March 2024

আমরা বাঙালী কার্যালয়ে নীলকন্ঠ দিবস পালন

‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে ১২ই ফেব্রুয়ারী ‘‘নীলকন্ঠ দিবস’’ স্মরণ করা হল ২নং বল্লভ স্ট্রীটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে৷ মহানপুরুষ নীলকন্ঠ প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পনের মধ্যে দিয়ে স্মরণ সভার সূচনা হয়৷ পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সচিব মোহন অধিকারী প্রভাত সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান এগিয়ে চলতে থাকে৷ এদিন নীলকন্ঠ দিবস সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের নেতৃবৃন্দ৷

শৈলেন রায় ও শৈলেন সরকারের স্মরণসভা

গত ৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের দুই উৎসর্গিত প্রাণ, সংঘটনের সর্বক্ষণের কর্মী পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শালিখা (সালকিয়া) নিবাসী শ্রীশৈলেন সরকার ও ত্রিপুরার খোয়াই নিবাসী শ্রী শৈলেন রায়ের স্মরণ সভা আয়োজন করা হয়৷ শ্রী শৈলেন সরকার দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থসচিবের দায়িত্ব পালন করে গেছেন৷ শ্রী শৈলেন রায় সংঘটনের একনিষ্ঠ কর্মী থেকে এক সময়ে ত্রিপুরার রাজ্য সচিবের দায়িত্বে ছিলেন৷ এবছরের ২৯শে জানুয়ারি শৈলেন সরকার ও ২রা ফেব্রুয়ারী শৈলেন রায় দেহত্যাগ করেন৷ এঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মরণসভার আয়োজন করা হয় ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২নং বল্লভ স্ট্রীটে পালন করা হয়৷ স্মরণ সভায় বক্তব্য রা

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে শুকিয়ে গেছে আরল সাগর

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়ছে৷ উষ্ণায়নের কুফল নিয়ে বিজ্ঞানী-পরিবেশবিদদের নানাবিধ পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ নতুন নয়৷ বিশাল আয়তন জুড়ে থাকার কারণে আরল হ্রদকে সমুদ্রের সঙ্গেও তুলনা করা হত৷ বলা হত আরল সাগর৷ কিন্তু কাজাখস্তান এবং উজবেকিস্তানের মধ্যে থাকা সেই বদ্ধ হ্রদের জল শুকিয়ে গিয়েছে ২০১০ সাল নাগাদ৷ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় দেড় ডিগ্রি বেশি৷ কিন্তু উষ্ণায়নের এই ধরনের প্রতিকূল প্রভাব স্পষ্ট হওয়ার এক দশকেরও বেশি আগে সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে আরল৷ বিশাল আয়তন জুড়ে থাকার কারণে আরল হ্রদকে সমুদ্রের সঙ্গেও তুলনা করা হত৷ বলা হত আরল সাগর৷ কিন্তু ক

‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে গবেষণায় সফল রানিগঞ্জের বঙ্গসন্তান তন্ময়

কৃষ্ণ গহ্বর বা ‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে গবেষণায় সফল হয়েছেন রানিগঞ্জের ভূমিপুত্র৷ কৃষ্ণ গহ্বর সিগনাস এক্স-১-এর পোলারাইজেশন মাপায় সাফল্য পেয়েছেন তন্ময় চট্টোপাধ্যায় নামে ওই বিজ্ঞানী ও তাঁর দল৷ আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তন্ময় জানান, গত প্রায় ৪০ বছর ধরে চেষ্টা হলেও এই কাজ এর আগে করা যায়নি৷ তাঁদের এই সাফল্যে কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে গবেষণা আরও এগোবে৷

দক্ষিণ কোরিয়ায় সন্তান জন্মালেই পুরস্কার ৬২ লাখ টাকা

সন্তান জন্মালেই ৬২ লক্ষ! দক্ষিণ কোরিয়ায় কেন এমন ঘোষণা করল সংস্থা?

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থা ঘোষণা করেছে, কর্মীরা কেউ সন্তানের জন্ম দিলে ১ কোটি কোরিয়ান ওয়ান উপহার হিসাবে পাবেন৷ ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৬২ লক্ষ টাকা৷

সন্তান জন্মালেই কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবে সংস্থা৷ এমনই ঘোষণা করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে৷ কর্মীদের সন্তান পালনে উৎসাহ দিতেই এমন ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে৷

পঞ্জাব, হিন্দোস্তাঁ ও বঙ্গাল (বাঙলা) সুবা

পাঠান–মোগল যুগে আগ্রা প্রদেশ ও অযোধ্যা প্রদেশের মিলিত নাম ছিল হিন্দোস্তান বা হিন্দোস্তাঁ (প্রসঙ্গতঃ বলে রাখি যে ‘স্তান’ বা ‘স্তাঁ’ শব্দটি ফার্সী যার সংস্কৃত প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘স্থান’৷ উর্দ্দুতে এই ফার্সী রীতি অনুসরণ করা হয়৷

