January 2025

ধরা আর সরা

দেশজ শব্দে ‘ট’ যথাযথভাবেই বজায় থাকে৷ আর ‘ড’ বা ‘ড়’ মৌলিক শব্দ হিসেবেই থেকে যায়৷ যেমন, আজ ভুলোর সঙ্গে ভোঁদার আড়ি হয়ে গেল৷ ওরা বলছে, ওরা আর একসঙ্গে মার্ৰেল খেলবে না, একটা পেয়ারাও আর কামড়াকামড়ি করে খাবে না৷ গোপনে কান পেতে শোনাকেও আড়িপাতা বলে৷ এটিও বাংলা দেশজ শব্দ৷

কর্কট রোগ (ক্যান্সার)

লক্ষণ ঃ আক্রান্ত স্থানে কাটা–ছেঁড়ার মত যন্ত্রণা, অতিরিক্ত অসহিষ্ণুতা বোধ, স্পর্শকাতরতা, দুর্বলতা, বমনেচ্ছা প্রভৃতি এই ব্যাধির প্রধান লক্ষণ৷ রোগটির প্রথম অবস্থায় রোগী বিশেষ কোন যন্ত্রণা অনুভব করে না, তাই প্রথমের দিকে রোগটি প্রায়শই উপেক্ষিত হয়৷

 ঢেঁকি

‘ঢেঁকি’ মানে ভারী বস্তু৷ প্রাচীনকালে আর্যরা যখন ভারতে এসেছিল তারা তখন যব, রাই ও অন্যান্য শস্যের খোসা ছাড়ানোর জন্যে উদূখল্‌ (উখ্‌ড়ি) ব্যবহার করত৷ ভারতের সাবেকী ৰাসিন্দারা ব্যবহার করত ঢেঁকি৷ উখ্‌ড়ি চালাতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ঢেঁকিতে পাট দিতে গেলে তার চেয়ে অনেক কম শক্তির প্রয়োজন৷ তাই কালক্রমে, ঢেঁকি উদূখল্‌কে স্থানচূ্যত করলে৷ ঢেঁকির কোন সংস্কৃত প্রতিশব্দ নেই৷

ধানের তুষ ছাড়াবার অথবা ধান থেকে চিড়ে তৈরী করবার এক একটি দেশীয় যন্ত্রবিশেষ৷ ঢেঁকি একটি অনার্য উপকরণ৷

গুণগত কারণে গ্রামের নাম

গ্রামের নাম অনেক সময় গুণগত কারণেও হয়ে থাকে৷ ৰাঙলার গ্রামেগঞ্জে প্রচুর সাপ রয়েছে৷ রাঢ়ে গোখরো সাপের সংখ্যা প্রচুর৷ রাঢ়ী ৰাংলায় এদের নাম ‘খরিস’৷ যাই হোক, যে গ্রামে সাপের সংখ্যা খুব বেশী তার নাম রাখা হয়েছিল সর্পলেহনা (বীরভূম)৷ এইরূপ মানভূম জেলায় রয়েছে ‘মণিহারা’, বাঁকুড়া জেলায় ‘মুকুটমণিপুর’ ইত্যাদি৷

অর্থকে সচল রাখো

অর্থের মূল্য ৰেড়ে চলে তার চলমানতায় অর্থাৎ টাকা যত হাত ঘুরতে থাকে ততই তার মূল্য ৰাড়তে থাকে৷ টাকা যত সিন্ধুকে বন্ধ থাকবে তত মরচে পড়বে, ছাতা ধরবে, তার মূল্য তত কমে যেতে থাকবে৷ এইটাই অর্থনীতির মৌলিক কথা৷ এই জনকল্যাণের কথা ভেবে কৌশীদ ব্যবস্থা রাখতে হয় ও জনগণের সামগ্রিক আর্থিক উন্নতির কথা ভাবতে গেলে কৌশীদ ব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে যায়৷Keep the wagons moving - এর মতোkeep coins (money) moving -কথাটা সমভাবে সত্য৷ তবে কৌশীদকে এই ব্যাপারে দু’টি জিনিসের দিকে নজর রাখতে হবে৷ একটা হচ্ছে কৌশীদ ব্যবস্থা এমন যেন না হয় যার রাক্ষুসী ক্ষুধায় সাধারণ মানুষের জীবন কুশীদ

