গঙ্গাসাগর ঃ সাগরে ডুব দিলেই সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়ে যাবে আর পুণ্যের থলি ভরে যাবে--- এই লোভে লক্ষ লক্ষ মানুষ পৌষ সংক্রান্তিতে সাগর সঙ্গমে এলেন৷ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৩৫ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হয়েছে৷ জেলায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ প্রত্যেকটি মৃত্যু স্বাভাবিক বলে জানানো হয়েছে৷
যদিও শাস্ত্রেই বলা হয়েছে, অন্যের উপকার করলে পুণ্য আর অন্যের ক্ষতি করলেই পাপ৷ অপরের উপকার না করে, শীতের সকালে সাগরে ডুব দিলেই জীবনের সব পাপ হয়ে যাবে ও পুণ্যের থলি পূর্ণ হয়ে যাবে--- এটা অন্ধবিশ্বাস বলেই প্রকৃত সাধকদের মত৷ আবার অনেকে তো সামান্য কয়েকটা টাকা খরচ করে গোরুর লেজ ধরে বৈতরণী পার হয়ে সমস্ত পাপ ক্ষয় করে অক্ষয় স্বর্গবাসের ব্যবস্থা করেছেন৷ অনেককেই সারিরবদ্ধভাবে এইভাবে গোরুর লেজ ধরে বৈতরণী পার হতে দেখা গেল৷ তাতে গোরুর মালিকদের ও পুরোহিতদেরও মোটা আয় হ’ল৷
দেশের বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠী যাঁরা মুখে ধর্মকে সমর্থন করেন না বলে বলেন, তাঁরা কিন্তু এই অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার তথা ডগ্মার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলেন না৷ বুদ্ধিজীবীদের এই ভূমিকাও আশ্চর্যজনক৷ সেই সঙ্গে আশ্চর্যজনক দেশের বিশিষ্ট নেতৃবর্গের আচরণও৷ তাঁরা দেশবাসীর কতটা কল্যাণ চান---এটা এখন প্রশ্ণ!