আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের বার্ষিক প্রতিবেদনে পূর্বভাষ - ঋণ জর্জরিত হবে ভারত

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফাণ্ড) তার বার্ষিক প্রতিবেদনে  জানিয়েছে ভারত সরকারের ঋণ জিডিপির ১০০ শতাংশ ছুঁয়ে যাবে৷ কারণ হিসেবে জানিয়েছে আগামী দিনে ভারতকে বিভিন্ন খাতে যে পরিমাণ অর্থ লগ্ণি করতে হবে, সেই তুলনায় আয়ের সংস্থান কম৷ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ২০২৪শে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের অর্থনীতি পাঁচলক্ষ কোটিতে পৌঁছে দেবেন৷ আই.এম.এফের সতর্কবার্তা মোদি সরকারের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিকর৷ যদিও সরকারের যুক্তি আভ্যন্তরীণ ঋণ দেশীয় মুদ্রায় দেওয়া নেওয়া হয়৷ তাই বিদেশী মুদ্রা বিনিময় মূল্যের সঙ্গে এর কোন সম্পর্ক নেই৷ আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের প্রতিবেদন প্রকাশের দুমাস আগেই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সরকার ঋণের পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করছে৷ দুমাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে৷

বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট প্রভাত খাঁ বলেন--- সরকার ভোটে জেতার জন্যে গালভরা প্রকল্প ঘোষণা করেন, কিন্তু আয়ের উৎস হাতে নেই৷ তখন বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হয়ে ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়৷ এই সরকারের অর্থলগ্ণির সঙ্গে আয়ের কোন সামঞ্জস্য নেই৷ এখনই সরকারের ঋণের হার আর্থিক বৃদ্ধির ৮১ শতাংশ৷ মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে এই ঋণের হার ৫০ শতাংশের কম ছিল৷ শ্রী খাঁ বলেন সরকার আসলে পুঁজিপতিদের হাতের পুতুল৷ একদিকে পুঁজিপতিদের  লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ মুকুব করছে, আর নিজের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপাচ্ছে, এতে ঐ পুঁজিপতিদের কিছু যায় আসেনা৷ তবে পুঁজিবাদী আর্থিক ব্যবস্থার দিন শেষ হয়ে আসছে৷ প্রাউট প্রবক্তা অনেক আগেই বলে গেছেন পুঁজিবাদ একদিন আতস বাজির  মত ভেঙে পড়বে৷ সেইদিন আসতে আর  বেশী দেরী নেই৷ অর্থনীতিবিদদের উচিত বিকল্প অর্থনীতির পথ খোঁজা৷ এব্যাপারে প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্ব প্রাউটই পথ নির্দেশনা দেবে৷