‘‘সারে জাঁহাঁসে আচ্ছা হিন্দোস্তাঁ হমারা

হম বুলবুলেঁ হেঁ ইসকী যহ্ গুলিস্তাঁ হমারা’’

লঁদ্রে (লণ্ডন), মস্কোবা (মস্কো)

ফরাসীতে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাংশে প্রাচীনকালে যে মস্তবড় শহরটিকে ‘লঁদ্রে’ (Londres, ফরাসী উচ্চারণ ‘লঁদ্রে’) বলা হত, স্ক্টল্যান্ডের মানুষেরা ঠিক উচ্চারণ না করতে পেরে অথবা অন্য যে কোন কারণেই হোক, শহরটিকে ‘লাণ্ডান’ Lundun বলতেন৷ আজ সেই ‘লাণ্ডান’ শব্দটি বিবর্ত্তিত হয়ে ‘লণ্ডন’ London হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আমি বলছি না নতুনভাবে আবার শহরটিকে ‘লঁদ্রে’ বলা    হোক৷ তবে শহরটির ইতিহাসে এই আসল নামটিকে অবশ্যই মনে রাখা দরকার৷ যে শহরটির আসল নাম সুদীর্ঘকাল ধরেই ছিল ‘মস্কোবা’ Moscova তাকে নিজেরা ঠিক উচ্চারণ করতে না পেরে যদি ‘মস্কো’ Moscow বলি সেটাকে খুব সঙ্গত কাজ বলে মনে করতে পারছি না৷ ইংরেজী বাদে বাংলা সহ অন্যান্য সব ভ

রোমা, কাহিরা, কলিকাতা ইত্যাদি

ইতিহাস–প্রসিদ্ধ নগরী ছিল ‘রোমা’ ত্মপ্সপ্প্ত্রগ্গ৷ তাকে ভুল করে ‘রোম’ বলার সার্থকতা কোথায়? প্রপার নাউনকে এভাবে পরিবর্তন করা কি যুক্তিসঙ্গত? প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ও পরবর্তীকালে আরবী ভাষায় যে শহরটিকে চিরকালই ‘কাহিরা’ বলে আসা হয়েছে তাকে ‘কাইরো’ বলব কোন যুক্তিতে? যে দেশটিতে আরবীতে ‘ফিলিস্তিন’ বলা হত ও হিব্রুতে বলা হয় ‘প্যালেষ্টাইন’ তাকে না হয় আমরা নিজেদের সুবিধামত যে কোন একটি নামেই ডাকতে পারি৷ কিন্তু যে শহরটি কলিচূণ ও কাতার দড়ির ব্যবসা উপলক্ষ্যে ‘কলিকাতা’ নাম পেয়েছিল তাকে তাড়াতাড়িতে বলতে গিয়ে কথ্য ভাষায় না হয় কলকাতা–ই বললুম, কিন্তু ইংরেজীতে ‘ক্যালকাটা’ (Calcutta) বলব কোন যুক্তিতে?

প্রণমি তোমায়

কৌশিক খাটুয়া

তোমাকে পাওয়ার অদম্য আশায়

   পেরিয়ে সহস্র জনম,

কত জনমের প্রতীক্ষা পরে

   পেয়েছি মানব জীবন!

 

এক জনমে না মিটিলে আশা

  থাকে পরজনমের প্রত্যাশা,

সে’ আশা পূরণে গুরুর চরণে

   ভক্তি ও ভালবাসা৷

 

প্রভু নির্দেশ পালন করিব

  করেছি জীবন পণ,

সার্থকতায় ভরিয়ে দিতে

  কীর্তন ভজন সাধন৷

 

মঙ্গলময় সকল কর্মে

  রয়েছি নিয়ত রত,

প্রভুর কৃপায় জীবের সেবা

  রয়েছে অব্যাহত৷

 

সাধ আর সাধ্যের বিভাজন রেখা

     চিরকাল দেয় কষ্ট,

তোমায় যাচি

কেয়া সরকার

তোমার গানে ভরে নিতে চাই জীবন

                   শুধু তোমার গানে---

তোমার ধ্যানে সমর্পিত জীবন

                   শুধু তোমার ধ্যানে

 

তোমার মুকুতা ঝরা হাসি

                   ভরিয়ে দেয় যে হিয়া---

তোমার বরাভয়ে শান্ত হয় যে মন

ব্যস্ত পৃথিবীর মাঝে ক্ষণিক কিছুক্ষণ

 

তোমার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হই যখন

তোমার সংকল্পে সমর্পিত জীবন

তোমার কৃপা যাচি সদা আমি

                   শুধু আমার ধ্যানে৷