অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে রাষ্ট্র-ধর্ম পালনের আহ্বান ‘আমরা বাঙালীর’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিভেদমূলক ও প্ররোচনামূলক উক্তির তীব্রনিন্দা করে আমরা বাঙালী দলের অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন ---সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে, যেভাবে সংবিধান বহির্ভূত উক্তি আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অনবরত করে চলেছেন, তাতে রাজ্যজুড়ে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ যে কোন সময় সারা অসম অশান্ত হয়ে উঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷ কখনও খিলঞ্জীয়া, কখনও অসমীয়া, কখনও বাংলাদেশী, কখনও মিঞা ইত্যাদি উক্তি করে এক ন্যক্কারজনক বিভাজনের খেলা শুরু করেছেন৷ অসম একটি বহুভাষিক রাজ্য৷ এখানে বিভিন্ন জাতি, উপজাতির বাসভূমি৷  কে আদি বাসিন্দা আর কে খিলঞ্জীয়া তা সংবিধানে চিহ্ণিত করে দেয় নাই, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই মর্মে প্রতিদিন রেকর্ড বাজাচ্ছেন৷

সম্প্রতি মিঞা বলে এক জনগোষ্ঠীকে অভিহিত করে অনবরত বিষোদগার ছড়াচ্ছেন৷ এরা নাকি কৃষিপণ্যের মূল উৎপাদনকারী ও খুচরা বিক্রেতা৷ এদেরকে গুয়াহাটি শহর থেকে উৎখাত করতে অসমীয়া যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর নৃতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করা প্রয়োজন৷ কারণ নৃতত্ত্বের বিচারে মিঞা বলে কোনো জাতি ইতিহাসে নেই৷ এরা মূলত বৃহত্তর বাঙালী জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত একটি সম্প্রদায়৷ এদেরকে ব্যবহার করে অসমীয়া ভাষা স্বীকৃতি লাভ করেছে৷ চাপের কাছে এদেরকে অসমীয়া বানিয়ে রাখা হয়েছে৷ এরা ইসলাম ধর্মের লোক ও প্রকৃত অর্থে বাঙালি যা ঐতিহাসিকভাবে সত্য৷

তাই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার এসব বিভেদমূলক ও প্ররোচনামূলক উক্তির আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি৷ চাকুরী ক্ষেত্রে বাঙালীদের বঞ্চনা, এন.আর.সি, ডি ভোটার,ডিটেনশন ক্যাম্প, আধার কার্ড ইত্যাদি জনসমক্ষে ঝুলিয়ে না রেখে রাষ্ট্রধর্ম, রাজধর্ম পালন করতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা আহ্বান করছি৷