উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলশহরের বাসিন্দা সালিমা খান নামে এক বৃদ্ধা সম্পূর্ণ নিরক্ষর ছিলেন, কারণ মাত্র ১২ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়ে যায় ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে৷ তিনি যে গ্রামে থাকতেন সেখানে কোন স্কুল ছিল না৷ তাই লেখা পড়ার সুযোগ পাননি৷ আর এরজন্যেই তাঁর নিজের নাতি-নাতনিরা তাঁকে ঠকাতে শুরু করেন৷ তিনি যেহেতু গুনতে জানেন না, তাই নাতি-নাতনিরা এই সুযোগে তাঁর থেকে বেশি বেশি টাকা নিয়ে নেয়৷ কিন্তু বৃদ্ধা বুঝতে পারতেন কিছু বলতে পারতেন না৷ তাই যেটা তিনি জীবনে কোনদিন করেননি তা করে দেখিয়েছেন তার বৃদ্ধ বয়সে৷ মাস ছয়েক আগে তিনি নাতির স্ত্রীর সঙ্গে স্কুলে যান ও সেখানে তিনি পড়াশোনার শেখার প্রতি আগ্রহ দেখান৷ তাঁর সহপাঠীরা তাঁর থেকে ৮০ বছরের ছোট৷ তিনি ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত গুনতেও শিখে গেছেন৷ এখন তার আর হিসেব করতে কোনো অসুবিধা হয়না৷ তাঁর এই উদ্যোগ সমস্ত মানবজাতির কাছে একটা আদর্শ বার্র্ত পৌঁছে দেয় যে---‘শেখার কোন বয়স হয়না৷’