August 2024

বইয়ের নামেই বিপত্তি

ঔষধ রোগকে হত্যা করে৷ তাই হত্যাকারী অর্থে ‘থুর্ব’ ধাতু ড করে যে ‘থ’ শব্দ পাই তার একটি যোগরূঢ়ার্থ হচ্ছে ঔষধ৷ এই ঔষধ যে কেবল শারীরিক রোগের ঔষধ তাই নয়, মানসিক রোগের ঔষধও৷ মানসিক রোগের যতরকম ঔষধ আছে তার একটা নাম হচ্ছে মানুষের মনে রসচেতনা জাগিয়ে তার মনকে হালকা করে দিয়ে ব্যথাভার সরিয়ে দেওয়া–চিন্তাক্লিষ্টতা অপনয়ন করা৷ এজন্যে প্রাচীনকালে এক ধরনের মানুষ থাকতেন যাঁরা মানুষের মনকে নানান ভাবে হাসিতে খুশীতে ভরিয়ে রাখতেন৷ মন ভাবে–ভাবনায় আনন্দোচ্ছল হয়ে উপচে পড়ত৷ এই ধরনের মানুষেরা শিক্ষিত বা পণ্ডিত থেকে থাকুন বা না থাকুন এঁরা মানব মনস্তত্ত্বে অবশ্যই পণ্ডিত হতেন৷ এঁদেরই বলা হত বিদুষক৷ বিদুষকের ভাববাচক বিশেষ্

কলকাতা ফুটবল লিগের সূচি ঘোষণা করে দিল আইএফএ

শনিবার রাতের দিকে সূচি ঘোষণা করে দেওয়া হয়৷ উদ্বোধনী ম্যাচেই নামছে কলকাতার এক প্রধান মহমেডান৷ উয়াড়ির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তারা৷ কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু ম্যাচ৷ তার আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে আইএফএ৷ বাকি দুই প্রধানের মধ্যে আগে নামছে ইস্টবেঙ্গল৷ ৩০ জুন ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ রয়েছে তাদের৷ দুপুর ৩টে থেকে শুরু খেলা৷ মোহনবাগান নামছে ২ জুলাই৷ ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে দুপুর ৩টে থেকে তারা খেলবে ভবানীপুর ক্লাবের বিরুদ্ধে৷ মোহনবাগান প্রথম রাউন্ড এবং ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘বাই’ পেয়েছে৷ তবে সবার আগ্রহ রয়েছে কলকাতা ডার্বি নিয়ে৷ ইস্টবে

তুরস্কে তৃতীয় পর্যায়ের বিশ্বকাপেও অন্যথা হল না বিশ্বকাপে মহিলাদের

তিরন্দাজি বিশ্বকাপে আবার সোনা জিতল ভারতের মহিলা কম্পাউন্ড দল৷ শনিবার ফাইনালে এস্তোনিয়াকে ২৩২-২২৯ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত৷ এই নিয়ে টানা তৃতীয় বার সোনা জিতে বিশ্বজয়ের হ্যাটট্রিক করল ভারত৷ ভারতীয় তিরন্দাজিতে তৈরি হল নতুন ইতিহাস৷

বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত স্মরণে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

অলিন্দ যুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী শহীদ দীনেশ গুপ্তর ফাঁসী হয়েছিল ১৯৩১ সালের ৬ই জুলাই৷ ফাঁসীর পূর্বে কলিকাতা, আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে তাঁর মা, বৌদি, ভাইকে লেখা দীনেশের চিঠিগুলি শুধুমাত্র চিঠি নয়৷ জীবন দর্শন--- মাত্র বিশ বছরের এক তরুণের জীবন মৃত্য ধর্ম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবনার দার্শনিক নির্দশন তিনটি ঐতিহাসিক পত্র---

মা,

যদিও ভাবিতেছি কাল ভোরে তুমি আসিবে, তবু তোমার কাছে না লিখিয়া পারিলাম না৷

জিডিপি আর্থিক উন্নতির মানদণ্ড নয় প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে

ভারত অর্থনীতিতে তিন নম্বর হবে৷ শাসক দল প্রচারের ঢাক পেটাচ্ছে৷ কিন্তু কোন হিসেবে কিসের ভিত্তিতে তিন নম্বর, তার কোন বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই৷ জিডিপি দেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র কখনই নয়৷ প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- ভারত ১৪০ কোটি মানুষের দেশ৷ সেখানে ইংল্যাণ্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৭কোটির কাছাকাছি৷ এই দুই দেশের মধ্যে কিভাবে জিডিপির হিসাবে আর্থিক উন্নতির তুলনা করা যায়৷ দেশের অভ্যন্তরেও মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণী বাদ দিলে সিংহভাগ মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতাই নেই৷ তাই আর্থিক উন্নয়ণে জিডিপির হিসাবে বিরাট ফাঁকি থেকে যায়৷

জল সংকট অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে মুডিজ রেটিং-এর সতর্কবার্র্ত

