আশ্বাস কমিটির প্রশ্ণে নীরব সরকার - দেশে ‘দরিদ্র’ কারা?

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

দেশে গরিব মানুষ কারা তা জানতে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী টাস্ক ফোর্স তৈরী করেছিলেন৷ সেই টাস্ক ফোর্স যথা সময়ে কয়েকটি সুপারিশসহ তাদের প্রতিবেদন জমা দেন৷ সেই প্রতিবেদনে এখন ধুলোর পাহাড়৷ সংসদে একাধিকবার বিরোধীরা প্রশ্ণ তুলেছেন দেশে গরিব কারা? গরিবি ঠিক করার সংজ্ঞা কি হবে? কিন্তু কোনবারই সরকারের কাছ থেকে কোন জবাব আসেনি৷ প্রতিবারই সরকার জবাব এড়িয়ে গেছে৷ সংসদের আশ্বাস বিষয়ক স্থায়ী কমিটিও ১৫-১৬ বার এই প্রশ্ণ তুলেছে৷ কিন্তু প্রতিবারই সরকার উত্তর এড়িয়ে গেছে৷ সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয় সাধারণ মানুষের মাসিক খরচ হিসেব করে দারিদ্র চিহ্ণিত করার কাজ চলছে৷

এদিকে দরিদ্রসীমা তৈরী না হওয়ায় বহু গরিব মানুষ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ গত লোকসভা নির্বাচনের সময় নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় গত দশ বছরে দেশে বহু মানুষকে গরিবি থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে৷ কিসের ভিত্তিতে নীতি আয়োগ এই কথা বলছে এই প্রশ্ণ ওঠায় নীতি আয়োগের দাবী গত দশ বছরে দেশে মাথা পিছু আয় বেড়েছে ৩৪.৪ শতাংশ৷ এটাই গরিবি কমার প্রমাণ৷ যদিও মাথাপিছু আয় একটি গড় হিসাব এর মধ্যেও ধোঁকা আছে৷ তাছাড়া গত দশ বছরে মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেনি নীতি আয়োগ, গত করোনার সময় লক্‌ডাউনে গরিব মানুষের আয় কমেছে ধনকুবেরদের আয় বেড়েছে৷ তাছাড়া গরিবির সীমা নির্ধারণ করতে হলে প্রথমে আদমশুমারির কাজ শেষ করতে হবে৷ ২০১১ সালের আদমশুমারি মেনে কেন্দ্র প্রকল্প চালাচ্ছে৷ কিন্তু লোকগণনা না হওয়ায় বহু গরিব মানুষ সরকারী প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছে না৷

টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী প্রথমে দরিদ্রসীমা ও দরিদ্রের সংখ্যা স্থির করতে হবে৷ তবেই গরিব নির্দ্ধারণের নীতি তৈরী সম্ভব৷ টাস্কফোর্সের সুপারিশে এও বলা হয়েছে সরকার ইউ.পি.এ আমলের নীতি মেনে কাজ করতে না চাইলে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরী করে দরিদ্রসীমা নির্ণয় করুক৷