March 2024

দুপুরে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

দুপুরবেলা অশথগাছে কাঠবেড়ালির খেলা,

ঘুম আসে না তাইতো বাপির চক্ষু সদাই মেলা৷

          ব্যস্ত কাঠবেড়ালি ঃ

          খেলা তো নয় খামখেয়ালি---

তরতরিয়ে নামে আবার চমকে ডগায় ওঠে

ডাইনে বেঁকে হঠাৎ কভু শুকনো পাতা খোঁটে৷

ভর-দুপুরে পাগলা হাওয়ায় ঘুম-পরীদের চুমে

ক্লান্তিমেশা আমেজ নেশায় ঢুললো বাপি ঘুমে৷

          কাঠবেড়ালি দুষ্টু ভারি

          ঘুমের সাথে দেয় সে আড়ি---

          কিচির মিচির কি কথা কয়

          নিঝুম দুপুর বেলা?

          এ ডাল ও ডাল পালায়

 (১) ণক্ষ্‌ একটি বৈদিক ধাতু যার মানে নাকের সোজা ছুটে চলা৷ এই ‘ণক্ষ্‌’ ধাতুর উত্তর ‘শতৃ’ প্রত্যয় করে পাই ‘ণক্ষৎ’ শব্দটিকে৷ ণক্ষৎ+ ত্রৈ+ ড = ণক্ষত্র৷ বর্তমানে বৈয়াকরণিক বিধি ভুলে যাওয়ায় লোকে ‘’-এর পরিবর্তে ‘’ দিয়ে লিখছে৷ গুপ্তযুগ থেকে ‘ণ’-এর পরিবর্তে ‘ন’ লিখছে৷ তবে তোমরা ইচ্ছা করলে ‘ণক্ষ’ ৰানানটিও লিখতে পারো৷ বৈয়াকরণিক বিচারে সেটাই ৰেশী শুদ্ধ একটা ত্র দিয়ে লেখা অশুদ্ধ৷ ‘ন’ দিয়ে লেখা অশুদ্ধ হলেও নিপাতনে সিদ্ধ অর্থাৎ ভুল করে ‘ন’ দিয়ে লেখার প্রথা গুপ্তযুগ থেকেই চলে আসছে৷

‘‘গোলোক বৃন্দাবন’’

গ্রামে যাত্রাগান চলছে৷ গীতাভিনয়*(সেকালে ভাল ৰাঙলায় যাত্রাকে ‘গীতাভিনয়’ বলা হত৷) হচ্ছে জমিদার বাড়ীর সামনেকার প্রকাণ্ড মাঠে৷ যার যা পার্ট সে পার্ট তো সে করছেই উপরন্তু সবাইকার চেষ্টা কোনোক্রমে জমিদারৰাৰুকে কিছুটা সন্তুষ্ট করে দিয়ে কিছু বখ্শিস আদায় করা৷ এই ধরনের ব্যাপার সেকালকার ৰাঙলায় খুব চলত৷ যার এলেম*(*মূল শব্দটি ‘ইল্ম্’ যার থেকে ‘আলিম্’ শব্দটি এসেছে৷) তেমন নেই সেও জমিদারের খোশামোদ করে দিয়ে বখশিসের ব্যবস্থা করে নিত৷ সেই যে গল্পে আছে না–

দেড় বছরের উপর ক্রিকেট না খেললেও রোহিত শর্মার উপরে চলে এসেছেন ঋষভ পন্থ

গত বুধবার আইসিসি-র টেস্ট র‌্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে৷ সেখানে এক নম্বর বোলার হয়েছেন যশপ্রীত বুমরা৷ কিন্তু ব্যাটারদের তালিকায় অদ্ভুত একটি জিনিস লক্ষ করা গিয়েছে৷ প্রায় দেড় বছরের উপর ক্রিকেট না খেললেও রোহিত শর্মার উপরে চলে এসেছেন ঋষভ পন্থ৷ কী ভাবে হল এটি? টেস্ট ব্যাটারদের প্রকাশিত ক্রমতালিকায় প্রথম দশে একমাত্র ভারতীয় বিরাট কোহলি৷ তিনি সাতে রয়েছেন৷ এর পরেই রয়েছেন পন্থ৷ তিনি ১২তম স্থানে৷ তার পরে রয়েছেন রোহিত৷ সাধারণত ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করেই র‌্যা ঙ্কিং তৈরি হয়৷ কিন্তু ক্রিকেট না খেলেও কী ভাবে পন্থ এত উপরে রয়েছেন?

