‘অতি ভয়ানক’ দিল্লির বাতাস!

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গুণমান সূচক ৪৫০-এর নীচে নামলেও বিপদ কাটেনি৷ বুধবার দিল্লির বাতাসের গুণমাণ সূচক নামল ৫০০-র নীচে৷ তবে এখনই বিপদ কাটছে না রাজধানীর৷ সকাল থেকেই ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা দিল্লি এবং তার আশপাশের অঞ্চল৷ দৃশ্যমানতাও যথেষ্ট কম৷ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য বলছে, বুধবার সকালে রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক নেমেছে ৪২২ এ৷ সাধারণত বাতাসের গুণমানের সূচক ৪৫০ অতিক্রম করলেই তা ‘অতি ভয়ানক’ বলে বিবেচিত হয়৷ গত কয়েক দিন রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচকের মান ৪৫০-র কাঁটা পেরিয়ে গিয়েছিল৷ বুধবার সে তুলনায় কিছুটা কম হলেও বিপদসীমার খুব কাছে দিল্লির গুণমান৷ দূষণ হ্রাসের ইঙ্গিত মিললেও এখনও দিল্লির ১২টির বেশি জায়গার বাতাস ‘অতি ভয়ঙ্কর’ পর্য়ায়ে রয়েছে৷

গত কয়েক দিন ধরেই দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ তবে বুধবার বাতাসের গুণমান সূচক সামান্য উন্নতি হলেও বিপদ কাটেনি৷ রাজধানী ও সংলগ্ণ অঞ্চলে বাতাসের গুণমান পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ৩৫টি কেন্দ্র রয়েছে৷ তার মধ্যে প্রায় এক ডজন কেন্দ্রের বাতাসের গুণমান সূচক ভয়ানক পর্যায়ে রয়েছে৷ তবে দিল্লির রোহিণী, আনন্দ বিহার, অশোক বিহার, নরেলা, আলিপুর, সনিয়া বিহার, বাওয়ান, মুন্ডকা এবং জাহাঙ্গিরপুরীর মতো এলাকায় বাতাসের গুণমাণ সূচক ৪৫০-এর উপর৷ আবার কয়েকটি জায়গায় গুণমান সূচক ৫০০ ছুঁয়েছে৷ মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবারও দিল্লিতে ঘন কুয়াশা থাকবে৷ সর্র্বেচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরা ফেরা করবে৷

দিল্লির দূষণ মোকাবিলায় একাধিক কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷ চালু করা হয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের চতুর্থ স্তরের (সর্র্বেচ্চ) পদক্ষেপ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ বা জিআরএপি ৪)৷ সুপ্রিম কোর্ট সোমবারই নির্দেশ দিয়েছে, আদালতকে না জানিয়ে চতুর্থ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি শিথিল করা যাবে না৷

দূষণ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লির সমস্ত স্কুলে অনলাইন মাধ্যমে পঠনপাঠনের শুরু হয়েছে৷ এমনকি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলিতেও অনলাইন পঠনপাঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ অনলাইন ক্লাস হবে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও৷ শুধু দিল্লিতেই নয়, গুরুগ্রাম এবং নয়ডার স্কুলগুলিতেও অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে৷ ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন এবং বিমান পরিষেবা৷

একাধিক কড়াকড়ি জারি করেও দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসছে না৷ এমন পর্যায়ে রাজধানীতে প্রয়োজন কৃত্রিম বৃষ্টির৷ সেই কথা জানিয়েই মঙ্গলবার দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে৷ তাঁর আরও দাবি, এর আগে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর জন্য অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি৷ তাতে সাড়া মেলেনি৷ এ বার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মন্ত্রী৷