অষ্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সাধারণত দলের পাশেই থাকেন৷ সমালোচনা করলেও তা মৃদুই হয়৷ কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নারদের পারফরম্যান্স দেখে ক্ষুদ্ধ প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক তীব্র সমালোচনা করলেন৷ তাঁর প্রশ্ণ এটা কি আদৌ অষ্ট্রেলিয়ার দল?
গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ানরা এবার সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি৷ প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে শুরু করে বিশ্বকাপ অভিযান৷ দলের খেলায় অত্যন্ত হতাশ ক্লার্ক৷ তিনি বলেছেন--- ‘‘আমি মনে করি সাধারণভাবে অষ্ট্রেলিয়রা প্রবল চাপের মধ্যে, বড় মঞ্চে সব সময় ভাল করে৷ সব সময় লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে৷ আমরা হারতে ভয় পাই না৷ এই বিশ্বকাপে আমরা কি সেরা ১১ জন আগ্রাসী ক্রিকেটারকে দলে রেখেছিলাম? করে থাকলে আমাদের খেলা এত রক্ষণাত্মক কেন! এই দলের খেলা একদমই অস্ট্রেলীয়দের মতো নয়৷’’
মাঠে ফিঞ্চের দলকে দেখে অত্যন্ত সাধারণ বলে মনে হয়েছে৷ প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘এই রকম মানসিকতা নিয়ে বেশি কিছু করা যায় না৷ এরকম দলকে দিয়ে ঘর মোছানোও সম্ভব নয়৷ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ২০০ রান তুলে ওদের ১০০ রানের মধ্যে শেষ করে দেওয়ার কথা বলবে না অষ্ট্রেলিয়া! সেটা করতে গেলে যে আগ্রাসন দরকার হয়, সেটা এই দলের নেই৷ কারও মধ্যে আগুন নেই৷ মাঠে দেখে খুব অলস মনে হচ্ছিল ওদের৷’’ ফিঞ্চের দলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ান সুলভ আগুন না দেখে হতাশ প্রাক্তন অধিনায়ক৷
৪১ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটারের মতে আয়ারল্যাণ্ড, আফগানিস্তানের মতো তুলনায় দুর্বল দলগুলোর বিরুদ্ধেও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে ব্যর্থ হয়েছে ফিঞ্চরা৷ ক্লার্ক বলেছেন ‘‘গোটা ব্যাপারটা আমাকে হতাশ করেছে৷ ছোট দলগুলোর বিরুদ্ধে দলের পারফরম্যান্স দেখলে হতাশা আরও বাড়ছে৷ বুঝতেই পারছিলাম না, কাদের খেলা দেখছি, দেখে মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানকে হারাতেই ওরা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে ফেলছে!’’ নিজেদের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ৷ অথচ তারাই প্রতিযোগিতার শেষ চার দলের মধ্যে নেই ৷ আর প্রতিযোগিতার অন্যতম সফল দলের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না মাইকেল ক্লার্ক৷