অ্যাডিনো ভাইরাস প্রসঙ্গে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

এটি একটি, ডি.এন.এ ভাইরাস, মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত৷ ‘এ’ ও ‘বি’৷ ‘এ’ ভাইরাসের ফলে শিশুদের  ডায়ারিয়া হয়৷ ‘বি’-এর ফলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়৷ ড্রপলেট ও ফিকলে রুটে এই সংক্রমন হতে পারে৷

অ্যাডিনো ভাইরাস সম্পর্কে সতর্কবার্র্ত---

* ভিড় এড়িয়ে চলুন, সুইমিংপুলে নামবেন না---করোনার মতোই আপাতত ভিড়যুক্ত এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে৷ মাস্ক পরতে হবে৷ বারে বারে হাত ধোয়া, হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার জরুরী৷

* ও আর এস ব্যবহার করতে হবে---ও.আর.এস ও তরল খাবার খেতে হবে৷ একটু বড় শিশুরা এই ভাইরাসে তেমনভাবে আক্রান্ত হচ্ছে না৷ হলেও সামান্য গলা ব্যাথার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷

* চার বছরের কমবয়সীরা বেশী আক্রান্ত ---চার বছরের কম বয়সের শিশুরা এই ভাইরাসে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে৷ পাঁচ বছরে শিশুর এ্যান্টিবডি তৈরী হয়ে যায়৷ তাদের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হবার আশঙ্কা অনেক কম৷ এছাড়া একেবারে সদ্যোজাত শিশুদের মেটারন্যাল এ্যান্টিবডি থাকে৷ ফলে তারাও সেভাবে আক্রান্ত হয় না৷ মূলত ছ মাস থেকে চার বছরের শিশুরাই বেশী আক্রান্ত হয়৷ এ্যাডিনোয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে হৃদযন্ত্র, মস্তিস্ক, যকৃৎ ও কিডনি৷ এই রোগের উপসর্গ হল শুকনো কাশি,প্রবল জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া৷ এমনটি হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ মোট কথা কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হবার আগেই দ্রুত  ব্যবস্থা নিতে হবে৷