আনন্দনগর পোষ্ট অফিসের ইতিকথা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৯৬২ সালের আগষ্ট মাসে জমি দানে পাওয়ার পর ১৯৬৩ সালের মার্চ মাসে আনন্দনগরে প্রথম প্রাইমারী স্কুল স্থাপিত হয়৷ ১৯৬৪ সালের ১লা জানুয়ারী হাইস্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়৷ তখন আনন্দনগরের পনের কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন হাইস্কুল ছিলনা৷ আনন্দনগরের স্থানীয় সর্বসাধারণের চিঠিপত্রের মাধ্যমে আদানপ্রদান ও যোগাযোগ সুবিধার জন্যে পোষ্ট অফিস স্থাপনের ব্যাপারে ভারতীয় ডাক বিভাগের সঙ্গে অনেক প্রয়াস করা হয়৷ ১৯৬৪ সালের জুন মাসে গড়জয়পুর পোষ্ট অফিসের অধীনে ‘অস্থায়ী বাগলতা শাখা পোষ্ট অফিস’ অনুমতি প্রাপ্ত ও স্থাপিত হয়৷ শুরুতে তখনকার ‘প্রেস ও বুক-বাইণ্ডিং’ কার্যালয় থেকে পরিচালিত হতো৷ অফিসের কাজকর্ম আমাদের মিশনের লোকেদের দ্বারাই করতে হতো৷ প্রথম ব্রাঞ্চ পোষ্ট মাষ্টার ছিলেন রামপ্রসাদজী৷ ১৯৬৬ সালের ২৩শে জুলাই আনন্দমার্গ ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়৷ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পোষ্ট অফিসও স্থানান্তরিত হয় কলেজ বিল্ডিংয়ে৷ পোষ্ট মাষ্টারের দায়িত্ব অর্পিত হলো বড়মেট্যালা গ্রামের অনন্ত গোপের উপর৷ তারপর পোষ্ট মাষ্টারের দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে পুনন্দাগের সুনীল অধিকারী, শালগ্রামের গোবিন্দ মাহাত ও কপিল মাহাত৷ ২০০২ সালে কলেজ বিল্ডিং থেকে মধুকর্ণিকা সরণির উপর অবস্থিত মিশনের সম্পূর্ণ আলাদা বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়৷ পাশেই রয়েছে আনন্দমার্গ লাইব্রেরী ও তার পশ্চাতে রয়েছে প্রাইমারী স্কুল হোষ্টেল (সিংভূম হোষ্টেল নামে সমধিক পরিচিত- পূর্বতন সিংভূম জেলার মার্গীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল)৷

২০০৩ সালের ৩১শে মার্চ সাব-পোষ্ট অফিসে রূপান্তরিত হয়৷ সাব-পোষ্ট অফিসে উন্নত হওয়ার ফলে সরাকারীভাবে সাব-পোষ্ট মাষ্টার নিয়োগ হলেন৷ লুঠপাট করার জন্যে দুষৃকতীরা কয়েক বার চেষ্টা করেছিল৷ সাব-পোষ্ট অফিসে উন্নতির ফলে পরিষেবা অনেক বেড়ে গেছে৷ লোক সংখ্যাও বেড়ে গেছে৷ কিন্তু সেই তুলনায় কর্মী সংখ্যা অনেক কম৷ পোষ্ট অফিসের কাজে এলে সাধারণের পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছিল৷ বর্তমান শাসকদলের স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যষ্টি ডাক্তার শ্রী ধীরেন চন্দ্র মাহাতকে এই অসুবিধার কথা জানানো হয়৷ তাঁর শুভ উদ্যেগে ও তৎপরতার সঙ্গে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়৷