‘তলা–তালা–বনী’ সংযুক্ত স্থানের নাম

কোন বড় গাছের নীচেকার জায়গাকে ‘তলা’ বা ‘তলী’ বলা হয়৷ এই তলা বা তলী নিয়েও অনেক জায়গার নাম হয়৷ যেমন–নিমতলা, কেওড়াতলা, তালতলা (কলকাতা), আগরতলা (ত্রিপুরা), বাদামতলা ইত্যাদি ‘তলী’ দিয়ে যেমন–আমতলী, কুলতলী, ফুলতলী৷ কোন একটি স্থান কোন বিশেষ বস্তুতে বা কাজে ব্যবহূত হ’লে সেক্ষেত্রেও ‘তলা’ ব্যবহূত হয়৷ তবে এই ধরনের ক্ষেত্রে ‘তলী’ ব্যবহূত হয় না৷ যেমন–চণ্ডীতলা (হুগলী), কালীতলা, পঞ্চাননতলা (চন্দননগর), মাচানতলা (বাঁকুড়া), পোড়ামাতলা (নবদ্বীপ), ষষ্ঠীতলা (কৃষ্ণনগর), বুড়ো শিবতলা (চন্দননগর) প্রভৃতি৷ এছাড়া হাটতলা ও রথতলা তো অনেক জায়গাতেই রয়েছে৷

পাটলিপুত্র/পটনা

আগেই আমরা কুসুমপুর নিয়ে আলোচনা করেছি৷ বিম্বিসারের সময় অর্থাৎ ৰুদ্ধের সময় রাজগিরি বা গিরিব্রজ ছিল মগধের রাজধানী৷ সেখানে ছিল জলাভাব৷ রাজধানীতে জলের প্রাচুর্য থাকা দরকার৷ সেকালে গঙ্গা ও শোণ নদী যেখানে মিলত, ৰুদ্ধ সেখানে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন–এই স্থানটিতে মগধের রাজধানী হলে সব দিক দিয়ে সুবিধা হয়৷ সেখানে ৰুদ্ধের শিষ্যদের মধ্যে পাটলীপুত্ত্র নামে এক বণিক উপস্থিত ছিলেন৷ সেকালে মগধে নামকরণে পিতৃগত ও মাতৃগত কুলের একটা সমন্বয় ঘটেছিল৷ মায়ের নাম রূপসারি, তাই ছেলের নাম সারিপুত্ত মায়ের নাম মহামৌদগলী (মহামগ্গলি), তাই ছেলের নাম মহামৌদগ্ল্লন অরহণ (মহামগ্গল্লন)৷ তেমনি মায়ে নাম পাটলী তো পুত্ত্রর নাম পাটলীপুত্ত্র৷ এই

নিউব্যারাকপুরে মার্গগুরু দেবের পদার্পণ দিবস

১৯৭৯ সালের ১৪ই জানুয়ারী আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী উঃ২৪পরগণা জেলার নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন৷

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি তাঁর পার্থিব দেহত্যাগ করার পর থেকে প্রতিবছর ১৪ই জানুয়ারী নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গগুরুদেবের পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷

সাম্প্রদায়িক ভৌগোলিক বিভাজনের পর স্বাধীনতায় বিভাজন--- ১৫ই আগষ্ট রাজনৈতিক স্বাধীনতা, প্রকৃত স্বাধীনতা ২২শে জানুয়ারী - প্রাউটিষ্টদের দাবী অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বুদ্ধির মুক্তি

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেয়েছিল৷ কিন্তু ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে ২০২৪ সালের ২২শে জানুয়ারী রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিন৷ এমনটাই দাবী করলেন সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত৷

সবকা সাথ সবকা বিকাশ কি তাহলে হিন্দুত্বের সাথে হিন্দুত্বের বিকাশে পরিণত হলো৷ বিরোধী নেতারা এমনটাই মনে করছে৷ এক দেশ এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, দেবত্ব সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণে হিন্দু বোর্ড হিন্দু রাষ্ট্রের রূপায়নে কদম কদম এগিয়ে চলেছে মোদি সরকার৷

১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি৷ অস্ট্রেলিয়ার গ্রুপে রয়েছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান৷

পাকিস্তানের মতোই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা করে দিল অস্ট্রেলিয়াও৷ ১৫ জনের দলে নেই তিন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার৷ তাঁদের বদলে দুই নতুন মুখ জায়গা পেয়েছেন৷