আনন্দমার্গের অশীতিপর সন্ন্যাসী আচার্য বিবেকানন্দ অবধূত গত ১লা মে মূর্ত্ত জগতের কর্ম সমাধা করে অমৃতলোকে যাত্রা করেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর৷ বার্ধক্যজনিত ও হজমের সমস্যা নিয়ে গত ২৯শে এপ্রিল পুরুলিয়া রোটারি নার্সিং হোমে তিনি ভর্তি হন৷ কিন্তু চিকিৎসায় তেমন সাড়া দেননি৷ গত ১লা মে অপরাহ্ণ প্রায় সাড়ে তিন ঘটিকায় তিনি আমাদের ছেড়ে অজানার দেশে পাড়ি দেন৷ গত ২রা মে সকলের শ্রদ্ধেয় আচার্য বিবেকানন্দ দাদার পার্থিব দেহের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় আনন্দনগরের বেলাবলয় মহাশশ্মানে৷ তাঁর অন্তিম যাত্রায় ও অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন বহু গুণমুগ্দ প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র, সাধারণ মানুষ, আনন্দমার্গী ও সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী দাদা-দিদিরা৷ আনন্দমার্গের সন্ন্যাস গ্রহণের পূর্বে তিনি এক সরকারী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন৷ চাকরী ছেড়ে ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আনন্দমার্গের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন৷ তিনি অর্থনীতিতে এম.এ বি.এড ছিলেন৷
এছাড়া শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্পেশাল ইংরেজি কোর্স করেন৷ সন্ন্যাসী হওয়ার পর আনন্দনগরে আনন্দমার্গ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন৷ এছাড়া তিনি কিছুদিন আনন্দমার্গ কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্বেও
ছিলেন৷ জরুরী অবস্থার সময় তদানীন্তন কেন্দ্রের ইন্দিরাগান্ধী সরকার আনন্দমার্গকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে৷ আনন্দনগরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় ও ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া হয়৷ জরুরী অবস্থা উঠে যাওয়ার পর তিনি পুনরায় স্কুল শুরু করেন৷ অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুনামের সঙ্গে ইস্কুলের দায়িত্ব পালন করেন৷ তিনি মিষ্টভাসি ও সদালাপী ছিলেন৷ তিনি অনেক বইও রচনা করেন৷ গুরুর প্রতি তাঁর অগাদ বিশ্বাস ও ভক্তি ছিল৷