১৪ই সেপ্ঢেম্বর কলকাতা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পালিত হলো ৪১তম প্রভাত সঙ্গীত দিবস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের রচয়িতা ও সুরকার প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার(আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে পরিচিত) দেওঘরের শান্ত-স্নিগ্দ পরিবেশে প্রথম প্রভাত সঙ্গীত দিলেন---‘‘বন্ধু হে নিয়ে চলো....’’৷  তারপর মাত্র আট বছরের মধ্যে তিনি দিলেন ভাব-ভাষা-সুর ও ছন্দের বৈচিত্রে ভরা নানা ঘরানার ৮টি ভাষায় ৫০১৮টি গান, সুর সংযোজনাও তিনিই করেন৷ সেই উপলক্ষ্যে প্রতিবছর বিশ্বের প্রতিটি আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷

এইদিন কলিকাতায় আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় আশ্রমে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সাংস্কৃতিক শাখা রেনেসাঁ আর্টিস এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে নাচে গানে মুখরিত হয় আশ্রম প্রাঙ্গন৷ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত, আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দকরুণা আচার্যা৷

আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন নানা ঘরানার প্রভাত সঙ্গীতের বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্র্যের কথা৷ তিনি বলেন--- মাত্র আট বছরে ৫০১৮টি সঙ্গীত তিনি রচনা করেন বিভিন্ন ঘরানার বিভিন্ন ভাষায়৷ ভাষা-সুর-ছন্দের বৈচিত্র্যভরা প্রভাত সঙ্গীত মানুষের হৃদয়ের গভীরে পৌঁছে দেয় নবজাগরণের বার্র্ত৷ আজকের সাংস্কৃতিক জগত কুহেলিকায় আচ্ছন্ন৷ নন্দন জগতের পরতে পরতে আজ অবক্ষয়ের সুস্পষ্ট ছবি৷ এই ক্ষয়িষ্ণু অসুস্থ সংস্কৃতির জগতে সুস্থ সংস্কৃতির বৈপ্লবিক চেতনার সুপ্রভাতে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রভাত সঙ্গীতের আবির্ভাব৷

কলিকাতা ছাড়াও এইদিন পশ্চিমবঙ্গে জেলায় জেলায় ও অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ বর্হিঃভারতেও আনন্দমার্গের ইয়ূনিটগুলিতে সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ আনন্দনগরে রোটান্ডায় এই দিন প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