August 2024

মার্গীয় বিধিতে জন্মদিন পালন

গত ২১শে জুলাই রবিবার কোলাঘাটের কাঁউরচণ্ডী গ্রামে শ্রী অনিল কুমার পোড়িয়ার বাসভবনে সুরজিত-মিঠুর একমাত্র পুত্র সায়নের মার্গীয় প্রথায় শুভ জন্মদিন পালন করা হল৷ তিন ঘণ্টার অখণ্ড কীর্ত্তনের পর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ ভাবাতীতা আচার্যা৷ আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত, ভুক্তিপ্রধান শ্রী সুভাষপ্রকাশ পাল প্রমুখ বিশিষ্ট জনেরা সারাক্ষণ উপস্থিত থেকে সবাইকে উৎসাহিত করেন৷ গুরুজনরা সায়নকে আশীর্বাদ করেন ও তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করেন৷ উপস্থিত সবার জন্যই মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা ছিল৷

বেল/বিল্ব

সংস্কৃত শব্দ ‘বিল্ব’ থেকে ৰাংলায় ‘ৰেল’ শব্দটি এসেছে৷ ‘ৰিল’ শব্দের অর্থ ছিদ্র, ‘বিল্ব’ মানে যে বস্তুতে ছিদ্র আছে অথবা যে বস্তু ছিদ্র তৈরী করে৷ ৰেলের পর্যায়বাচক শব্দ ‘শ্রীফল’ পশ্চিম বিহারে ও উত্তর ভারতে কোন কোন স্থানে প্রচলিত৷ ভারতে ও বহির্ভারতে ৰেলের নানা শ্রেণীবিভাগ দেখা যায়৷ পাতলা খোলা, কম ৰীজ, কম আঠা, স্বাদ ও গন্ধের বিচারে রংপুরী ৰেলই সর্বশ্রেষ্ঠ৷

নদীর নাম ও বৈশিষ্ট্য

যে নদীর যে বৈশিষ্ট্য তা’ থেকে প্রাচীনকালে নদীর নামকরণ করা হ’ত৷ যেমন, যে নদীর জল কপোত অর্থাৎ পায়রার চোখের মত স্বচ্ছ তার নাম কপোতাক্ষ৷ যে নদীর জল ময়ূরের চোখের মত তার নাম ময়ূরাক্ষী যে নদীর উদরে দাম আছে তার নাম দামোদর৷ দামোদরের নীচে অঙ্গার বা কয়লার খনি থাকায় অগ্ণিবাচক ‘দাম’ শব্দটি ব্যবহূত হয়েছে৷ যে নদী হঠাৎ বন্যা এনে নিষ্ঠুরের মত জনপদের প্রভুত ক্ষতি সাধন করে তার নাম কসাই (ত্ব্ব্ভব্ধন্তুড়ন্দ্বব্জ)৷ এই ভয়ানক হিংস্রস্বভাব কসাই নদীকে বর্তমানে বেনারসী শাড়ী পরিয়ে দস্তুরমত বিবি সাজিয়ে ‘কংসাবতী’ নাম দেওয়া হয়েছে৷ মনে রাখা উচিত, কাঁসার সঙ্গে এই নদীর কোন সম্পর্ক নেই৷ ত’ ছাড়া কাঁসার সংস্কৃত হচ্ছে ‘কাংস্য’

মাটির ঈশ্বর বিদ্যাসাগর

সুপর্ণা মজুমদার রায়

মেদিনীপুরের সেই যে এক বীরসিংহ গ্রাম,

সেই গাঁয়েরই সিংহ শিশু বিদ্যাসাগর নাম৷

বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন

জানতে কিনা ভাই---?

বীরদর্পে কন্ঠে যার নারীশিক্ষা চাই৷

পড়া নাকি চালিয়ে গেছেন

পথের আলোর বাঁকে,

অংক তিনি শিখেছিলেন সংখ্যা ফলক দেখে৷

বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন জানেন কটা লোক?

গোঁড়ামিকে তুড়ি মেরে বিধবা বিবাহ হোক!!

