নববর্ষে দুর্নীতিমুক্ত সর্বাঙ্গসুন্দর সমাজ গড়ার আহ্বান
বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বাঙলার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হ’ল আনন্দমার্গের কলকাতাস্থিত কেন্দ্রীয় আশ্রমে৷ এই অনুষ্ঠানের পরিচালনায় ছিল ‘স্পান্দনিক’ সাংস্কৃতিক সংস্থা৷ শুভ নববর্ষে প্রথমে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন ও তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা ও গুরুপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর স্বাধ্যায়ে শ্রী গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য নববর্ষ উপলক্ষ্যে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী একটি প্রবচন পাঠ করে শোনান৷ এরপর নববর্ষ পালনের তাৎপর্য ও নববর্ষের সংকল্পের ওপর বক্তব্য রাখেন শ্রী বকুল রায়, শুভেন্দু ঘোষ, আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ সবার বক্তব্যের মূল কথা ছিল---নতুন বছর যাতে সবার কাছে আরও আনন্দময় হয়ে ওঠে সেজন্যে নতুন করে পরিকল্পনা নিতে হবে৷ পুরাতন বছরের ভুল-ভ্রান্তি শুধরিয়ে নতুন ভাবে কর্মোদ্যোগী হতে হবে৷ মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার সমাজের সমস্ত ত্রুটি দূর করে এক সর্বাত্মক শোষণমুক্ত ও সর্বাঙ্গসুন্দর সমাজ গড়ার পথ দেখিয়েছেন তাঁর ‘প্রাউট’ দর্শনের মাধ্যমে---এই প্রাউটকে বাস্তবায়িত করার জন্যে নতুন করে সংকল্প গ্রহণ ও সুষ্ঠুভাবে পরিকল্পনা করে সবাইকে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে৷
এরপর বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মহান দার্শনিক ও সঙ্গীতগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত ও সুরারোপিত প্রভাতসঙ্গীত ‘সবারে করি আহ্বান’ অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়৷ নৃত্যাংশে অংশগ্রহণ করে নরেন্দ্রপুর আনন্দমার্গ শিশুনিকেতনের প্রতিমা দেব, দীপান্বিতা দেব, সুতপা দেব, গীতাঞ্জলী দেব, গীতশ্রী দেব প্রমুখ৷ প্রভাতসঙ্গীত পরিবেশন করে’ সুরশ্রী মাইতি, ঝঙ্কৃতা সরকার, অরুণিমা ভট্টাচার্য, অংশুমান ভট্টাচার্য প্রমুখ দর্শকগণের বিপুল প্রশংসা অর্জন করেন৷ এছাড়া অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যাও তাঁর সুললিত কণ্ঠে প্রভাতসঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল নৃত্য-গীতি-আলেখ্য ‘বর্ষবরণ’৷ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে রচিত এই নৃত্য গীতি আলেখ্যটির গ্রন্থনায় ছিলেন শ্রীবকুল রায়, নৃত্য পরিচালনায় মৌসুমী দে৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন শ্রী গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷ সবশেষে সবাইকে সাত্ত্বিক প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