পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে সাবিরের এই আবিষ্কার এক যুগান্তকারী উদ্ভাবন যা যুদ্ধক্ষেত্রে বিশেষ উপযোগী হয়েছে৷ এই পাউডার ব্যবহার করে আহত সৈনিকের রক্তক্ষরণ মাত্র ২০ সেকেণ্ডে বন্ধ করা যাবে৷ তবে শুধু সৈনিকই নয় যে কোনও দুর্ঘটনায় আহত মানুষ এই পাউডার ব্যবহার করতে পারবে৷
সাবিরের এই আবিষ্কারের কৃতিত্ব স্বরূপ ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যাণ্ড ডেভেলপমেণ্ট অর্গানাইজেশন (ডি.আর.ডি.ও) বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করে সাবির হোসেনকে৷ গত ২২শে অক্টোবর নয়াদিল্লীতে ডি.আর.ডি.ও ভবনে আয়োজিত ডিরেক্টরস্ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং সাবিরের হাতে মানপত্র তুলে দেন৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, ডি.আর.ডি.ও চেয়ারম্যান সতীশ রেড্ডি ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যষ্টিবর্গ৷ উপস্থিত সকলেই দেশের সেনাদের জীবন বাঁচাতে সাবিরের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের তারিফ করেন৷
সাবিরের আদি বাড়ী পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ বাদুলিয়া গ্রামে৷ বাবা মেবারক হোসেন একটি রাইস মিল চালান৷ মা ইসমত আরা বেগম গৃহকর্ম নিয়ে থাকেন৷ সাবিরের প্রাথমিক শিক্ষা খণ্ডঘোষ আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সেখান থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন বর্ধমান সি.এম.এস. হাইসুকল থেকে৷ পরে উচ্চশিক্ষার জন্যে তিনি কলকাতায় পাড়ি দেন ও সেণ্ট টমাস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন৷