বলতে পারো বিদ্যাসাগর তবে কেমন ছিলেন?

ঢিলের বদলে পাটকেলটি মারতে যিনি বলেন৷

বিদ্যাসাগর কেমন ছিলেন জানতে ইচ্ছে করে?

জানতে পারো তবে তাঁর বর্ণপরিচয় পড়ে৷

কার পরশে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

কার পরশে মন ভুলেছে ক্রন্দন,

কার ডাকে মন ছিঁড়েছে সব বন্ধন৷

কে বাজালো বন্ধ দ্বারে ঘন্টা

উঠলো জেগে ঘুমন্ত মোর মনটা৷

বিশ্বজুড়ে কে মেতেছে কর্মে

কার আহ্বান পেলাম আমি মর্মে৷

কার প্রবচন ঘুচায় মনের জড়ত্ব,

কার আদর্শ জাগায় মনে মহত্ব৷

খুঁজবো তাঁরে পূজব সকাল সন্ধ্যে,

কাটাবো দিন ধর্মে কর্মে আনন্দে৷

তুমি যে দয়াল

সুকুমার রায়

তুমি যে দয়াল আমার প্রাণাধন

অনন্তে মিশে আছ পতিত পাবন

দীপনি জ্বলিছে সদা তোমারি আশে

ধরা দাও হে মোর শুন্য হৃদয় মাঝে

হাসি-কান্না ভরা ব্যথিত হৃদয়ে

নিশিদিন বসে তোমারি পথচেয়ে৷

 

ইছামতীর দেশে

শঙ্কর মণ্ডল

সেদিন ছিল সকাল বেলা অন্য একটা সকাল

পরিপাটি হাসি-খুশি চলবে অবধি বিকাল

তপ্ত দহণ তপ্তগহণ জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষে

তৃষ্ণায় প্রাণ ওষ্ঠাগত ইচ্ছামতীর দেশে

আকুল মনের ব্যাকুল প্রাণ ঘূর্ণিচাপের মন

কতক আশায় কতক নেশায় চলল সর্বোক্ষণ

হাতের মধ্যে হাতটি রাখা মনের মধ্যে মন

ইছামতীর সুখের স্মৃতি অস্থায়ী যতন

ইচ্ছে করেই ঘাটের ধারে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ

সুখের স্মৃতি রাঙা হল মনের বিসর্জন৷

 

উপনিষদ

‘কল্প’ শব্দের দু’টি অর্থ---প্রথমটি ‘কালাকালবিনিশ্চয়’, দ্বিতীয়টি ‘ভাবাধিকরণবিনিশ্চয়্’৷

ৰাঙলা ও কাছাড়ের সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক সম্পর্ক

ঘটোৎকচ মহাভারতের এক উজ্জ্বল চরিত্র৷ ‘কচ্‌’ ধাতুর অর্থ চক্‌চক্‌ করা Shine) ৷ ‘উৎকচ’ মানে সবকে ছাপিয়ে চকক্‌ করা৷ ঘটের মত বিরাট আকৃতির যে সত্তা পৌরুষে উজ্জ্বল সে-ই ‘ঘটোৎকচ’৷ যোগারাঢ়ার্থে ভীমের স্ত্রী হিঁড়িম্বার পু-ঘটোৎকচ৷ এই আদর্শনিষ্ঠ পিত্রনুরাগী মানুষটি কম বয়সেই অনেক কাজ করে গেছলেন৷ তাঁর চরিত্রটি আরও ভাস্বর হয়ে উঠেছিল যখন মহাভারতের (মহাভারত সত্য হলেও সব গল্প বা গল্পাংশ সত্য হতেও পারে, নাও হতে পারে) গল্পে বলা হচ্ছে, ঘটোৎকচ যখন মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন অর্থাৎ ধরাশায়ী হচ্ছেন তখন তিনি পাগুব নেতাদের উদ্দেশ্যে ৰলছেন, ‘‘তাকে অনুমতি দেওয়া হোক, তিনি কুরু সেনাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মরৰেন যাতে তার চাপে আরও