আজ থেকে প্রায় ৩৫ আগে প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছিলেন---‘নিকট ভবিষ্যতে পৃথিবীর অনেক অংশেই তীব্রজলসংকট দেখা দেবে৷’’ তিনি জল সংকটের মনুষ্য সৃষ্ট কারণ ও প্রাকৃতিক কারণগুলি তুলে ধরে সমস্যার সমাধানের পথ নির্দেশনাও দিয়ে গেছেন৷ তিনি জল সংরক্ষণের নানা উপায়ের কথাও বলে গেছেন৷ কিন্তু রাষ্ট্রের কর্ণধাররা আজ পর্যন্ত জল সংকট ও জল সংরক্ষণ নিয়ে মাথা ঘামায়নি৷ সম্প্রতি মুডিজ রেটিং সংস্থা জল সংকট ও অর্থনীতিতে তার প্রভাব সম্পর্কে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এবছর দেশের বেশ কিছু অংশে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি অতিক্রম করে গেছে৷ ফলে বেশ কিছু শহরে জল কষ্ট দেখা দিয়েছে এই পরিস্থিতিতে মুডিজ সতর্ক ক

মেদিনীপুরে আমরা বাঙালীর ত্রয়োদশ কেন্দ্রীয় সম্মেলন

২৮-৩০ জুন’ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রদূত, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম আত্মবলিদানকারী মেদিনীপুরের সুসন্তান শহীদ ক্ষুদিরাম বসু,শিক্ষাগুরু-সমাজসংস্কারক মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামের সন্তান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,পৌরুষের বজ্রকৌস্তুভ-আপোষহীন সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন ও মাতঙ্গিনী হাজরা সহ মেদিনীপুর জেলার বীর বিপ্লবীগণের স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন, ‘যাঁরা স্মরণীয়, যাঁরা বরণীয়’ নামাঙ্কিত এই পর্বে বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট, আমরা বাঙালীর কর্মী যাঁরা গত তিন বছরে পার্থিব জগৎ ত্যাগ করে চলে গেছেন তাঁদের স্মরণে ও করোনা মহামারী, বন্যার মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যাঁ

পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার প্রত্যুত্তর দেবে ঐক্যবদ্ধ বাঙালী

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

এক নাগাড়ে দীর্ঘ ৭৭ বছর ধরে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রের সরকার দেখে আসছে ভারতের নাগরিকগণ৷ কেমন ধরণের সরকার প্রথমে কংগ্রেস দল আসে দেশকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ করা ভারতবর্ষের ডানাহীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে শাসন করতে দলতন্ত্রের পতাকা হাতে নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের নাম নিয়ে৷ যেটি সত্যসত্যই গণতন্ত্র নয়৷ কূটনীতিতে পোক্ত বিদেশী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী সরকারের কূটচালে পাওয়া একটি খণ্ড রাষ্ট্রকে মাত্র শাসন করার অধিকার পায় কংগ্রেস!

বাঙলাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে গেলে যা করা প্রয়োজন

গমের সাথী ফসল হিসেবে পোস্তোর চাষও চলতে পারে৷ পোস্ত রাঢ়ের মানুষের প্রিয় খাদ্য৷ পোস্ত ফলের আঠা অহিফেন একটি সাংঘাতিক ধরণের মাদক দ্রব্য৷ অথচ এর বীজকোষের মধ্যস্থিত পোস্ত বীজ বা পোস্ত দানা একটি সাত্ত্বিক খাদ্য–রাঢ়বাসীর অতি প্রিয় ভোজ্য৷ দরিদ্র রাঢ় প্রতি বৎসর লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাইরে থেকে এই পোস্ত আমদানী করে৷ রাঢ়ের কৃষ্ণমৃত্তিকা যদিও পোস্ত চাষের পক্ষে অত্যুত্তম নয়, তবুও রাঢ়ের গমের ক্ষেতের চারিপাশে সীমান্ত রেখা হিসেবে আল বরাবর পোস্ত লাগানো যেতে পারে৷ গমের সঙ্গে বিমিশ্র ফসল হিসেবেও চাষ করা যেতে পারে৷ পোস্ত একটি আবগারি বিভাগীয় পণ্য, তাই এর চাষের  জন্যে

রাজনীতি ও দুর্নীতির মূলে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাজনীতি বলতে সাধারণত বোঝান হয় রাজার নীতি বা রাজ্য শাসন বিষয়ে নীতি শাস্ত্র৷ রাজার নীতি--- রাজনীতি---ষষ্ঠী তৎপুরুষ৷ প্রকৃত অর্থে রাজনীতি--- নীতির রাজা বা শ্রেষ্ঠ নীতি৷ তা রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে, সমাজের ক্ষেত্রে, অর্থনীতির ক্ষেত্রে, শিল্প সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে,  ধর্মের ক্ষেত্রে যে নীতি জড় জীব সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের পথ নির্দেশনা দেয় তাই রাজনীতি বা নীতির রাজা৷