June 2023

কেন্দ্রীত অর্থনীতির অস্বাস্থ্যকর প্রভাবে রাজনৈতিক সংঘাতের পরিবেশ তৈরী হয়েছে

গত ১৪ই জুন কলকাতায় নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের উদ্যোগে এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই আলোচনাচক্রে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত বলেন,বাঙলায় রাজনৈতিক সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার কারণ,কেন্দ্রীত অর্থনীতি৷ তিনি বলেন, দেশীয় পুঁজিপতিরা স্বাধীনতার পর থেকেই সুচতুরভাবে বাঙলার ক্ষমতালোলুপ নেতাদের সাহায্যে ভ্রাতৃঘাতী রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে অবাধে বাঙলার সম্পদ লুন্ঠন করে নিয়ে যাচ্ছে৷ অপরদিকে অশ্লীল শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যুব সমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হচ্ছে৷ একদিকে অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক সং

ঋণ খেলাপীদের সঙ্গে রফা---ব্যাঙ্ককিং সংঘটনের বিরোধিতা

দেশের টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যাওয়া ঋণ খেলাপীদের সঙ্গে আপোষ রফার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করেন বিশিষ্ট প্রাউটতাত্ত্বিক  শ্রীপ্রভাত খাঁ৷ তিনি বলেন ইডি সিবিআই-এর কর্র্তরা  পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এসে কয়েকশো কোটি টাকা উদ্ধার করে দেশময় প্রচার করে বেড়ালো টাকার পাহাড় উদ্ধার৷ অপরদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পুঁজিপতিদের ব্যাপারে সিবিআই ও সরকার নীরব৷ ওই পুঁজিপতিরা কেউ বাঙলাদেশী ঘুষপেটিয়া নয়৷ তারা কেউ বাঁশবাগান, কলাবাগান দিয়ে দেশ ছাড়েনি৷ পাসপোর্ট ভিসার সাহায্যে বুক ফুলিয়ে দেশ থেকে বেরিয়ে গেছে৷

গণতন্ত্রের আড়ালে হিটলারী শক্তির আত্মপ্রকাশ

মনোজ দেব

ভারতে কদর্য রাজনীতি ও দুর্নীতি ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়েছে৷  অহিংসা ও গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র সেদিনই কংগ্রেসের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করেছিল৷ বিশেষ করে আদর্শে ও কর্তব্যে অটল সুভাষচন্দ্রের জেদী আপোষহীন মনোভাবকে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি কংগ্রেসের আপোষকামী সুবিধাবাদী নেতৃত্বের পক্ষে৷  তাই সুভাষকে কংগ্রেস থেকে উচ্ছেদ করতে স্বৈরাচারের পথই তারা বেছে নিয়েছিল৷

স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ

প্রত্যেক বস্তুর নিজের নিজের ধর্ম আছে, নিজস্ব স্বাভাবিক লক্ষণ আছে৷ সেই লক্ষণ দেখেই মানুষ সংশ্লিষ্ট বস্তুর সঙ্গে পরিচিত হয়, তার নামকরণ করে৷ প্রত্যেক সত্তার, প্রত্যেক জীবের নিজের নিজের ধর্মে অটুট থাকা শ্রেয়স্কর৷

সোণা ও লোহার নিজেদের পৃথক পৃথক ধর্ম আছে৷ ঠিক তেমনি মানুষেরও নিজের ধর্ম আছে৷ মানুষ যদি নিজের ধর্ম থেকে, মানব ধর্ম থেকে দূরে সরে যায় তবে তাকে মানুষ বলব না৷ মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তার নিজের ধর্মেই নিহিত৷ তাই তার পক্ষে স্বধর্মে সুদৃঢ় থাকাই বাঞ্ছনীয়৷

রাজনীতি–সচেতন মধ্যবিত্ত, ছাত্র–যুব ও সাধারণ মানুষই বিপ্লব আনবে

আজ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই নীতিহীনতার এক কালো ছায়া দ্রুত ঘনিয়ে আসছে ও তা মানুষের প্রগতির পথে দারুণ অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে৷ নীতিহীনতার এই আবর্জনা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে চাই প্রচণ্ড শক্তিশালী নৈতিক বল৷ এই দুর্দান্ত নৈতিক বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোন সরকারের কাছ থেকে আশা করা যায় না৷ এটা আমরা আশা করতে পারি অরাজনৈতিক পক্ষ থেকে৷ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত কোন দল বা নেতাদের খামখেয়ালী কাজকর্মকে বাধা দেওয়ার মতো নৈতিক বলের যদি সমাজে অভাব দেখা দেয়, তাহলে যে কোন সরকার–তা সে ফ্যাসীবাদী, সাম্রাজ্যবাদী, সাধারণতন্ত্রী, একনায়কতন্ত্রী, আমলাতান্ত্রিক বা গণতান্ত্রিক, যাই হোক না কেন–সে সরকার অত্যাচারী হতে বাধ্য৷ সরকারের

