অমৃতকালের অলীক অসার বুলি নয় - জনগণের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলছে গ্রাম শহর৷ কর্মসংস্থান কমছে৷ গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি৷ প্রধানমন্ত্রীর অমৃতকাল অলীক অসার বুলিতে পরিণত হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রীও বুঝে গেছেন তাঁর অমৃতকালের অসারতা৷ তাই তিনি আচ্ছা দিনকে ২৫ বছর পিছিয়ে নিয়ে গেছেন৷ কৃষিপ্রধান ভারতবর্ষের অর্থনীতি গ্রাম নির্ভর৷ কিন্তু সেই গ্রামীন অর্থনীতিও ধুঁকছে৷ এই অবস্থায় ১০০দিনের কাজ গ্রামের গরিব মানুষের হাতে কিছুটা অর্থ যোগাত৷ সেখানেও বরাদ্দ কাটছাঁট করা হচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মত অবিজেপি শাসিত রাজ্যেরতো প্রাপ্য অর্থই দিচ্ছে না৷ একদিকে গ্রামীন ভারতে কর্মসংস্থান কমছে৷ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ পাচ্ছে ভোগ্যপণ্যের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বিক্রয়ও কমছে৷ এদিকে রামমন্দির থেকে বিশ্বগুরু প্রচারে কোন খামতি নেই, জীবন ধারণের রসদে যতই টান পড়ুক৷

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- অমৃতকাল বিশ্বগুরু জনগণের পেট ভরাবে না৷ জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির জন্যে জনগণের হাতে ক্রয়ক্ষমতা দিতে হবে৷ তার জন্যে বাস্তব সম্মত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিতে হবে৷ তিনি বলেন বর্তমান পুঁজিবাদ নির্ভর কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের সার্বিক কল্যাণ সম্ভব নয়, প্রাউটের মতে অর্থনীতি হবে বাস্তবমুখী স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান৷ সর্বজীাবের সর্বস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে অর্থনীতিকে বিকশিত করতে হবে৷ তাই মানবতার আর্থিক মুক্তির জন্যে অমৃতকালের অসার বুলি নয়, প্রাউটের বাস্তবায়নের জন্যে প্রয়াস করতে হবে৷ কেন্দ্রীয় অর্থনীতির পরিকাঠামোর আমূল বদল ঘটিয়ে প্রাউটের ব্লকভিত্তিক বিকেন্দ্রিত ও সুসন্তুলিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার রূপায়ণ করতে হবে৷ তবেই অর্থনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব৷