সংবাদ দর্পণ

উত্তরপ্রদেশের একাধিক প্রান্তে শিয়ালের উপদ্রব

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে মানুষখেকো নেকড়ের হামলার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মনে৷ এরই মধ্যে আবার শিয়ালের হানা৷ এ বারও সেই উত্তরপ্রদেশেই৷ শনিবার উত্তরপ্রদেশের পিলভিট জেলার দু’টি গ্রামে শিয়ালের হানায় অন্তত সাত জন জখম হয়েছেন৷ জখমদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও৷ প্রাথমিক ভাবে গ্রামবাসীরা সন্দেহ করেছিলেন নেকড়ের হানা৷ তবে পরে বন দফতরের তরফে জানানো হয়, সেগুলি নেকড়ে ছিল না৷ পার্শবর্তী বনাঞ্চল থেকে শিয়াল প্রবেশ করেছিল গ্রামে৷ পিলভিট জেলার জেহানাবাদ থানার অন্তর্গত দু’টি গ্রামে তাণ্ডব চালায় শিয়াল৷ শিয়ালের কামড়ে জখম হয় দুই শিশু এক জনের বয়স তিন বছর, অপর জনের ন’বছর৷ এ ছাড়া আরও পাঁচ জনকে জখম করে ওই শিয়াল৷ জখমদের উদ্ধার করে দ্রুত পাঠানো হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে৷ শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে বিভাগীয় বন আধিকারিক মণীশ সিংহ জানিয়েছেন, প্রথমে গ্রামবাসীরা দাবি করছিলেন নেকড়ে হামলা চালিয়েছে৷ তবে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি৷ পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখে বনকর্মীরা নিশ্চিত হয়েছেন শিয়ালের হামলা ছিল৷ শনিবারের এই ঘটনার পর বন দফতর আরও সজাগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ গত শনিবারই উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকর নগর জেলাতেও পৃথক একটি ঘটনায় শিয়ালের হামলায় তিন জন জখম হয়েছেন৷ তাঁদেরও নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য৷ মূলত খাবারের সন্ধানেই বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে শিয়াল প্রবেশ করছে বলে মত বন আধিকারিকদের৷

উল্লেখ্য, বহরাইচের ঘটনার পর থেকে উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, এমনকি মধ্যপ্রদেশেও মানুষখেকোর আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ শুক্রবার রাতে মধ্যপ্রদেশের খান্দওয়া জেলায় নেকড়ের হামলায় জখম হয়েছেন পাঁচ জন৷ পার্শবর্তী গ্রামগুলিতেও ছড়িয়েছে আতঙ্কের বাতাবরণ৷ পরিস্থিতি যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে নেকড়ে ভেবে সারমেয়দের হত্যার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে বহরাইচ থেকে৷

বৃষ্টিতে ভাসছে হিমাচল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ আগামী দিনে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর৷ সেই সঙ্গে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে হড়পা বানের৷ রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টির জেরে শিমলা-সহ রাজ্যের ৬০টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷

তার মধ্যে মান্ডিতে বন্ধ ৩১টি রাস্তা৷ শিমলায় ১৩, কাংড়ায় ১০, কিন্নৌরে ৪, কুলুতে ২, উনা, সিরমৌর, লাহুল ও স্পিতিতে একটি করে রাস্তা বন্ধ৷ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, কিন্নৌর জেলায় নেগুলসারির কাছে ৫ নম্বর জাতীয় সড়র বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি জল সরবরাহ কেন্দ্র বৃষ্টির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহে প্রভাব পড়েছে৷

গত শনিবার রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে৷ উনাতে বৃষ্টি হয়েছে ৪৮ মিলিমিটার, কুরফিতে ১৯ মিমি, সাংলায় ১৭, জুববারহাট্টিতে ১৫, মান্ডিতে ১৫, কল্পতে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ বর্ষার মরসুর শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে রাজ্যে৷ সাধারণত এই মরসুমে ৬৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়৷ সেখানে এ বার ৫২২ মিলমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ গত ২৭ জুন থেকে ৭ সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত ১৫৮ বৃষ্টি এবং ধসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫৮ জনের৷

আমরা বাঙালীর জেলা সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

৮ই সেপ্ঢেম্বর,রবিবার শতাধিক সদস্য-সদস্যাদের উপস্থিতিতে পুরুলিয়া শহরের ‘জ্রাগত রাঢ় ভবনে’ আমরা বাঙালী সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল৷ এই সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সহ সচিব সুশীল কুমার মাহাতো, কেন্দ্রীয় পঞ্চশাখা সচিব নাগেশ্বর মাহাতো, প্রাউট ভুক্তিপ্রধান মকর মাহাতো৷ এদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমরা বাঙালী-র প্রবীণ নেতা তথা বিশিষ্ট প্রাউটিস্ট প্রফুল্ল মাহাতো৷ ১৬জন সদস্য-সদস্যা বিশিষ্ট পুরুলিয়া জেলা কমিটি গঠন হয়৷ লক্ষীকান্ত মাহাতো পুরুলিয়া জেলা সচিব নির্বাচিত হন৷ শেষে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এই সম্মেলনের আহ্বায়ক তথা রাঢ় সাংগঠনিক সচিব সুধীর মাহাতো৷

