দেশের আর্থিক দুরাবস্থার কথা স্বীকার করতে চায় না কেন্দ্রীয় শাসক দল৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদনকেও বিরোধীদের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা৷ বেকারত্বের জ্বালায় আত্মহত্যা মূল্যবৃদ্ধি, কর্মহারানো, কোন কিছুকেই মান্যতা দিতে চায় না শাসকদল৷ নিতান্ত বাধ্য হলে, কোভিডের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেন৷ তবে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা কোভিডের অনেক আগে থেকেই মোদি জমানায় শুরু হয়েছে৷ তবে এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের আর্থিক নীতির প্রধান কাণ্ডারী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বিপরীত মত প্রকাশ করেছে৷ অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের মূল্যবৃদ্ধি উদ্বেগ জনক নয়৷ এর বিপরীত কথা শুণিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্ণর শক্তিকান্ত দাস জানান--- আগামী ছ’মাস মূল্যবৃদ্ধির হার চরা থাকবে৷ আর সামনের দু’মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া হবে৷ আগামী আর্থিক বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হারেও সরকারী সমীক্ষার সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একমত নয়৷ সরকারী সমীক্ষায় জানিয়েছিল--- আগামী আর্থিক বছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৮.৫ শতাংশ৷ সেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে জিডিপি বৃদ্ধির হার খুব বেশী হলে ৭.৯ শতাংশ হবে৷ পাশাপাশি আগামী আর্থিক বছরে মুদ্রাস্ফীতির হার সাড়ে ৪ শতাংশ হবে৷
আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব এই সব অর্থনীতির তাত্ত্বিক হিসেবের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই৷ সাধারণ মানুষের সার্বিক কল্যাণ করতে হলে, অর্থনীতির এই কাঠামো ভেঙে প্রাউটের পথে নূতন করে পরিকাঠামো তৈরী করতে হবে৷ আর সেটা সম্ভব হবে প্রাউটের প্রদর্শিত পথে বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর মাধ্যমে, যা শুরু হবে কৃষি ও শিল্পের সমন্বয় ব্লক পরিকল্পনা রূপায়ণ করে৷ কিন্তু পুঁজিবাদ নির্ভর বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনে প্রাউটের পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা কখনই সম্ভব নয়৷ কারণ শোষণ পুঁজিপতি গোষ্ঠী কখনই এটা চাইবে না৷ কারণ প্রাউটের পরিকাঠামোয়র্থনৈতি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাদী শোষণের মূলচ্ছেদ হবে৷ ১০০ শতাংশ বেকারের কর্মসংস্থান হবে৷ সাধারণ মানুষের হাতে ক্রয়ে ক্ষমতা পৌঁছে যাবে৷
তাই প্রাউটিষ্টদের সমাজ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রাউটভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে৷