মুখ্যমন্ত্রীর বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই আর.জি.কর ঘটনার তদন্ত পুলিশের হাত থেকে সিবি আই-এর হাতে তুলে দিল কলিকাতা উচ্চ আদালত৷ গত ১২ই আগষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে ছিলেন পুলিশ ১৮ই আগষ্টের মধ্যে কিনারা করতে না পারলে আর.জি.কর ঘটনার তদন্ত সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ কিন্তু তার আগেই কলিকাতা উচ্চ আদালত গত ১৩ই আগষ্ট আর জি কর ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়৷ উচ্চ আদালতে ৫টি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল৷ কলিকাতা উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে এই তদন্ত হবে৷ তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানির দিন তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দিতে হবে৷
আর জি কর মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা এই রায়ে খুশি নন৷ তবে এই ব্যাপারে ছাত্ররা দ্বিধা বিভক্ত৷ কিছু ছাত্র সিবিআই তদন্তে খুশি হলেও কেউ কেউ আবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী তুলেছে৷ কারণ সিবিআই একটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তাদের সাফল্যের হার নগণ্য৷ শান্তিনিকেতনের নোবেল চুরি থেকে রাজ্যের বহু ঘটনার কিনারা সিবিআই আজও করতে পারেনি৷ তাই ওই ছাত্রদের দাবী উচ্চ আদালতের কোন কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করতে হবে৷
উচ্চ আদালতের রায়ে রোগী-পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্যে পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে৷ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলছেন---যে ঘটনা ঘটেছে তাতে চিকিৎসকদের অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ স্বাভাবিক৷ তবে এই পবিত্র পেশায় রোগীদের প্রতি দায়ীত্ব চিকিৎসকরা অবহেলা করতে পারেন না৷ সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ৷ এই শ্রেণীর রোগীর কথা ভেবে আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসতে আবেদন করে আদালত৷
নিহত ডাক্তারের পিতা সিবিআই তদন্তের কথা শুনে বলেন--- আলাদা করে খুশি হওয়ার কিছু নেই৷ মেয়েকে আর ফিরে পাব না, আমি ন্যায় বিচার চাই৷ মুখ্যমন্ত্রীকেও সে কথা বলেছি৷