June 2023

চাষের জমি রক্ষা করে পেঁচা

‘বার্ড লাইফ’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন সাইপ্রাসের কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়৷ কারণ ইঁদুরের তাণ্ডবে একসময় সাই -প্রাসের কৃষক -দের খুব সমস্যায় ভুগতে হচ্ছিল৷ সব সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে জমির দেখাশোনা করতে পারতেন না তারা৷ এরফলে ইঁদুরে এসে নষ্ট করে দিত সমস্ত ফসলের এক বিরাট অংশ৷ তখন আশার আলো রূপে তাদের পাশে দাঁড়ায় এই স্বেচ্ছাসেবী সংঘটন৷

তারা দুইসীমান্তের মধ্যবর্তী ওই এলাকায় পেঁচাদের চিরস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করতে থাকে৷ সেখানে ৫০টি কাঠের কাঠের বাক্স বসানো হয় ও তারা কৃষকদের  ইঁদুর মারার বিষ প্রয়োগ করতে না করেন৷ তারা বলেন যে ইঁদুর ধবংসের দায়িত্বটা যেন তারা পেঁচাদের ওপরই ছেড়ে দেয়৷

এভারেস্টের থেকেও উঁচু পর্বতের খোঁজ

সে এক সুবিশাল পর্বতমালা, উচ্চতায় এভারেষ্টের চার-পাঁচ গুণ! পৃথিবীর গভীরে এমনই এক পর্বতের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা৷ ভূগর্ভে কেন্দ্রমণ্ডল (কোর) ও গুরুমণ্ডলের (ম্যান্টল) মাঝে এর অবস্থান৷ কিন্তু এত বছর জানা যায়নি এর কথা! বিস্ময়ে বিশেষজ্ঞেরাও৷

মাত্র ১৪ বছরেই প্রযুক্তিবিদ কাইরান

মাত্র ১৪ বছর বয়সেই প্রযুক্তিবিদ হয়েছেন কাজিরান কাজি নামের এক বালক৷ আমেরিকায় তিনি বসবাস করেন৷ ইলন মাস্কের সংস্থার সবচেয়ে জটিল ইন্টারভিউ সে সহজের পার করে দেয় ও সেই সংস্থায় চাকরিও পেয়ে যায়৷

আসল কথা কাজির মা বাবা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই বিশ্বের নানা বিষয়ে কৌতুহল ছিল কাজির৷ মাত্র দুবছর বয়স থেকে সে পুরো বাক্যে কথা বলতে পারত৷ সে যখন থার্ড গ্রেডে পরে তখন বলে যে আমার সুকল সব পাঠ্যক্রম সহজ লাগছে৷ এরপর তাকে কমিউনিটি কলেজে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয়৷

ইন্টারনেটের ফাঁদে কন্ঠস্বর চুরি!

ইন্টারনেটের পাতা জালে প্রতারিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচলেন আমেরিকার এক মহিলা৷ তিনি অ্যারিজোনার বাসিন্দা৷ সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞানের উন্নতি সত্যি মিথ্যার ফারাক মুছে দিচ্ছে৷ এমনই আশঙ্কার কথা বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা৷ বেপরোয়া ভাবে যার মুনাফা লুটছে সাইবার-অপরাধীরা৷

নারীর প্রতি অবিচার ঃ ভাষা ব্যবহারে

এই দশ লাখ বৎসরের মানুষের ইতিহাসে মানুষের প্রতি সুবিচার করা হয়নি৷ মানুষের একটি শ্রেণী, একটি বর্গের প্রতি বেশী বাড়াবাড়ি করা হয়েছে, বেশী আদিখ্যেতা করা হয়েছে, ও তা, করতে গিয়ে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে৷ একজন মানুষ লড়াই করল, মরল, আত্মদান দিল, কাগজে বড় করে তা ছেপে দেওয়া হ’ল, আর সে মরে যাওয়ার পর ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলিকে নিয়ে তার বিধবা স্ত্রীকে কী ধরণের অসুবিধায় পড়তে হ’ল সেকথা খবরের কাগজে বড় করে ছাপানো হ’ল না অর্থাৎ একতরফা বিচার করে আসা হয়েছে৷ যদিও ব্যাকরণগত ব্যাপার, আর হঠাৎ বদলানো যায় না, তবু ‘ম্যান’ ‘প্প্ত্রু’ এই কমন জেণ্ডারের মধ্যে ‘ম্যান’, আর ‘ওম্যান’(woman) দুই–ই এসে যায়৷ অথচ ‘ওম্যান’ এই কমন জেন

