মানুষ গোরুর সংস্পর্শে আসার প্রায় সে৷ সে৷ দুধের গুণ জেনে ছিলঙ্গ একটি খাদ্যে যদি সর্বাধিক খাদ্য গুণের দরকার হয় তবে তা দুধেই পাওয়া যাবেঙ্গ আর গোরুর দুধের পরে মানুষ মোষের দুধের সংস্পর্শে এলঙ্গ উটের,, ভেড়ার সংস্পর্শে এসে সবাইকার দুধ খেয়ে মানুষ ৰুঝল যে গোরুর দুধে যে গুণ আছে, মোষের দুধেও তা আছে–আছে হয়ত বা বেশী পরিমাণেঙ্গ স্নেহজাতীয় পদার্থ মোষের দুধেই সোয়া গুণ থেকে দেড় গুণ বেশী থাকেঙ্গ এই জন্যে মোষের দুধ ষোলো থেকে চল্লিশ বছরের মানুষের পক্ষে ঠিক, তার কম বা বেশী বয়সের মানুষের পক্ষে ঠিক নয়ঙ্গ বিহারের যেখানে মোষের দুধ বেশী পরিমাণে পাওয়া যায়, সেখানেও শিশুকে ও ৰৃদ্ধকে গোরুর দুধ খাওয়ানো হয়ঙ্গ ভেড়ার দুধে স্নেহ জাতীয় পদার্থ কমঙ্গ তাই পুষ্টিতে ষোলো আনা সাহায্য করে নাঙ্গ উটের দুধে, ছাগলের দুধে স্নেহ জাতীয় পদার্থ নেই বললেই চলেঙ্গ তাই তাতে পুষ্টিও খুবই কমঙ্গ গাধীর দুধ প্রায় মানুষের দুধের সমান ৰলে গণ্য করা হয়ঙ্গ তাই মাতৃহারা কচি শিশুর পক্ষে গাধীর দুধ উপযুক্ত হলেও দু’বছরের বেশী বয়সের শিশুর পক্ষে গাধীর দুধ কম পুষ্টিকরঙ্গ মাহিষ ঘৃত (ভইসা) বেশী পরিমাণ খেলে, পেট খারাপ বা আমাশয় হবার সম্ভাবনা থাকেঙ্গ কিন্তু গোরুর দুধের ঘি সাধারণতঃ ক্ষতি করে নাঙ্গ তাই আতপ চালের নিয়মিত ব্যবহারে যে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে তার হাত থেকে বাঁচবার জন্যে প্রাচীনকালে আতপ ভক্ষণকারীরা আতপ ওদনের (আতপ চাল) সে৷ গাওয়া ঘি ভক্ষণ করতেনঙ্গ দুগ্ধে বিশেষ করে গোদুগ্ধে এই প্রাণশক্তি জোগানোর সামর্থ্য আছে ৰলে ও তৎসহ রোগ নিরাময়ের গুণ থাকায় তার একটি নাম ‘গদাহ্ব’ঙ্গ
(শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘দ্রব্যগুণে রোগারোগ্য’ থেকে গৃহীত)