবা, মাহালি, মুণ্ডা এই স্থানের আদিবাসী পরে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী এই জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় এসে বাস করে৷ ধীরে ধীরে তারা এই এলাকার মানুষ হয়ে যায়৷ পুরুলিয়ায় বা পারুল্লা (পুরুল্যে) এর আদি অর্থ হ’ল পাথুরে ডাঙ্গার মধ্যে অবস্থিত  গ্রাম৷ আর মুণ্ডা বা মোড়ল হ’ল গ্রামের কর্তা৷ মান

অয়মারম্ভঃ শুভায় ভবতু

(১৯৮০ সালের ১লা জানুয়ারী ‘আন্তর্জাতিক নববর্ষ’ উপলক্ষ্যে প্রদত্ত প্রবচন৷)

এই বিশ্বৰ্রহ্মাণ্ডে যা কিছু আছে সবই দেশ–কাল–পাত্রে আধৃত৷ কাল জিনিসটা কী? –না, কাল হচ্ছে ক্রিয়ার গতিশীলতার ওপর মানসিক পরিমাপ (Mental measurement of motivity of action)৷ দেশ আছে–সে চক্রাকারে বিবর্তিত হয়ে চলেছে৷ সেই বিবর্তনকে মেপে চলেছে মন৷ সেই মাপাটার নাম কাল৷ ব্যাপকভাবে এই কালকে বলব মহাকাল আর তার খণ্ডগত হিসেবকে বলব কাল৷ দেশগত বিবর্ত্তন না থাকলে কাল থাকে না৷ অর্থাৎ দেশ–পাত্র রহিত কাল হয় না৷

পশ্চাৎপদ শ্রেণীর উন্নয়ন

বিশ্বের বিভিন্ন পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করা আমাদের আশু কর্ত্তব্য৷ যেহেতু বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন সামাজিক–র্অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন পূর্ত্তির প্রতি ও সামগ্রিকভাবে সমাজের উন্নতির প্রতি নজর না দিয়ে সমাজের এক বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে’ চলেছে, সেইজন্যেই পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক অবদমনের শিকার হচ্ছে৷

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা  চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই  বিভিন্ন ভাবে কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার দরিদ্র্য জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের নামে নানান পাঁয়তারা কষছেন, নানা ধরণের চমক দিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজও গরীব জনসাধারণের দুর্দশার অন্ত নেই৷ আসলে পুঁজিবাদ বা মার্কসবাদ–এদের কোনটাই দরিদ্র্য মানুষের যথাযথ কল্যাণ করতে পারবে না৷ প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প৷  প্রাউটের অর্থনীতির গোড়ার কথা হ’ল, বিশ্বের প্রতিটি মানুষের নূ্যনতম চাহিদা পূরণকে সুনিশ্চিত করা ও উত্তরোত্তর তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা৷ যাতে করে দেশ–কাল–পাত্রের পরিবর্ত্তনের সঙ্গে তা সঙ্গতিপূর্ণ হয় তার

দর্শনের বাস্তবতা ও বিভ্রম

খগেন্দ্রচন্দ্র দাস

আইন আদালতে একটি শব্দবন্ধ প্রায়শই ব্যবহার হয়---‘‘দৃষ্টত’’Prima facie)৷ অর্থাৎ যে কোন ঘটনা  চুরি, ডাকাতি, দুর্ঘটনা ইত্যাদি প্রত্যক্ষ করে প্রাথমিকভাবে যে ধারণা গড়ে ওঠে তাকেই বলা হয় প্রাইমাফেসি৷ এই ‘প্রাইমাফেসি’ প্রায়শই পরবর্তী সময়ে ধোপে টেকে না৷ যেমন ধরুন বাজার থেকে ফল বা শব্জি কেনার সময় কোন কোন ফল বা শব্জির গায়ে পচনের দাগ দেখতে পাওয়া যায়৷  আমরা ও নিয়ে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করি না, পচা অংশটুকু কেটে বাদ দিয়ে খেয়ে নিই৷ আসলে কিন্তু পচন সবটুকুতেই ধরেছে অধিকতর পচা অংশটুকু দেখা যাচ্ছে মাত্র বাস্তবে কিন্তু পচনের বৃহৎ অংশ রয়ে গেছে আমাদের দৃষ্টির অগোচরে৷ অথবা ধরা যাক, দুটো রেলগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ যা দেখে 

নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়েই রিকশা চালানো

গত পাঁচ বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন বাংলাদেশের এক ব্যক্তি৷ তার নাম সেন্টু৷ কিন্তু কি করবেন পেটের জ্বালায় সংসার খরচ ও তাঁর যাবতীয় খরচের জোগান দিতে হাতে তুলে নিয়েছেন রিকশার স্টিয়ারিং৷ বাংলাদেশের রাজশাহীর রাস্তায় রিকশা চালান তিনি৷ ফুসফুসের সমস্যা অক্সিজেন না পেলে হয়তো মৃত্যুও হতে পারে তাই অক্সিজেনের সিলিন্ডার অটোর পাশে রেখে নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে  তিনি দিনের পর দিন রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন তিনি৷ পুরো নাম মাইনুজ্জামান ওরফে সেন্টু৷ বাংলাদেশের রাজশাহী নগরের কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা তিনি৷ তার দুই কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে৷ সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ ফলে স

কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে সৌরশক্তির সাহায্যে তরল জ্বালানি---বাঙালী বিজ্ঞানীর বিকল্পপথ

বিশ্ব উষ্ণায়ন কম করতে একমাত্র ভরসা গাছের পাতা৷ কারণ গাছের পাতা কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে অক্সিজেন দেয়৷ সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে সৌরশক্তির সাহায্যে তরল জ্বালানি তৈরির দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি বিজ্ঞানী৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মারি কুরি ফেলো’, বর্ধমানের  কালনার বাসিন্দা৷ মতিয়ার রহমানের  সেই গবেষণাপত্র বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকার সাব জার্র্নল ‘নেচার এনাজি’-তে৷

আমেরিকার পুলিশের উচ্চপদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত -প্রতিমা

নিউইয়র্ক পুলিশের ক্যাপ্ঢেন পদে পদোন্নতি পেলেন প্রতিমা ভুল্লার মাসডোনাদো৷ দক্ষিণ এশিয়ার মহিলাদের মধ্যেই তিনি প্রথম, যিনি নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি)-এর উচ্চপদে আসীন হলেন৷ প্রতিমার জন্ম পঞ্জাবে৷ ৯ বছর বয়সে তিনি নিউইয়র্ক চলে আসেন৷ তারপর থেকে নিউইয়র্কেরই বাসিন্দা তিনি৷

আম/আঁৰ

ফলশাক বলতে বোঝায় যে গাছে ফুলের পর ফল আসে৷ কাঁচা–পাকা যে কোন রকমের ফল শরীরের পক্ষে ভাল৷ কারণ ফল নিজের রসে জীর্ণ হয়–হজমের জন্যে যকৃতের সাহায্য বেশী নিতে হয় না৷ অথচ ফল শক্তির যোগান দেয় যথেষ্ট৷