আমরা বাঙালী ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আমরা বাঙালী সংঘটনের ত্রিপুরা রাজ্যসচিব শ্রীগৌরাঙ্গরুদ্র পাল এক প্রেস বার্র্তয় জানান আগামী ২১,২২শে সেপ্ঢেম্বর ত্রিপুরা রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগরতলা রাজ্য কার্যালয়ে৷ এই সম্মেলনে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকের সক্রিয় কর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন৷ ২১শে সেপ্ঢেম্বর সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সাংঘটনিক পর্যালোচনা ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে৷ ২২শে সেপ্ঢেম্বর সাংঘটনিক নির্বাচন ও দলের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে৷

ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর স্তম্ভ অপরাধী - সমাজ অপরাধ মুক্ত হয় না

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---এ কেমন স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা! যেখানে মাতৃজাতির নিরাপত্তা থাকে না, সম্মান থাকে না৷ আর.জি.কর ঘটনা প্রসঙ্গে শ্রী খাঁ বলেন যেখানে নিয়োগ পদ্ধতি থেকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা সবকিছুই ত্রুটিপূর্ণ৷ হাসপাতালের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেখানে রাতে মহিলা ডাক্তার বিশ্রাম নেয়, সেখানে মহিলা নিরাপত্তা কর্মী রাখা উচিত ছিল৷

তাছাড়া অপরাধী হিসাবে যাকে ধরা হয়েছে তাকে নিয়োগের আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু অনুসন্ধানই করা হয়নি৷ শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরেও যে ঘুঘুর বাসা তৈরী হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয়, কারণ তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের উন্নতির দিকে যতটা নজর দিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতির আখড়া ভাঙতে ততটাই অবহেলা করেছেন৷

শ্রীখাঁ বলেন তবে রাজনৈতিক গণতন্ত্রে ও ধনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় দুর্নীতি, অপরাধ থাকবেই৷ যুব সমাজকে অপরাধ জগতের দিকে ঠেলে দিয়ে অবাধ শোষণের রাস্তা খোলা রাখতে চায় পুঁজিপতিরা৷ যাতে ছাত্র ও যুব সমাজ শোষণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷ নানা অপরাধ ও ভাবাবেগে মাতিয়ে রেখে শোষণ চালিয়ে যেতে চায় পুঁজিপতিরা৷ রাজনৈতিক দলগুলো একাজে পুঁজিপতিদের দোসর৷ পুঁজিপতিরা অশ্লীল হীনরুচির সাহিত্য চলচিত্র গানের মাধ্যমে যুব সমাজের দৃষ্টি নীচতার দিকে ঠেলে দেয়, আর রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনে জিততে নানা অসদ উপায় অবলম্বন করে ছাত্র যুব সমাজের মাধ্যমেই৷ এই ব্যবস্থা যতদিন চালু থাকবে আর.জি.কর কাণ্ডের অপরাধীর কঠোর সাজা দিলেও সমাজ অপরাধমুক্ত হবে না৷ শোষণ ও অপরাধ মুক্ত সমাজ গড়তে হলে শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ ৭৭ বছর ধরে শাসক দলগুলি ছাত্র-ছাত্রাদের পলিটিক্যাল ডল বানাবার ছাঁচ তৈরী করেছে শিক্ষা ব্যবস্থায়৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়ও সীমাহীন বৈষম্য ছাত্র-যুব সমাজকে অপরাধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৷

শ্রী খাঁ বলেন শুধু অপরাধীর শাস্তি দিলেই হবে না, সমাজকে বদলাতে হবে৷ শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে প্রাথমিক স্তর থেকেই নৈতিক শিক্ষায় অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার মুক্ত আধ্যাত্মিক অনুশীলনে গুরুত্ব দিতে হবে৷ অর্থনীতির খোল নলচে পাল্টে প্রাউট প্রবর্তিত বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থার প্রচলন করে প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে৷ তবেই সম্ভব হবে আদর্শ সমাজ ঘটন করা৷

জিডিপির পূর্বাভাস মেলেনি-আর্থিক বৃদ্ধি ১৫ মাসে সর্বনিম্ন

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০২৪-২৫ আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যানে আর্থিক বৃদ্ধির যে পূর্বাভাস রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দিয়েছিল, যা নিয়ে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা আর্থিক বৃদ্ধির বড়াই করছিলেন তা যে অসার প্রথম ত্রৈমাসিক আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে কেন্দ্রই জানিয়ে দিল৷ গত পাঁচটি ত্রৈমাসিকে এটাই সর্বনিম্ন জিডিপি বৃদ্ধির হার৷ আগের ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮ শতাংশ ২০২৪-২৫-এর প্রথম তিন মাসে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসকে ভুল প্রমান করে প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশ৷

