August 2024

টেস্ট ও এক দিনের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্র্ম

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মাই৷ আগামী টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল পর্যন্ত রোহিতকেই জাতীয় দলের নেতৃত্বে দেখতে চান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে(বিসিসিআই) রোহিতে র নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আরও সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী জয়৷ এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারার পর তিনি বলেছিলেন, এই দলই ২০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতে আনবে৷ নিজের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত জয় বলেছেন, ‘‘আমাদের পরের লক্ষ্য টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি৷ আমি নিশ্চিত, রোহিতের নেতৃত্বে এই দুটো প্রতিযোগিতাতেও আমরা চ্যাম্পিয়

শিক্ষানীতি

পত্রিকা প্রিতিনিধি

প্রাউট অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য হ’ল–‘‘সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে’’৷ শিক্ষা হ’ল তাই যা বিমুক্তি অর্থাৎ স্থায়ী মুক্তি প্রদান করে৷ শিক্ষার প্রকৃত অর্থ হ’ল ত্রিভৌমিক বিকাশ–মানবীয় অস্তিত্বের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই তিনস্তরেই একসঙ্গে ও সমানভাবে উন্নতি৷ এর ফলে ব্যষ্টিত্বের সুসামঞ্জস্যপূর্ণ অগ্রগতি সংসাধিত হয়৷ এই শিক্ষা প্রসুপ্ত মানবীয় সম্ভাবনাকেও জাগিয়ে তোলে যাতে করে তার যথার্থ উপযোগ সম্ভবপর হয়৷ প্রকৃত শিক্ষিত তাকেই বলব যিনি প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেছেন, তা অনেক বেশী মনে রেখেছেন ও নিজের বৈবহারিক জীবনে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছেন৷

আশ্বাস কমিটির প্রশ্ণে নীরব সরকার - দেশে ‘দরিদ্র’ কারা?

দেশে গরিব মানুষ কারা তা জানতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী টাস্ক ফোর্স তৈরী করেছিলেন৷ সেই টাস্ক ফোর্স যথা সময়ে কয়েকটি সুপারিশসহ তাদের প্রতিবেদন জমা দেন৷ সেই প্রতিবেদনে এখন ধুলোর পাহাড়৷ সংসদে একাধিকবার বিরোধীরা প্রশ্ণ তুলেছেন দেশে গরিব কারা? গরিবি ঠিক করার সংজ্ঞা কি হবে? কিন্তু কোনবারই সরকারের কাছ থেকে কোন জবাব আসেনি৷ প্রতিবারই সরকার জবাব এড়িয়ে গেছে৷ সংসদের আশ্বাস বিষয়ক স্থায়ী কমিটিও ১৫-১৬ বার এই প্রশ্ণ তুলেছে৷ কিন্তু প্রতিবারই সরকার উত্তর এড়িয়ে গেছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয় সাধারণ মানুষের মাসিক খরচ হিসেব করে দারিদ্র চিহ্ণিত করার কাজ চলছে৷

আগরতলায় আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ১২,১৩,১৪ই জুলাই আগরতলা শহরে কলেজটিলা আনন্দমার্গ স্কুলে তিনদিনের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনদিনের এই সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক তত্ত্বের উপর৷ বিষয়গুলি ছিল--- প্রমা, আন্তরিক শক্তির উৎস, বৃহতের আকর্ষণ ও সাধনা, অর্থনৈতিক গণতন্ত্র৷ ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে পাঁচ শতাধিকের বেশী আনন্দমার্গী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন৷

আলোচনা সভায় প্রশিক্ষক ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সচিব আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও শিক্ষা সচিব আচার্য তথাগতানন্দ অবধূত৷ আচার্য তথাগতানন্দ আলোচনা করেন প্রমা ও আন্তরিক শক্তির উৎস৷

ত্রিপুরায় আক্রান্ত বাঙালীরা

ত্রিপুরার ধলাই জেলার গণ্ডাছড়ার অগ্ণিগর্ভ সন্ত্রাস, বাঙালীদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্ণিসংযোগের প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’৷ গত ৭ই জুলাই এক আনন্দমেলা কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত৷ সেখানে দুই গোষ্ঠীর দুই যুবকের মধ্যে মারামারি বেধে যায়৷ ঘটনায় আহত যুবককে সঙ্গে সঙ্গেই আগরতলার জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ কিন্তু শুক্রবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর৷ এই খবর এলাকায় পৌঁছাতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে৷ সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট,বাজার৷ উশৃঙ্খল কিছু মানুষ বাঙালীদের ঘরবাড়ী ও ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ বহু বাঙালী পরিবার ঘরবাড়ী ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়৷

আনন্দমার্গের একনিষ্ঠ সাধক ও কর্মী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক পরলোকে

