December 2019

রাঙা উদয় অস্ত

কবি রামদাস বিশ্বাস

সূর্য চলে অস্তাচলে  রাঙিয়ে দিয়ে ধরাখান

পাখীরা যায় কুলায় ফিরে কন্ঠে মহানন্দ গান৷

গাছের পাতায় ঘুম নেমেছে শিশিরভরা কুয়াশায়৷

রাঙিয়ে ভূবন দিবাকর ঘুমের দেশে চলে যায়৷

মানুষ কেঁদে আসে ধরায় চলুক জগৎ রাঙিয়ে

সূর্যমামার মত মানুষ দিক না জগত জাগিয়ে৷

স্বপ্ণ রাঙা প্রভাত যেমন তেমনি বিদায় কীর্তিরাঙা

সূর্যকে অনুসরণে তেমনি হবে জীবন চাঙ্গা৷

সাচ্চা জীবন গানে ভরা দৃপ্ত দুপুরবেলাতে

 সেই তেজে সফল হবে সাঁঝের বিদায়বেলাতে ৷

বিশ্বমাঝে মানুষ মহান সত্যে হলে প্রতিষ্ঠিত

সত্যবাদী হলে ত্রিজগতে হবে অধিষ্ঠিত৷

রাঙা উদয় অস্ত

কবি রামদাস বিশ্বাস

সূর্য চলে অস্তাচলে  রাঙিয়ে দিয়ে ধরাখান

পাখীরা যায় কুলায় ফিরে কন্ঠে মহানন্দ গান৷

গাছের পাতায় ঘুম নেমেছে শিশিরভরা কুয়াশায়৷

রাঙিয়ে ভূবন দিবাকর ঘুমের দেশে চলে যায়৷

মানুষ কেঁদে আসে ধরায় চলুক জগৎ রাঙিয়ে

সূর্যমামার মত মানুষ দিক না জগত জাগিয়ে৷

স্বপ্ণ রাঙা প্রভাত যেমন তেমনি বিদায় কীর্তিরাঙা

সূর্যকে অনুসরণে তেমনি হবে জীবন চাঙ্গা৷

সাচ্চা জীবন গানে ভরা দৃপ্ত দুপুরবেলাতে

 সেই তেজে সফল হবে সাঁঝের বিদায়বেলাতে ৷

বিশ্বমাঝে মানুষ মহান সত্যে হলে প্রতিষ্ঠিত

সত্যবাদী হলে ত্রিজগতে হবে অধিষ্ঠিত৷

বিশ্বাস

জ্যোতিবিকাশ সিনহা

রুক্ষ বাতাস, বিক্ষিপ্ত মন

ঝোরো হাওয়ায় ওরে বালি

জ্বলজ্বলে সূর্যটা হারিয়েছে বহুক্ষণ

ঘন সবুজের অন্তরালে৷

মন্দিরের একটানা ঘন্টা কে যেন বাজায়

নদীর জলেও বেসুরো কল্ কল্ ৷

ক্ষয়িষ্ণু জীবনের শ্রান্ত পথিক ---

ভঙ্গুর ন্যুব্জ শরীর

তবু বিশ্বাসের শুকনো লাথিটা

হাতে সম্বল

ভেঙ্গে চলেছে একটার পর একটা সিঁড়ি৷

চেয়ে দেখছে কতটা বাকী

হয়তো যতটা এসেছে

যেতে হবে আরও অনেক বেশী৷

শিশুর ব্যথা

তৃপ্তি মণ্ডল

শৈশবের সেই দুপুরবেলা

না ঘুমিয়ে পালিয়ে যাওয়া

পুকুরের সেই সাঁতার খেলা

হারিয়ে ফেলেছি আমি৷

আজ আমার দিন কাটছে

রুটিন বাঁধা দিনে

সকালে উঠে টিউশন

দশটায় ইস্কুলে৷৷

সন্ধেবেলায় পড়তে বসে

মায়ের বকাবকি

খেলব কখন শুনব কখন

ঠাকুরমার গল্পঝুলি৷

আমি শিশু ভালো নেই

বোঝে কি জ্ঞানী গুণী৷

নাছোড়বান্দা চাটুকার

পৃথিবীর সব দেশেই, এমনকি সব শহরেই কিছু সংখ্যক খুশামুদে ও উন্নত মানের অনারারী মুসাহিব আছে৷ মাইনে পাওয়া মুসাহিবদের চেয়েও অনারারী মুসাহিবেরা আরও ক্ষেশী মুসাহিবী করে থাকে৷ একটা গল্প বলি শোনো–

