লক্ষ্যপূরণ হয়েছে ভারতের৷ অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে হারিয়ে বর্ডার গাওস্কার ট্রফি যেমন জেতা দ্রাবিড়ের অন্যতম সেরা সাফল্য আবারও একটি আইসিসি ট্রফির ফাইনালে ভারতকে তোলা৷ বহু বছর ধরে কোনও আইসিসি ট্রফি না জেতা ভারত কি এ বার পারবে শেষ বাধা টপকাতে? দ্রাবিড় মানছেন, কঠিন কাজ৷ কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি৷
গত সোমবারের ম্যাচের পর ভারতীয় দলের কোচ একটু চিন্তান্বিত৷ কারণ আই পি এল ফাইনাল ও বিশ্ব টেস্ট ফাইনালের মাঝে সময় বড়ই কম৷ পরোক্ষে তিনি দুষেছেন আইপিএলকেই৷ দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘আজ মধ্যাহ্ণভোজের সময়ে আমরা ফাইনালে ওঠার খবর জানতে পেরেছি৷ অবশ্যই ওদের খেলার দিকে নজর ছিল৷ তবে চাইছিলাম আগে নিজেদের কাজটা ঠিক ঠাক করত৷ এই সিরিজ জয় আগে উদ্যাপন করতে চাই৷ তবে বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে আমাদের খেলাটা কঠিন হতে চলেছে৷ আইপিএল শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শুরু হচ্ছে৷ ক্রিকেটাররা কতটা সুস্থ থাকবে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে৷’’
ভারত-অষ্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে দ্রাবিড়ের প্রাপ্তি অনেক কিছুই৷ সবচেয়ে বেশি করে তিনি জানালেন, দরকারের সময় ক্রিকেটারের এগিয়ে আসা৷ ভারতের কোচ বলেছেন, ‘‘হাড্ডাহাড্ডি একটা সিরিজ খেলা হল৷ দারুণ একটা দলের বিরুদ্ধে খেললাম, যারা মাঝে মাঝেই আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছিল৷ কিন্তু প্রতিবারই আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি৷ দলের ক্রিকেটাররা এগিয়ে এসে বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে৷ যখনই কারও থেকে বিশেষ একটা পারফরম্যান্স দরকার ছিল, সে সেটা দিয়েছে৷ প্রথম টেষ্টে রোহিত শতরান করেছিল৷ শেষ হল এই টেষ্টে বিরাট কোহলির শতরান নিয়ে৷ এর মাঝে অশ্বিন, জাডেজা, অক্ষর, শুভমন, আরও কত ক্রিকেটার নিজেদের মতো করে পারফর্ম করেছে৷ দিনের শেষে, সিরিজ জয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷’’
দ্রাবিড়ের মুখে বিশেষ এক জনের নাম৷ তিনি শুভমন গিল৷ প্রথম দুই টেষ্টে সুযোগ পাননি৷ কিন্তু শেষ দুটো টেস্টে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন৷ আমদাবাদে শতরান করেছেন৷ তাঁকে নিয়ে দ্রাবিড়ের মন্তব্য, ‘‘গত ৪-৫ মাস দুর্দান্ত গিয়েছে শুভমনের কাছে৷ একটা তরুণ ক্রিকেটার দলে এসে এভাবে উন্নতি করছে, সেটা দেখে ভাল লাগছে৷ আশা করি আগামী দিনে এভাবেই এগিয়ে যাবে৷ কঠোর পরিশ্রম করে৷ বিরাট, রোহিত, স্মিথের থেকে নিশ্চয়ই অনেক কিছু শিখেছে৷’’