February 2021

লামডিং ও বর্ধমানে সেমিনার

গত ২৯,৩০ ও ৩১শে জানুয়ারী অসমে লামডিং ডায়োসিসে প্রথম স্তরের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ সেমিনারে লামডিং ডায়োসিসের শতাধিক মার্গীভাইবোন উপস্থিত ছিলেন৷ প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷ তিনি তিনদিনের এই সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর  আলোচনা করেন৷ আলোচ্য বিষয়গুলি ছিল---‘আধ্যাত্মিক অনুশীলনই  সুচ্যগ্রস্তরে পৌঁছানোর পথ’, ‘স্বগত অভিভাবন ও পরগত অভিভাবন’, ‘সামাজিক মনস্তত্ব’ ও ‘অর্থনীতির চারটি ধারা’৷

নেতাজীর স্বপ্ণ প্রাউটের মধ্যে মূর্ত্ত হয়ে উঠেছে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

নেতাজীর চিন্তাধারার মূল কথা হ’ল–সমন্বয়বাদ৷ তিনি বলেছেন, That synthesis is called by the writer samyavad—the Indian word, which means literally—the Doctrine of Synthesis or equality’’—(Indian Struggle by Netaji).বলাবাহুল্য নেতাজীর সাম্যবাদ ও মার্কসের সাম্যবাদ এক নয়৷ মার্কসের সাম্যবাদ কেবল আর্থিক স্তরে সীমাবদ্ধ৷ কিন্তু নেতাজীর সাম্যবাদ জীবন ও সমাজের সর্বস্তরে পরিব্যাপ্ত৷ মানুষের ভৌতিক (Physical) ও আত্মিক প্রগতির সাম্য, সমাজ জীবনের অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, শিল্পকলা, ধর্মনীতি–সকল দিকের সুসামঞ্জস্য পূর্ণ বিকাশই নেতাজীর কাম্য ছিল৷ তাই একে ব্যাখ্যা করে আরও পরিষ্কার করে বলা হয়েছে– The doctrine of syn

ঈশ্বর–প্রণিধানের মানসাধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া

...‘‘ঈশ্বর–প্রণিধান’’ জিনিসটা... দাঁড়াচ্ছে–মনকে সেই পরমাশ্রয়ে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যে তাঁর পানে ছুটিয়ে নিয়ে চলা৷ তাই ঈশ্বর–প্রণিধান জিনিসটা সম্পূর্ণ ভাবাশ্রয়ী–সম্পূর্ণতই একটা মানস ঙ্মআধ্যাত্মিকৰ প্রচেষ্টা৷ এতে চীৎকার করে লোক জড় করবার বা ঢ়াক–ঢ়োল পিটিয়ে ভক্তি দেখাবার অবকাশ নেই৷....

পরিকল্পনার মৌল নীতি

যাঁরা বিভিন্ন স্তরে যোজনা পর্ষদের সঙ্গে সংযুক্ত সেই ধরণের বড় বড় অর্থনীতিবিদদের কোন পরিকল্পনা প্রণয়নের আগে যে কয়েকটি বিষয়ের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত সেগুলি হ’ল–

* উৎপাদনের ব্যয়

* উৎপাদন–ক্ষমতা

* ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা

* সামূহিক প্রয়োজনীয়তা৷

এবার উপরি–উক্ত বিষয়গুলির প্রত্যেকটি নিয়ে আলোচনা করা যাক৷

উৎপাদন–ব্যয়

কুসংস্কার, ধর্ম ও সমাজ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

সুস্থ বিচারবুদ্ধি তথা বিবেকের প্রেরণাতে মানুষ এগিয়ে চলে’ শ্রেষ্ঠ জীবের শিরোপা লাভ করেছে ও ক্রমশঃ সভ্যতার পথে এগিয়ে চলেছে৷

কিন্তু ধর্মের নামে অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, ভাবজড়তা বা ডগ্‌মা মানুষের সেই সুস্থ বিচারবুদ্ধি-তথা বিবেবকে আচ্ছন্ন করে,ঢেকে দেয়,প্রকাশ হতে দেয় না৷ তখন মানুষ ধীরে ধীরে পশুত্বের পর্যায়ে নেমে যায়৷

প্রকৃত ধর্মের সহায়তায় কিন্তু মানুষ পশুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়, আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতাকে বিশ্বকেন্দ্রিক করে মানুষকে দেবত্বের মহিমায় ভাস্কর করে তোলে৷ তাই ধর্মের প্রধান শত্রু এই অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার তথা ও ভাবজড়তা৷

বাঙালীয়ানা ও বিচ্ছিন্ন ভাবধারা প্রসঙ্গে কিছু কথা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

অদ্ভূত এক অন্ধগলিতে ঘুরপাক খাচ্ছে ভারতের রাজনীতি৷ ক্ষমতার হাতবদল হয়,কিন্তু জনতার ভাগ্য বদল হয়না৷ কারণ ক্ষমতার হাত বদলের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতার মধুচক্রের মক্ষীকারাও দল বদল করে বসে৷ একমাত্র ব্যতিক্রম ‘আমরা বাঙালী’৷ কিন্তু কেন?