সেয়ানে সেয়ানে

‘চাবি’ শব্দটি আমরা পর্তুগীজদের কাছ থেকে পেয়েছি৷ এদের ভাষায়cha  -এর উচ্চারণ কতটা ‘শ’ এর মত৷ তাই ‘চাবি’-কে আমি স্পেন ও পতুর্গাল দুই-দেশেতেই ‘শাবি’ উচ্চারণ করতে শুণেছি৷ আজ এই ‘চাবি’ শব্দটি বাঙলা তথা সমগ্র উত্তর ভারতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত৷ অথচ আজ থেকে ৪৫০ বছর আগেও শব্দটির সঙ্গে এদেশের কারও পরিচয় ছিল না৷ উত্তর ভারতে ‘চাবি’কে বলা হ’ত ‘কুঞ্জী’ আর বাঙলায় বলা হত ‘কাঠি’৷ তালাচাবি রাঢ়ে এখনও কেউ কেউ ‘কুলুপ কাঠি’ বলে থাকেন৷ এমনকি যারা চাবি বলেন তারাও কেউ কেউ চাবিকাঠি বলে থাকেন৷ বলেন---‘‘সিন্দুকটি তোমার চাবি-কাঠিটি আমার’’৷ ‘কুঞ্জী’ শব্দটি এককালে উর্দু ভাষায় ব্যাপকভাবে চলত৷ আজ তার প্রভাব কমে গেছে৷ সেই যে উর

গরজ বড় বালাই

ম্যানেজমেণ্ট অর্থাৎ দেখাশোনার ভার যার ওপর ন্যস্ত তিনি ‘ম্যানেজার’, যার যথার্থ সংস্কৃত ‘অধ্যক্ষ’৷ ম্যানেজারকে কেউ কেউ ভুল করে ‘অধিকারী’ বলে থাকেন৷ না, তা হবে না৷ অধিকারী হ’ল ‘প্রোপাইটার’-এর বাংলা প্রতিশব্দ৷ তোমরা সেই অধিকারী মশাইয়ের গল্প জানো তো!

সর্বভারতীয় স্তরে বাঙালী খেলোয়াড়দের একটি ফুটবল দল একান্ত প্রয়োজন

মুখে যতই হম্বিতম্বি হোক না কেন, বাস্তব এটাই যে বাঙালীর সেই ফুটবল ঐতিহ্য আজ বেশ ম্রিয়মান৷ প্রমাণস্বরূপ বলা যায় সর্বভারতীয় স্তরে যে দলগুলি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের মধ্যে বাঙালী ফুটবলারের সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন৷ কিন্তু এমনটা কেন? বাঙালী কি ফুটবল খেলতে জানে না? নাকি ফুটবলে বাঙলী তেমনভাবে দক্ষতা দেখাতে পারেনি কোনদিনই!

ঘরের মাঠে ওয়েষ্ট ইণ্ডিজের বিরুদ্ধে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের নিয়ে কিছু পর্যালোচনা

ডিসেম্বরের শুরুতেই  ভারতের ঘরের মাঠে শুরু হতে চলেছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ৷ তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজের দল বেছে  নিলেন জাতীয় নির্বাচকরা৷ এখনও  চোট সারিয়ে উঠতে না পারায়  দলে জায়গা  পেলেন না হার্দিক পাণ্ডিয়া, যশপ্রীত বুমরা ও নবদীপ সাইনি৷ তবে দলে  এলেন দুই নবাগত৷ কেমন হল ওয়েস্ট ইন্ডিজের  ওয়ানডে  সিরিজের দল, দেখে নেওয়া যাক৷

বিরাট কোহালি (অধিনায়ক) ঃ বাংলাদেশের  বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন বিরাট কোহালি৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের  বিরুদ্ধে নিশ্চিন্তভাবেই  পুরো সিরিজ খেলবেন৷

লণ্ডনে দ্বিতীয় সরকারী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেল বাংলা

বাঙালীর কাছে আনন্দের খবর লণ্ডনের দ্বিতীয় ভাষার তক্মা পেল বাংলা ভাষা৷ গ্রেট ব্রিটেনের মুল শহর লণ্ডনের মোট বাসিন্দা হলো ৩,১১,২১০ জনের মধ্যে ৭১,৬,০৯ জন বাংলা বলতে পারেন৷ এরপর আমাদের দেশে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এমন একটি ভাব দেখায় যেন বাংলা ভাষাকে যে কোন ভাবে উপড়ে ফেলা যায়৷ আজ বাংলা ভাষা ভারত ও বাঙলাদেশের বাইরেও অনেকগুলি দেশে ছড়িয়ে রয়েছে ও সেই দেশগুলি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ বিশ্বের দরবারে রাষ্ট্রসংঘ বাংলা ভাষাকে মিষ্টি ভাষার স্থান দিয়েছেন৷