সকল অধিনায়কদের সাফল্যবার্র্ত মহেন্দ্র সিং ধোনির

দু’টি বিশ্বকাপ জিতেছেন, একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি৷ ভারতকে টেস্টে এক নম্বর করেছেন৷ পাশাপাশি, তাঁর ঠান্ডা মাথাও সাফল্যের অন্যতম কারণ৷ সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক৷ পরিসংখ্যানও তাঁর হয়েই কথা বলে৷ এখনকার অধিনায়কদের উদ্দেশে সফল হওয়ার রাস্তা বলে দিলেন৷

সন্দেশখালি---শ্মশান - কুক্কুরদের কাড়াকাড়ি গীতি

পথিক বর

সন্দেশখালি প্রথম নয়, কেউ ভুলেও ভাববে না---এটাই শেষ৷ আজ যারা সন্দেশখালি নিয়ে সরব তাদের অনেকেই ১২/১৪ বছর আগে এই ধরণের নক্কারজনক ঘটনায় নীরব থাকতো নতুবা ঘটনাকে গুরুত্বহীন করার চেষ্টা করতো৷ সেদিন যারা সরব ছিল আজ তারা অনেকেই কেমন যেন মিইয়ে গেছে৷

তাহলে প্রতিবাদ কিসের জন্যে? মিডিয়ায় মুখ দেখাতে, পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে, গায়ের ঝাল মেটাতে---এক কথার ব্যষ্টিগত ইর্ষায় অথবা দলীয় স্বার্থ প্রতিবাদের প্রেরণা, সমাজকে পাপমুক্ত করার এষণা নয়, পাপকে প্রশ্রয় দেবার ক্ষমতার দখল নিতে প্রতিবাদ! না-হলে প্রতিবাদ কি হয়নি! পার্কষ্ট্রীট, কামদুনি, বগটুই--- এত প্রতিবাদ প্রতিরোধের পরেও আবার সন্দেশখালি কেন?

২১শের ভাষা শহীদ স্মরণে ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বাঙালীস্তান জুড়ে জেলায় জেলায় আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে ‘‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’’ পালন করা হয়৷ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, উত্তর চবিবশ পরগণা, দক্ষিণ চবিবশ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, ঝাড়খণ্ডের টাটানগর, বোকারো, অসম ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যথোচিত মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয় ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়৷ ‘‘আমরা বাঙালী’’ কেন্দ্রীয় কমিটির’’ পক্ষ থেকে মূল অনুষ্ঠানটি হয় কলকাতার বাগবাজার বাটার মোড়ে৷ এই দিন সকালে উত্তর চবিবশ পরগণার জেলার বারাসাত ও কাকিনাড়ায় ‘আমরা বা

শিলিগুড়ি ও গুয়াহাটিতে আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ১৬,১৭ ও ১৮ই ফেব্রুয়ারী,২০২৪ দার্জিলিং জেলার আনন্দমার্গ আশ্রমে ও গুয়াহাটির আনন্দমার্গ আশ্রমে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনদিনের এই আলোচনা সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল --- আদর্শ মানুষের জীবনচর্চা কেমন হওয়া উচিত, বুদ্ধির মুক্তি, প্রত্যাহার যোগ ও পরমাগতি, পাপস্য কারণত্রয়ম্‌৷ শিলিগুড়ির আলোচনা সভায় মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত ও গুয়াহাটির আলোচনা সভায় মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত৷

আধার রাজনীতি---রাজ্যের চাপে পিছু হটলো আধার অথরিটি

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আধার কার্ড বাতিলের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব নিয়েছেন৷ এই নিয়ে ১৯শে ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠিও লেখেন৷ কিন্তু এরই মধ্যে রাজ্যের আধার কার্ড বাতিল হওয়া বেশ কিছু ব্যষ্টির কাছে বার্র্ত আসে আধার আপডেট হওয়ার৷ ৭২ ঘন্টার পরeaadhar.uidai.gov in থেকে আধার ডাউনলোড করা যাবে৷

একুশে ফেব্রুয়ারী---এক স্মরণীয় ও বরনীয় দিন

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

সময়ের আবর্ত্তনের পথ ধরে ও স্মৃতির সরনী বেয়ে একুশে ফেব্রুয়ারী আমাদের চলতি ইতিহাসের অঙ্গনে আবার ফিরে এল৷ এই একুশে ফেব্রুয়ারীর পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৫২ সালের এক রক্তস্নাত সকাল হতে৷ এই একুশে ফেব্রুয়ারী কেবল নিছক একটি নিথর বা নির্জীব একটি দিন নয়, একুশে ফেব্রুয়ারী অনেক রক্ত সংগ্রাম আর শপথ মেশানো একটি দিন৷ ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলাভাষা’র স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার একটি দিন, এই একুশে ফেব্রুয়ারী৷ বিনম্র চিত্তে সমীহ, শ্রদ্ধা আর আকন্ঠ ভালবাসা জানানোর মতো একটি দিন- এই একুশে ফেব্রুয়ারী৷ তাই এই দিনটি প্রতিনিয়ত আমাদের চিত্ত আর চেতনাকে উদ্দীপ্ত করে আর বাংলা ভাষার স্বাতন্ত্র আর অধিকারকে অটুট রাখার জন্য আমা