মাত্র চার মাস আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অথচ এর মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্রতর হচ্ছে আমেরিকায়৷ ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সান ফ্রান্সিসকো বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন বাড়ছে৷ শনিবার (আমেরিকার স্থানীয় সময়) রাস্তায় নেমে হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন! প্ল্যাকার্ড হাতে হেঁটেছেন মাইলের পর মাইল রাস্তা৷ দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প! অভিবাসীদের বিতাড়ন, সরকারি চাকরি থেকে ছাঁটাই, গাজানীতি ট্রাম্প প্রশাসনের এইসব কর্মকাণ্ড ভালভাবে নেননি দেশের নাগরিকদের একাংশ৷
নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটনের রাস্তায় বহু মানুষ৷ স্লোগানে উঠে আসছে ট্রাম্প নীতির বিরোধিতা৷ ‘অত্যাচার বন্ধের ডাক’ উঠছে মিছিল থেকে৷ বিক্ষোভকারীদের কথায়, ‘‘কোনও ভয় নেই, আমেরিকায় অভিবাসীদের স্বাগত!’’ শুধু তা-ই নয়, আমেরিকার রাস্তায় প্যালেস্টাইনিদের সমর্থনেও আওয়াজ তুলছেন বিক্ষোভকারীরা৷ তাঁদের দাবি, গাজা এবং ইজরায়েলি যুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি একে বারে গ্রহণযোগ্য নয়! শনিবার আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে ৭০০-র বেশি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল৷ শনিবারের বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল ‘৫০৫০১’ নামে একটি সংগঠন৷ যার অর্থ ৫০টি স্টেট ৫০টি বিক্ষোভ এবং একটি আন্দোলন! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প৷ এর মধ্যে বিবিধ প্রশাসনিক পদে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসী বিতাড়ন, তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া এবং নতুন শুল্কনীতিও রয়েছে৷ এ সব নিয়েই ক্ষুব্ধ আমেরিকাবাসীদের একাংশ৷ ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রথম শুরু হয় ৫ এপ্রিল৷
বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষের সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী-সহ ৫০টি স্টেটের মোট ১৫০টিরও বেশি গোষ্ঠী দেশের ১,২০০ টিরও বেশি এলাকায় সেই ‘হ্যান্ডস অফ’ বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল৷ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টন এবং ওয়াশিংটনের রাস্তায়৷ শয়ে শয়ে মানুষের মুখে একটাই কথা, ‘আমেরিকার কোনও রাজা নেই৷ আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না৷’ ট্রাম্পের পাশাপাশি টেসলাকর্তা ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে৷