মানব দেহে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

লেখক
শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম হ’ল জৈব জীবনের গূঢ় রহস্য৷ পরমপুরুষ (সদ্‌গুরু) অজস্র মাইক্রোবাইটাম সৃটি করে চলেছেন ও ব্যবহার করে চলেছেন৷ এখন এই মাইক্রোবাইটাম কার্য অনুযায়ী তিন প্রকারের হয়৷ এরা হল -    

(১) মিত্র মাইক্রোবাইটাম (ফ্রেন্ডস্‌ মাইক্রোবাইটাম বা পজিটিভ মাইক্রোবাইটাম)

(২) অরাতি মাইক্রোবাইটাম (এনিমি মাইক্রোবাইটাম বা নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম)

(৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম (নিউট্রাল মাইক্রোবাইটাম)

এই সব মাইক্রোবাইটামেরা সূক্ষ্মত্ব অনুযায়ী কিছু মাইক্রোবাইটাম ইথারে থাকে, কিছু মনোজগতে আবার কিছু মাইক্রোবাইটাম থাকে অতিমানস স্তরে (Supra pshchic sphere)৷ আধ্যাত্মিক জগতের মধ্যে মাইক্রোবাইটাম প্রভাব বিস্তার করতে পারে না৷ এদের মধ্যে যে সমস্ত মাইক্রোবাইটামরা স্থূল তারাই ভৌতিক স্তরের ধাপ গুলিতে বিচরণ করে এবং মানব দেহে নানান ধরনের প্রভাব ফেলে৷ মিত্র মাইক্রোবাইটামেরা মানব শরীরে প্রবেশ করলে মানুষকে স্বস্তি বা আরাম প্রদান করে৷ মানুষকে কর্মতৎপরতার উৎসাহ দেয়৷ যে সব মানুষ নিয়মিতভাবে প্রতিদিন নিষ্ঠার সঙ্গে সাধনা (ঞ্চত্রত্ম্থন্ঠত্থন্ঠ্থ করে তাদের শরীরে সদ্‌গুরুর কৃপায় মাইক্রোবাইটাম প্রবেশ করে এবং এর সাহায্যে শুভের পথে পরিচালিত ক’রে আধ্যাত্মিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেরণা পেয়ে থাকে ও কর্মতৎপরতা বৃদিধ করে৷ অপর পক্ষে অরাতি মাইক্রোবাইটাম মানবদেহে প্রবেশ ক’রে মানুষকে অস্বস্তি প্রদান করে এবং মানুষকে এতে করে কটের সন্মুখীন হ’তে হয়৷ সমস্ত রোগ সৃটিতে অরাতি মাইক্রোবাইটাম সাহায্য করে৷ মিত্র মাইক্রোবাইটামেরা শরীরে বেশী হ’লে অরাতি মাইক্রোবাইটামের কর্মতৎপরতাকে বাধা দেয় ও প্রতিহত করে৷ যদি অল্প সংখ্যক নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম শরীরে প্রবেশ করে তবে মানুষ অস্বস্তি বোধ করবে৷ কিন্তু লক্ষ লক্ষ অরাতি মাইক্রোবাইটাম যদি প্রবেশ করে তবে মানুষ তো দূরের কথা, একটা প্রকাণ্ড হাতীও কয়েক মূহূর্তের মধ্যে মারা যাবে৷ নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম মানব শরীরে প্রবেশ করলে মানব শরীরে বিশেষ কিছু অনুভব করে না৷ মিত্র মাইক্রোবাইটামগুলি মানুষকে সৎ হ’তে সাহায্য করে অর্থাৎ মিত্র সুলভ আচরণ করে৷ অপর পক্ষে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম শত্রু ভাবে আচরণ করে৷

অরাতি মাইক্রোবাইটাম প্রকৃতির সহায্যে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং নানান ধরণের রোগ সৃটি করে৷ যেমন কংজাংটিবাইটিস্‌ নামক চক্ষু রোগ সৃটি করে৷ অরাতি মাইক্রোবাইটাম শরীর- মানসিকচক্রগুলিতে প্রথমতঃ মূলাধার চক্রে কাজ করে৷ তারপর স্বাধিষ্ঠান চক্রে ও ওরপর ক্রমশঃ উপরের চক্রে উঠতে থাকে ও মণিপুর চক্র পর্য্যন্ত সাধারণতঃ উঠতে পারে৷  নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের স্বভাব অনুযায়ী মানুষের শরীরের নিম্নচক্রগুলিতে কাজ করে৷ এর ফলে কোমর, কিড্‌নী, লিবার, তলপেঠ প্রভৃতি অঙ্গে বিভিন্ন রোগের সৃটি করে ও যন্ত্রনার কারণ হয়৷ নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম মানব দেহের জনন যন্ত্র, পায়ু, উপস্থে দ্রুত কাজ করে থাকে৷ কিন্তু মিত্র মাইক্রোবাইটাম প্রকৃতির দ্বারা বাহিত হয় না৷ পজিটিভ মাইক্রোবাইটাম পরমপুরুষ (সদ্‌গুরু) সৃটি করেন নিজস্ব তরঙ্গের মাধ্যমে৷ সৎসঙ্গের মাধ্যমে পজিটিভ মাইক্রোবাইটামের আবির্ভাব হয়, যা সমটিগত ভাবে অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে৷ আমাদের সাপ্তাহিক ধর্মচক্র হ’ল এর প্রকৃট উদাহারণ৷ ঠিকমত মন প্রান দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্মচক্র করা হ’লে ঐ ধর্মচক্রস্থলে মাইক্রোবাইটাম উপস্থিত সকলের প্রভূত হিত সাধন করে৷ পজিটিভ মাইক্রোবাইটাম সৎগুনের প্রকাশ করে উদার বিশ্বৈকতাবাদী হ’তে সাহায্য করে৷ বড় বড় কাজ করার উদ্দীপনা যোগায়৷ অপরপক্ষে অরাতি মাইক্রোবাইটাম মানুষকে জড়ভাবের দিকে যেতে সাহায্য করে ত্রবং সার্থপর হ’তে প্রেরনা যোগায়৷

মাইক্রোবাইটাম আবিস্কারক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার বলেছেন - ‘‘মাইক্রোবাইটমের ব্যবহার এপর্যন্ত মানুষ জানে না৷ সুস্থ মানব সমাজ গড়ার চাবি কাঠি এই মাইক্রোবাইটামের তত্ত্বেই নিহিত রয়েছে৷ যেদিন মানুষ এই মাইক্রোবাইটামের গোপন তত্ত্ব জেনে ফেলবে, সেদিন এই পৃথিবীটা এক স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হবে৷’’