গত ৩রা জুলাই ২০২৪,বেলা ১২:৫০ নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন হাওড়া জেলার আমতা উদং নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী তথা সমাজসেবী ও ‘নোতুন পৃথিবী’ পত্রিকার ধারাবাহিক লেখক শ্রীসমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রদত্ত মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের উপর শ্রী ভৌমিক নোতুন পৃথিবী পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন৷ এছাড়াও গণিত তত্ত্ব ও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়ের উপর সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিকের লেখা প্রবন্ধ নোতুন পৃথিবী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে৷মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর৷ দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সার মারন রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন৷ উল্লেখ্য ক্যান্সার রোগের সম্মুখীন হয়েও তিনি নোতুন প

আর কোনও ইজম্ নয়, প্রাউটের পতাকাতলে সকল নীতিবাদী এক হয়ে বিশ্বকে প্রকৃত সমাজতন্ত্রের পথ দেখাবে

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

পৃথিবীর বুকে বহু মনীষী এসেছেন৷ তাঁদের মহান বাণীকে বিকৃত করে খণ্ড ক্ষুদ্র ব্যষ্টি স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু চালাক লোক নিজেদের সংকীর্ণ মতবাদকে তাঁদের বাণী হিসাবে চালিয়ে চলেছে৷ সেই কারণে নানা মতবাদে আজ পৃথিবী ভারাক্রান্ত হয়ে এক ভয়ংকর জ্বলন্ত অগ্ণিকুণ্ডের আকার ধারণ করেছে৷ সব কিছু যেন জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ এই অগ্ণিগর্ভ অবস্থায় যিনি এলেন ও সমগ্র বিশ্বের মানুষ সহ জীবজন্তু, গাছপালাকে নোতুন করে অভয় বাণী দিয়ে গেলেন ও কিভাবে তারা সকলে সার্থকভাবে বিকশিত হবে তার পথ দেখিয়ে গেলেন তিনিই হলেন মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ওরফে শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ তিনি ঘোষণা করলেন যে পৃথিব

আগম ও নিগম

এটা সর্ববাদী সম্মত সত্য যে তন্ত্রের প্রবর্তক ছিলেন সদাশিব৷ সাধকদের সুবিধার জন্যে সদাশিব ও পাবর্তী কী করেছিলেন পার্বতী প্রশ্ণ করতেন, সাধারণ মানুষের মনে যে সমস্ত প্রশ্ণ উঠতে পারে ওই সমস্ত প্রশ্ণ করতেন৷ আর সদাশিব প্রশ্ণের উত্তর দিতেন৷ পার্বতীর প্রশ্ণ ছিল জ্ঞানাত্মক তথা পরিপ্রশ্ণাত্মক ৷ একে বলা হয় নিগম আর শিবের উত্তরকে বলা হয় আগম৷

‘‘আগতং শিববক্তেভ্যো গতং চ গিরিজা শ্রুতৌ৷

মতং চ বাসুদেবস্য তস্মাৎ আগম উচ্যতে৷৷’’

প্রাউটের পঞ্চম মৌলিক সিদ্ধান্তের বিশেষত্ব

প্রাউটের পঞ্চম মৌলিক সিদ্ধান্ত নিম্নরূপ ঃ---

‘‘দেশ কাল পাত্রৈঃ উপযোগাঃ পরিবর্ত্তন্তে,

          তে উপযোগাঃ প্রগতিশীলাঃ ভবেয়ুঃ৷’’

---দেশ-কাল-পাত্রের পরিবর্ত্তন অনুযায়ী সমগ্র উপযোগ নীতির পরিবর্ত্তন হতে পারে আর এই উপযোগ হবে প্রগতিশীল স্বভাবের৷

বিলম্বিত বোধোহয়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

৭৭ বছর হয়ে গেল দেশ স্বাধীন হয়েছে৷ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আস্থা রেখে স্বাধীন দেশের জনগণের সরকার দেশের শাসন ভার হাতে নিয়েছে৷ এই ৭৭ বছরে আমরা কি পেলাম, কি হারালাম দেশের কি কল্যাণ হয়েছে তার হিসাব নিতে গেলে অনেকেই বলবেন কি দরকার অতীতের জাবর কেটে! বর্তমানের দুঃখ দুর্দ্দশা কিভাবে দূর হবে সেই পথ দেখান৷ লাভ বিশেষ না হলেও অতীতের জাবর কাটা একেবারে যে অমূলক তাও বলা যাবে না৷ সব আলোচনা সকল দেশবাসীর কাছে সন্তোষজনক নাও হতে পারে, তবে শুভ পরিণাম যদি কিছু থাকে তার ফল সকল দেশবাসীর জন্যে৷ মূল প্রশ্ণ ৭৭ বছরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কতটা সার্থকরূপ পেয়েছে৷