আনন্দনগরে বৃক্ষরোপণের মহাযজ্ঞ: সবুজ স্বপ্ণের প্রস্তুতি

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দনগরের সবুজায়নের শুভ সূচনা হয় ২০২১ সালে, অস্থি পাহাড়ে প্রথম বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে৷ সেই অভিযাত্রা প্রতিবছরই এগিয়ে চলেছে এক নতুন মাত্রায়৷ ২০২৪ সালে পঞ্চাশ হাজার চারাগাছ রোপিত হয়েছে, আর ২০২৫ সালে এক লক্ষ বৃক্ষরোপণের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য ইতোমধ্যে দেড় লক্ষ চারাগাছ প্রস্তুতির কাজ চলছে৷

*পরিকল্পনার অগ্রগতি ও কর্মধারা* ১) ইতোমধ্যে চারাগাছ রোপণের জন্য ৪০ একর জমি চিহ্ণিত করা হয়েছে৷ ২) আনন্দনগরের জলবায়ুর উপযোগী বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন নার্সারি থেকে৷ বিশেষ করে, মধ্যপ্রদেশের রায়পুরের দীনদয়াল ভার্মা, এক নিবেদিত প্রাণ প্রকৃতিপ্রেমী আনন্দমার্গী, লালচন্দন, শ্বেতচন্দন, রামফল, সিন্দুরী, অমলতাস ও বাঁশের অনেক বীজ পাঠিয়েছেন৷ ৩) ৭৫,০০০ পলিব্যাগে বীজতলা প্রস্তুত হয়েছে আরও ৭৫,০০০ বীজতলা তৈরির কাজ চলছে৷ ৪) চারাগাছ রোপণের জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করতে হবে৷ ৫) চারাগাছগুলিকে জন্তু-জানোয়ার থেকে রক্ষা করতে কংক্রিট পিলার ও তারের বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ ৬) গাছ দ্রুত বৃদ্ধির জন্য গোবর, জৈব সার, সর্ষে ও নিম খোলের ব্যবস্থা করা হবে৷ ৭) দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে৷ ৮) প্রাথমিকভাবে বাইরের নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করতে প্রতি গাছে ৩০-৩৫ টাকা ব্যয় হত, কিন্তু নিজস্ব নার্সারি তৈরি করায় ব্যয় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে৷

এই বৃহৎ প্রকল্প শুধু বৃক্ষরোপণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ৷ আনন্দনগরের বুকে সবুজ অধ্যায় রচনার লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এই স্বপ্ণকে বাস্তবে রূপ দিতে৷