বহিরাগতের প্রভাব ও ঐক্যের অভাবে অসমের ভূমিপুত্র বাঙালী বিপন্ন

এইচ এন মাহাত

ভবিষ্যতে অসমে বাঙালীদের কর্মসংস্থানের জন্য চাতক পাখীর  মতন তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতের বহিরাগত অসমীয়াদের জন্য৷  অসমে বাঙালীরা বসবাস করে দুইটি নদী উপতক্যায়, ব্রহ্মপুত্র ভেলি ও বরাক ভেলি ধরে৷ সমগ্র অসম জুড়ে কয়েক দশক ধরে বহিরাগত  অসমীয়ারা প্রথমে ব্রিটিশ পরবর্তীতে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী রাজশক্তিকে  কাজে লাগিয়ে বঙাল খেদাও নামে অযৌক্তিক, অমানবিক বাঙালী বিদ্বেষী আন্দোলনে কত বাঙালীর প্রাণ নিয়েছে, কত মা বোনদের মান সন্মান ভুলুন্ঠিত করেছে অসম সরকারের মদতে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নীরব সাক্ষী রেখে তার সঠিক হিসাব কেউ জানে না৷ কয়েক পুরুষের  জন্মভিটা থাকার পরেও বহু বাঙালী উদ্বাস্তু হয়ে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্থ

ভয়ংকর সংকটে দেশ  - বাঙালী বাঙলার কথা ভাবুন

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত তিক্ততার সঙ্গে বলতে হয়  পৃথিবীর  বৃহত্তম লোকসংখ্যার নিরিখে ভারত যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র সংসদীয় বহুদলীয় গণতান্ত্রিক (?) রাষ্ট্র৷ এই রাষ্ট্রের সংবিধান  হলো আয়তনে সর্ববৃহৎ সংবিধান রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে৷ আর এটি শাসকগণদের  দ্বারা মাত্র ৭৩ বছরে  বিভিন্ন ধারার সংশোধন হওয়াতে সেটি  আরো বৃহত্তর হয়ে উঠেছে৷

কৌশিকী নৃত্য

সুভাষপ্রকাশ পাল

আজ থেকে প্রায় সাত হাজার বছর আগে এই ধূলার ধরনীতে  পরমপুরুষ নরদেহ ধারণ করে তারকব্রহ্মরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাঁর দিব্য আবির্ভাবে অধ্যাত্মবিদ্যা,শিক্ষা,চিকিৎসাশাস্ত্র,সঙ্গীত,নৃত্য,বিবাহব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা সবকিছুতেই একটা নোতুনত্বের ছাপ সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল৷ আমাদের কাছে তিনি সাধারণ মানুষ নন৷ তাঁকে আমরা শিব বলে চিনেছি,জেনেছি,মানুষের সমাজে তাঁর অবদানের কথা বলে শেষ করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়৷ তাঁর অনেক  অবদানের মধ্যে অন্যতম হল ‘তাণ্ডবনৃত্য’৷ এটি নারীদের জন্য নিষিদ্ধ  শিবের সময় এই নৃত্যের প্রচলন ছিল সর্বাধিক, কিন্তু কালের গতিতে এই নৃত্যের কথা মানুষ ক্রমশঃ বিস্মৃত হতে থাকল ও তা শিবের নটরাজমূর্তির মধ

মাভৈঃ ভারত আবার জেগে উঠছে

হরিগোপাল দেবনাথ

অগণিত ভারতবাসীদের প্রাণবলি, আত্মত্যাগ, দ্বীপান্তরে নির্বাসন,ও অপরদিক থেকে বেইমান আর বিশ্বাসঘাতক দালাল ও ব্রিটিশ শাসকদের অনুচরদের বর্বরচিত নিন্দাবাদ সমালোচনার গ্লানি সয়ে যাওয়ার--- বিনিময়ে ভারতবাসী সেদিন পণ্ডিত নেহেরুর হাত দিয়ে পাওয়া ‘রাজনৈতিক ক্ষমতা-হস্তান্তর চুক্তিকেই ‘‘দেশের স্বাধীনতা’’ বলে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন---১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট গভীর রাতের কালো অন্ধকারে৷ কিন্তু সেই স্বাধীনতার আস্বাদন কী রকম তা’ অবশ্যই বুদ্ধিমান ও বিচারশীল ভারতবাসী মাত্রেই আশা করি বুঝতে পেরেছেন আর এত বছরের ব্যবধানে তাঁদেরই বংশধরগণ, পরবর্তী প্রজন্ম যাঁরা অন্ততঃ নিজেদের চোখ দিয়ে দেখা, কোন দিয়ে শোনা আর আপন চিন্তা-বুদ্