গত দেড় বছরের বেশী সময় ধরে মনিপুরে হিংসার আগুন জ্বলছে৷ জাতিদাঙ্গায় পুড়ছে ঘর-বাড়ী পুড়ছে, মরছে মানুষ৷ মনিপুরে ডবল ইঞ্জিন সরকারের শাসন৷ তাই কেন্দ্র নীরব অথচ অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সামান্য কারণেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর রিপোর্ট চায়, রাষ্ট্রপতি শাসনের হুমকি দেয়৷ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই দ্বিচারিতা যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারের এই দ্বিচারিতা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে৷ আমরা বাঙালী সংগঠনের অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন---দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পার্শবর্তী মণিপুর রাজ্যে যে জাতি দাঙ্গা, গৃহে অগ্ণিসংযোগ,ধর্ষণ, হত্যা ইত্যাদি সংঘটিত হচ্ছে তাতে ‘আমরা বাঙালী’ দল গভীরভাবে উদ্বিগ্ণ৷ আমরা এই সমস্ত অমানবিক ন্যক্কারজনক বর্বরচিত কার্যকলাপের তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানাচ্ছি৷ আমাদের পার্শবর্তী জিরিবাম জেলা যেখানে অধিক সংখ্যায় বাঙালীরা বসবাস করেন, সেখানেও তাদের নিরাপত্তা নেই, তাদের আজ হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ যদিও সরাসরি বাঙ্গালীদের উপর কোন আক্রমণ এখন পর্যন্ত সংগঠিত হয় নাই তবুও একমাত্র বাঙালী বিধায়কের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাঙালী বিধায়ক আসাবুদ্দিন আজ নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছেন৷ আমরা মণিপুরের বসবাসকারী সমস্ত শ্রেণীর মানুষের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হোক চাই৷ কিন্তু আমরা আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ করছি বর্তমান মণিপুর সরকার এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ আমরা অতীতেও সরকারের এই ব্যর্থতার কথা বলে মণিপুর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানিয়েছি, এখন যে পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতির শাসন ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে না৷ সুতরাং অবিলম্বে মণিপুরে শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবী রাখছি৷ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসন করতে সরকারকে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে, আলোচনার মাধ্যমে মানুষের সমস্যাটা বুঝতে হবে এবং সেই ভাবে ভারতবর্ষের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে তার সমাধান করতে হবে৷ সেই সঙ্গে আমরা বর্তমান মণিপুরের পরিস্থিতির দায় স্বীকার করে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং কে অবিলম্বে পদত্যাগ করার দাবি রাখছি৷ মণিপুরের ঘটনার কোন প্রতিক্রিয়া যাতে আসামের কাছাড় জেলায় না হয় আমরা সেই দিকে দৃষ্টি রাখতে বরাক উপত্যকার জাতীয় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে আবেদন রাখছি৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়