অশান্ত মনিপুরকে বাগে আনতে ব্যর্থ ডবল ইঞ্জিন সরকার৷ মেইতিদের প্রতি মনিপুর সরকারের পক্ষ পাতিত্ব আছে এমন অভিযোগ শোনা যায়৷ মেইতি সম্প্রদায়ের সবথেকে বড় সংঘটন কোকোমি হুমকি দিয়েছিল ৩০শে আগষ্টের মধ্যে বিষ্ণুপুরের আশে পাশে যত ব্যারিকেড আছে সব সরিয়ে দিতে হবে৷ মেইতিদের দাবী বিষ্ণুপুরের আসে পাশে সেনা আধা সেনার ব্যারিকেড থাকায় কুকিদের আক্রমনের জেরে যারা তিনমাসেরও বেশি গৃহ ছাড়া হয়ে আছে তারা পার্বত্য মনিপুরে ফিরতে পারছে না৷ সেনা আধা সেনার ব্যারিকেডের ফলে স্থানীয় মানুষেরও অবস্থা প্রায় গৃহবন্দি৷ এই অবস্থায় মেইতিদের ব্যারিকেড তুলে দেওয়ার দাবী না মানায় ৬ই সেপ্ঢেম্বর তারা মিছিলের ডাক দিয়েছিল৷ মিছিলে অশান্তির আশঙ্কায় প্রশাসন ৫ তারিখ সন্ধ্যা থেকে কার্ফু জারি করেছিল অশান্ত এলাকায়৷ কিন্তু এইদিন কার্ফু অমান্য করেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোবার চেষ্টা করে মেইতিদের মিছিল৷ মিছিলে অধিংকাংশই ছিল মহিলা৷ মিছিল আটকাতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে তাতে কাজ না হওয়ায় রবার বুলেটও ছোঁড়া হয়৷ ৪০ জন আহত হয় এই ঘটনায়৷ মেইতিদিদের সংঘটন কোকোমি জানায় তারা চুড়াচাঁদপুর জেলায় নিজেদের ফেলে আশা ঘর বাড়িতে যেতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হয়৷ পুলিশ প্রশাসনের আশঙ্কা মেইতিদের এই পদক্ষেপ সমস্যা আরও বাড়াবে৷ সেই কারণেই কার্ফু জারি৷