আনন্দনগর সংবাদ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

নববর্ষ উৎসব

আনন্দনগরে বাংলা ১৩২৪ সালের ১লা বৈশাখ বেশ জাঁকজমক সহকারে বাঙলা নববর্ষ পালিত হল৷ এই উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গের কর্মী ও অনুগামীরা আনন্দনগরের ও চারপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনন্দনগরের পাওয়ার হাউসে সমবেত হন৷ এখানে সবাই অখণ্ড কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর স্বাধ্যায়ে মার্গগুরুদেবের প্রবচন পাঠ করেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷ এরপর আচার্য বিবেকানন্দ অবধূত ও আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত বক্তব্য রাখেন ও নোতুন বছরে নোতুন করে বিভিন্ন সেবামূলক পরিকল্পনা নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মার্গগুরুদেবের মহান আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্যে সবাইকে উৎসাহিত করেন৷ এরপর সবাই প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন৷

তত্ত্বসভা

১০ই এপ্রিল সিধি অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীসুরেশ কেওয়টের উদ্যোগে জেলাডি গ্রামে আনন্দমার্গের সুকলের সম্মুখস্থ প্রাঙ্গণে আনন্দমার্গের এক তত্ত্বসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই তত্ত্বসভায় এলাকার প্রায় ৫০ জন তরুণ ছাত্র-যুবা যোগদান করেন৷ আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও শ্রী গোপাল নায়েক তাদের যোগসাধনা, কেমন করে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলে সবাই সমাজের সম্পদ হয়ে উঠতে পারবে---এর ওপর বক্তব্য রাখেন৷ তাঁরা বলেন আত্মোন্নতি ও সমাজ সেবার মাধ্যমে মানব জীবন সার্থক হয়ে ওঠে৷

আলোচনার পর অনেকে যোগ সাধনা শেখেন ও নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন৷ ছেলেদের যোগসাধনা শেখান আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত  মেয়েদের যোগ সাধনা শেখান অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান

১৩ই এপ্রিল পুন্দাগে ডাঃ হরিপদ মাহাতর (আকুপাংচার) নবনির্মিত বাসভবনে প্রত্যুষে আনন্দমার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য চিরঞ্জয়ানন্দ অবধূত ও আচার্য শুভ্রপ্রসন্নানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও আনন্দমার্গের বহু সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী ও অনুগামী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনা শেষে আচার্য মোহনানন্দ অবধূত তাঁর ভাষণে বলেন, মানুষের জীবনের পরম লক্ষ্য ঈশ্বর লাভ৷ তিনি বলেন, সাধনা, সেবা ও ত্যাগের মধ্যে দিয়েই মানুষের জীবনের সার্থকতা আসে৷

শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত  ৭ই এপ্রিল কুর্মিডি গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী হরিপদ মাহাত পরলোকগমন করেন৷ মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে যান৷ তাঁরা আনন্দমার্গীয় বিধিতে প্রয়াতের শেষকৃত্য ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করতে চাইলে গ্রাম থেকে অনেক বাধা আসে৷ তবে তাঁরা এ সত্ত্বেও আনন্দমার্গের আদর্শের ওপর গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করে মার্গীয় বিধিতেই প্রয়াতের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করেন৷ এতে পৌরোহিত্য করেন আচার্য বিবেকানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানের পর আনন্দমার্গীয় বিধি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত৷ প্রয়াত হরিপদ মাহাতর স্মৃতিচারণে অনেকেই অংশগ্রহণ করেন৷