আদর্শ নেতৃত্বের অভাবে দেশ ডুবছে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন শুধু মোদি সরকারের আমলেই বা বলি কেন স্বাধীনতার পর থেকে অর্র্থৎ সেই গান্ধী নেহেরুর আমল থেকে বর্তমানে মোদির আমল পর্যন্ত এই ৭৬ বছর ধরে দেশীয় শাসনে ভারতের ২৭ কোটি মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায় নি---এখন তারা ক্ষুধার শিকার৷ তারা প্রত্যহ রাতে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমোতে যায়--- ক্ষুধা নিয়ে জাগে৷

অথচ মুষ্টিমেয় কয়েকজন ধনকুবের দেশে সিংহভাগ সম্পদ দখল করে আছে৷

দেশের বিশাল এক অংশ আজ চরম দারিদ্রের শিকার৷ দেশের অধিকাংশ ছাত্র-যুবা বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে মরছে৷ জীবনকে সুন্দর করে বিকাশের কথা ভাববার অবসর নেই তাদের৷  ---অন্নচিন্তা চমৎকারা !

দলত্যাগ আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন

প্রভাত খাঁ

এদেশে জঘন্য দলবদলের রাজনীতি গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই দলবদলের হিড়িক পড়েছে---কেউ নিজ দলের প্রার্থী হতে না পেরে, কেউ নিজ দলের জেতার আশা না দেখে অন্যদলে ভিড়ে পড়ছে নির্বাচনে জনগণের রায় বিরুদ্ধে গেলেও ভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধিদের দলে ভিড়িয়ে ক্ষমতা দখল ভারতীয় গণতন্ত্রের কলঙ্ক৷ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি এইভাবে জনমতকে উপেক্ষা করে অর্থ ও ক্ষমতার কাছে বিক্রি হয়ে যায়৷ রাজনীতিন্ত যার পোষাকী নাম ঘোড়া কেনাবেচা৷ পশ্চিমবঙ্গে এ জিনিস ছিল না৷ তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দল ভাঙনের খেলা পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে৷

মনিপুরে সংঘর্ষ চলছেই---নিহত ১০

 মনিপুরে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে৷ গত ১৩ই জুন মধ্যরাতে মেইতেই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত   ইম্ফলপূর্ব ও কুকি অধ্যুষিত কাংপোকপি এলাকায়  সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে৷ দুইপক্ষের গুলির লড়াইতে কমপক্ষে ন’জন নিহত হয়েছে৷ যাদের মধ্যে এক মহিলা আছে৷ এছাড়া দশ জন আহত হয়৷ রাজ্যের একমাত্র মহিলা মন্ত্রী নেমচা  কিপজেনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কিছু দুষৃকতি৷ ওই সময় অবশ্য মন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না৷ কয়েকদিন স্বাভবিক থাকার পর রাজ্যবাসী যখন শান্তি ফেরার আশায় দিন গুনছিল সেই সময় নোতুন করে সংঘর্ষ আবার আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ বেশ কিছু নূতন জায়গায় প্রশাশনকে কার্ফু জারি করতে হয়েছে৷ মাসাধিককাল ধরে অশান্ত মনিপুরে আপাতত শান্তি ফেরার আশা নেই৷

মানব দেহে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম হ’ল জৈব জীবনের গূঢ় রহস্য৷ পরমপুরুষ (সদ্‌গুরু) অজস্র মাইক্রোবাইটাম সৃটি করে চলেছেন ও ব্যবহার করে চলেছেন৷ এখন এই মাইক্রোবাইটাম কার্য অনুযায়ী তিন প্রকারের হয়৷ এরা হল -    

(১) মিত্র মাইক্রোবাইটাম (ফ্রেন্ডস্‌ মাইক্রোবাইটাম বা পজিটিভ মাইক্রোবাইটাম)

(২) অরাতি মাইক্রোবাইটাম (এনিমি মাইক্রোবাইটাম বা নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম)

(৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম (নিউট্রাল মাইক্রোবাইটাম)