স্নিগ্ধতা আনা ও ৰুদ্ধিবৃত্তির  সহায়ক তেঁতুল

নোতুন তেঁতুলের চেয়ে পুরণো তেঁতুলের গুণ অনেক বেশী৷ যে সকল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে শরীর শুকিয়ে যায় সে সকল দেশে তেঁতুলের ব্যবহার বিশেষ মূল্যবহ৷ শুকনো দেশে বা টানের সময় তেঁতুল না খেলে শরীর দুর্বল হতে পারে৷ পোস্ত, ৰিরি কলায়ের ডাল ও তেঁতুল বিশুষ্কতা রোগের প্রতিষেধক৷ অতি গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এই খাদ্যগুলি রোগ নিরাময় করে থাকে৷

তেঁতুল একটি সাত্ত্বিক ফল৷ মস্তিষ্ক রচনায় এর যথেষ্ট ভূমিকা আছে৷

কেশ রোগে ভৃ৷রাজ তেল ও তিল তেলের উপকারিতা

ভৃঙ্গরাজবর্গীয় কেশ–ঔষধীয় গাছ হচ্ছে এই কেশরঞ্জন বা কেশরাজ৷ ৰাংলার শহরে–গ্রামে বর্ষার জল পেয়ে প্রচুর পরিমাণে কেশরঞ্জন গাছ জন্মায়৷ বর্দ্ধমানের গ্রামের ভাষায় ভৃঙ্গরাজকে ৰলে ‘ভীমরাজ’ ও কেশরঞ্জনকে ৰলে ‘কেশরাজ’৷ চব্বিশ পরগণার গ্রামাঞ্চলে আমি কেশরঞ্জনকে ‘কেশুত’ বলতে শুণেছি৷ বাজারে পাওয়া ভৃঙ্গরাজ তেল চুলের গোড়ার ও মস্তিষ্কের ঔষধ৷ তেলটি খুবই ঠাণ্ডা৷ তাই মাথা গরম ও বায়ু বিকারের ঔষধ হিসেবে এর ব্যবহার আছে৷ উন্মাদ রোগেও ভৃঙ্গরাজ (তেল) ব্যবহূত হয়৷ মাথা–ঠাণ্ডা সুস্থ মানুষ অধিক ভৃঙ্গরাজ ব্যবহার করলে অনেক সময় সর্দিতে আক্রান্ত হয়ে যায়৷ ভৃঙ্গরাজ–জাত তেলকে সংক্ষেপে কেউ কেউ ‘ভৃঙ্গর’ বলে থাকেন৷

বর্ধিষ্ণু চাষি

কৌশিক খাটুয়া

নাম হলধর পাকড়াশি

শুভ্র কেশ, বয়স আশি,

কৃষ্ণ বর্ণ, ফোকলা হাসি,

কাশব্য গোত্র, তুলা রাশি,

বাড়ি বঙ্গে, গ্রাম পলাশী৷

সেথায় থাকে মাতা, মাসী,

আদি বাড়ি বনপলাশী,

সেথায় থাকে পিতা, পিসি৷

পূর্বপুরুষ মালদাবাসি,

জমি জমা বিঘা আশি,

ফসল ফলাই রাশি রাশি৷

গম কম ধান বেশি,

তা বাদেও তিল-তিসি৷

বন্যা-ক্ষরা সর্বনাশী,

শুকিয়ে যায় মুখের হাসি,

কাজের মাসী হরিদাসী,

হেঁসেলে ঠেলে বারমাসই,

ভাত-রুটি ভালবাসি

করি নিশিপালন, একাদশী৷

পূর্ব গগনে উঠলে শশী

জীবনব্রত

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

হাসতে হাসতে এগিয়ে যাবো

মুছিয়ে অশ্রু জল

মানুষ আমরা এই পরিচয়ে

বাড়াই আত্মিক বল৷

কালিমা যত মুছিয়ে মনের

করবো বেদন দূর

সহজ সরল জীবন মনে

আনবো সমাজ ভোর৷

দীপ্ত জীবনে সুপ্ত চেতনা

ফুটাবো কুসুম কলি

যোগাবো সাহস সততা নিয়ে

বিনম্রতায় চলি৷

আত্মীয় সবাই দূর কেহ নাই

সবারে আপন মানি

সুন্দরতায় ভরিয়ে দোব

জীবনব্রত মানি!

 

কলকাতার  প্রথম ফুটপাত

কলকাতার যে রাস্তাটির একদিকে লাটপ্রাসাদ আর অপর দিকে লাল দীঘি তার নাম ওল্‌ড কোর্ট হাউস ষ্ট্রীট৷ এখানে পুরনো কোর্ট হাউস ছিল তা রাস্তার নামকরণ থেকেই বোঝা যায়৷ এককালে এই রাস্তাটি এখানকার মিশন রো অবধি বিস্তৃত     ছিল৷ একসময় এই ওলড্‌ কোর্ট হাউস ষ্ট্রীট গীর্র্জ থেকে শুরু করে, রেডসহ, গড়ের মাঠের মধ্য দিয়ে সোজা খিদিরপুর পোলে গিয়ে মিশেছিল৷ বর্তমানে এই বিশাল রাস্তাটি নানাভাগে বিভক্ত হয়ে নানা নামে নামাঙ্কিত হয়ে আছে৷