আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে ত্রি-দিবসীয় ধর্ম মহাসম্মেলন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 গত ১লা,২রা ও ৩রা জানুয়ারি আনন্দনগরে ত্রি-দিবসীয় আনন্দমার্গ আন্তর্জাতিক ধর্ম মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে ৩১শে ডিসেম্বর অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় শুরু হয় ৭২ ঘন্টার অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ নাম সংকীর্ত্তন৷ ৩রা জানুয়ারী,২৪ অপরাহ্ণ ৩ ঘটিকায় কীর্ত্তন সমাপ্ত হয় ও ঈশ্বর প্রণিধানের পর আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত কীর্ত্তন মাহাত্ম্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ এই দিন রাত্রি ১০ ঘটিকায় আনন্দমূর্ত্তিজীর বরাভয় আশীর্বাদ মুদ্রার প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে ধর্ম মহাসম্মেলন সুসম্পন্ন হয়৷

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ভারতের প্রায় সব রাজ্য থেকে ভক্ত আনন্দমার্গীরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷ তিনদিনের সম্মেলনের বৈশিষ্ট্য ছিলঃ ৭২ ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ নাম সংকীর্ত্তন৷ ৭২ ঘন্টা প্রাক-সমাপ্তি কীর্ত্তন পূর্বে কীর্ত্তন পরিক্রমা করা হয়৷

প্রতিদিন দুবেলা মিলিত গুরুসকাস, পাঞ্চজন্য, কীর্ত্তন সহযোগে প্রভাত ফেরী, ঈশ্বর প্রণিধান সহ যাবতীয় অনুষ্ঠানে প্রত্যেক আধ্যাত্মিক সাধক নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন৷

মার্গগুরু প্রতিনিধি আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত দাদা কর্তৃক দু’বেলা আধ্যাত্মিক ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনার মূল বিষয় ছিল আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে হলে সবার আগে প্রয়োজন আদর্শ মানুষ৷ আদর্শ মানুষ   হতে গেলে প্রতিটি মানুষকে দুইবেলা আধ্যাত্মিক অনুশীলন করতেই হবে৷

এছাড়াও তিনদিনের অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক দুঃস্থ মানুষদের কম্বল ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়, আর্থিকভাবে অসচ্ছলদের জন্যে প্রতিদিন দু’বেলা সস্তা ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়, তিনজোড়া বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দমার্গে বৈপ্লবিক বিবাহ বলতে বুঝায়---যেখানে কোন জাতপাত, তথাকথিত ধর্ম, দেশ-বিদেশের বিচার করা হয় না, কোন রকমের পণ থেকে না অর্থাৎ তথাকথিত সবধরণের কু-সংস্কার মুক্ত৷

ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে বিরাট মেলাও বসে৷ মেলায় বিভিন্ন ধর্মের জনসাধারণ উপস্থিত হন ও বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেচা-কেনা হয়৷

এই ধর্ম মহাসম্মেলনের বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ একত্রিত হন ও নিজেদের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান হয়৷ প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রভাত সঙ্গীত ও নব্যমানবতাবাদ আধারিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়৷