দুবরাজপুরের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়গুণসীমা গ্রামের এমজিআর ক্রিকেট অ্যাকাডেমির৷ বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে উঠা এই ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকেই বাংলা সিনিয়র ক্রিকেট দলের অনুশীলনের জন্য বাছা হয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে প্রাকমরসুম ক্রিকেটের প্রস্তুতি শুরু করেছেন বাংলা দলের খেলোয়াড়েরা৷ আগামী ৫ সেপ্ঢেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দলীপ ট্রফি৷ বাংলা দলের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার ওই দলে আছেন৷ অক্টোবরে শুরু হচ্ছে রঞ্জি ট্রফি৷ তাই ১৫ অগস্ট থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল৷
জানা গিয়েছে, ৪৪ জন ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে মোট ৫৫ জন আছেন এই আবাসিক শিবিরে৷ সূত্রের খবর, প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত হলেও আবাসিক শিবির করার উপযুক্ত মাঠ ও খেলোয়াড়দের থাকার জন্য হস্টেল-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো রয়েছে এখানে৷ স্টেডিয়ামটি তৈরি করিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ মহিম৷ যিনি দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষও বটে৷ দিন কয়েক আগেই বাংলার জুনিয়র দলও এখানে আবাসিক শিবির করে গিয়েছে৷ সিএবির সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বীরভূম ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক বিদ্যাসার সাউ মারফত স্টেডিয়ামটি ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা করেন৷
মাঠ দেখে খুশি লক্ষ্মীরতন বলেন, ‘‘মাঠ তো বটেই তিন তারা হোটেলের মতো হস্টেল রয়েছে৷ খাওয়ার ব্যবস্থা, সুইমিংপুল, জিম... কী নেই৷’’ তবে বর্ষার সময় এই জায়গাটিকে বেছে নেওয়ার পিছনে অন্য কারণও রয়েছে বলে জানান লক্ষ্মীরতন৷ তাঁর কথায়, ‘‘পঙ্কজ রায় স্যর থেকে শুরু হয়েছিল, তার পরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, আমি, তার পরে অভিষেক পোড়েল চারটে প্রজন্ম কলকাতায় এই তিন মাস বৃষ্টির জন্য অফ সিজনে প্র্যাকটিস আউটডোরে করতে পারিনি৷ অক্টোবরে রঞ্জি৷ আগে এই সময়টায় পুঁদুচেরি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর মতো বাইরের জায়গায় প্র্যাকটিসের জন্য যেতে হত৷ মাঠে অনুশীলন না করে কী ভাবে ম্যাচ খেলা হবে৷’’