আবার জঘন্য ভাগাড় কাণ্ড!

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মানুষ কতটা নীচে নেমেছে ভাবা যায় না! কিছুদিন আগেই ধরা পড়ল ভাগাড়ের মৃত গোরু-ভেড়া -কুকুর-বিড়ালের মাংস কেমিক্যালস্ দিয়ে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোযঁবায় পাঠানো হ’তো৷ তারপর পুলিশী ব্যবস্থা, জেল হাজত কত কি হল! চারিদিকে দারুণ নিন্দাবাদ! তারপর কিছুদিন চুপচাপ ৷ আবার সেই একই কান্ড৷ মানুষের নৈতিক মান কতটা নীচে নেমে গেলে মানুষ এমনি ঘৃণ্য কাজ করতে পারে--- সেইটাই ভাবার বিষয়!

 বারাসত-দেগঙ্গার সীমানায় একটা ফাঁকা জায়গায় খাল ধরে উঁচু পাঁচিল ঘেরা একটি নির্জন স্থানে এই পচা মাংসের কারবার চলত৷ বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট গাড়ীতে করে বিভিন্ন মৃত পশুর পচামাংস আনা হত৷ তারপর সেগুলোকে ছাড়িয়ে বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে দুর্গন্ধমুক্ত করে ভাল করে প্যাক করে এবার বারাসাত, মধ্যমগ্রাম , বিমানবন্দর ও কলকাতা শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরায় পাঠানো হ’ত৷

গত ২৬শে নবেম্বর স্থানীয় জনসাধারণই এই পচামাংস পাচার চক্রকে মাংসের গাড়ীসহ ধরে পুলিশকে জানায়৷ পুলিশ তাদের একজনকে গ্রেফতার করেছে৷ নাম সফিয়ার রহমান৷ বাকী দু’জন পালিয়ে গেছে৷

বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যালস দেওয়া এই পচা মাংস মানুষের শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ সৃষ্টি করে৷ খাদ্যের নামে মানুষ এইভাগে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোয়ার বিষ খেয়ে চলেছে!