‘আমরা বাঙালী’ নেতা শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন---জিডিপির সঙ্গে দেশের সার্বিক আর্থিক চিত্রের কোন সম্পর্ক নেই৷ জিডিপি বৃদ্ধির হার দেখিয়ে সরকার আর্থিক বিকাশের যে বড়াই করে তা দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা৷ আর্থিক বৃদ্ধির যে ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান সরকার প্রকাশ করে তা মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণীর সঙ্গে সম্পর্কিত৷ সাধারণ মানুষ কি উৎপাদন করে কি খায় তা দেশের অর্থনীতিবিদরা জানেন না, হিসাবের মধ্যেও ধরে না৷

শ্রী বিশ্বাস বলেন পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক গণতন্ত্রের দেশ ভারতবর্ষে আর্থিক পরিকল্পনা তৈরীই হয় শোষকের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে৷ তাই অর্থনৈতিক বৈষম্য আকাশ-পাতাল৷ এই বৈষম্য দূর করার একমাত্র পথ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থা রূপায়ন করতে হবে৷ আর্থিক ক্ষমতা থাকবে সাধারণ মানুষের হাতে৷ জীবন ধারণের সর্বনিম্ন প্রয়োজনপূর্ত্তির ক্রয়ক্ষমতা প্রতিটি মানুষকে দিতে হবে৷ যে দিন এটা সম্ভব হবে সেদিনই আর্থিক বিকাশের বড়াই করা শোভা পাবে৷

মার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৭ই আগষ্ট শনিবার সন্ধ্যায় রঘুনাথবাড়ি আনন্দমার্গ স্কুলের জাগৃতিভবনে ঘাটালের হরিসিংপুর গ্রাম নিবাসী শ্রী পলাশ বাগের সঙ্গে পাঁশকুড়ার গৌরাঙ্গপুর গ্রামনিবাসী শ্রীমতী সুস্মিতা মাইতির শুভ পরিনয় সুসম্পন্ন হল৷ প্রভাতসঙ্গীত, কীর্তন ও মিলিত সাধনার পর মূল বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত এবং পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ মধুপর্ণা আচার্যা৷ আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত ও আচার্য মোহনানন্দ অবধূত সারাক্ষণ উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করেছেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী পার্থসারথি পাল৷

শ্রাবণী পূর্ণিমা ও ডিট লেভেল সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯শে আগষ্ট সোমবার দীঘা আনন্দমার্গ আশ্রমে শ্রাবণী পূর্ণিমা ও ডিট লেভেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হল৷ শুধু কাঁথি ও দীঘা ডিটের মার্গী নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মার্গী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজেদের ধন্য করেছেন৷ সকালে তিন ঘণ্টার অখণ্ড কীর্তন ও মিলিত সাধনার পর শ্রাবণী পূর্ণিমা দিনটির তাৎপর্য ও মানবজীবনে সাধনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ দুপুরে মিলিত আহারের পর সেমিনারে ক্লাস নিলেন বিশিষ্ট মার্গী শ্রী শুভেন্দু ঘোষ৷ বিকাল সাড়ে চারটায় অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়৷

মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা সেপ্ঢেম্বর পায়রা ডাঙ্গা নিবাসী শ্রী রজত গুহনিয়োগী ও শ্রীমতি শর্মিষ্ঠা গুহ নিয়োগীর নব জাতক পুত্রের মুখে ভাত ও নামকরণ অনুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে সম্পন্ন হয় নদীয়া জেলার মদনপুর নিবাসী শ্রীমতি অনিমা মণ্ডলের বাসগৃহে৷

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিবেশন করেন মার্গী ভাই বোনেরা৷ মিলিত সাধনার পর অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আনন্দমার্গের প্রবীন সন্ন্যাসী দাদা আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের নারীকল্যাণ বিভাগের কৃষ্ণনগর ডিট সেক্রেটারী ব্রহ্মচারিনী শুদ্ধা আচার্যা, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা৷

কৃষ্ণনগরে আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর মনোজ্ঞ আলোচনা চক্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৫শে আগষ্ট,২০২৪ রবিবার, বার্নীয়া, নদীয়া জেলার অন্তর্গত বার্নীয়া সংলগ্ণ উজিপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রা ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে আনন্দমার্গ নদীয়া জেলার শাখার ব্যবস্থাপনায় আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর একটি মনোজ্ঞ আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়৷ আলোচনায় আনন্দমার্গের সাধনা বিষয় সহ আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে ২ঘন্টা ৩০ মিনিট ধরে মূল্যবান আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন --- নদীয়া জেলা আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিশিষ্ঠ প্রবীন তাত্বিক ও সুবক্তা শ্রী গোরাচাঁদ দত্ত মহাশয়৷ তাঁর আলোচনা উপস্থিত অতিথিবৃন্দ কর্তৃক ভূয়সী প্রসংসিত হয়েছে ও তাঁদের মধ্যে থেকে আনন্দমার্গের প্রতি অনুপ্রানিত হয়ে ২৬জন আনন্দমার্গের সাধনা শেখেন৷ এ ছাড়া কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা তথা কৃষ্ণনগর ডিটএস ---এল ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা কর্তৃক মূল্যবান আলোচনাও উপস্থিত সকলকে মুগ্দ করেছে৷ সাধনা শেখান ব্রহ্মচারিণী শুদ্ধা আচার্যা৷