ইউক্রেনে পারমাণবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুরোধ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ অন্যথায় আমেরিকা যে এমন কিছু ‘পদক্ষেপ’ নিতে বাধ্য হবে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেন না--- এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাইডেন৷ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধে সম্প্রতি কিছু অগ্রগতি লক্ষ্য করা গিয়েছে৷ ইউক্রেনের উত্তরপূর্ব সীমান্তে রুশ আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী৷ কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যাঘাতও করেছে তারা৷ এরপরেই ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন জানান, রুশ বাহিনীর উপর আঘাত হানা হলে রাশিয়া এমন জবাব দেবে, যা ইউক্রেন-সহ অন্যান্যরাও আশা করেনি৷ পুতিনের এই ‘অপ্রত্যাশিত’ জবারের মধ্যে পারমাণবিক কিংবা রাসায়নিক অস্ত্রের কৌশলগত প্রয়োগের করার সম্ভাবনা দেখেছিলেন কেউ কেউ৷ বাইডেন সংবাদ মাধ্যমে জানান ‘‘রাশিয়া যদি ইউক্রেনের উপর কোনও ‘চরম পদক্ষেপ’ নেয়, তবে তা যুদ্ধের অভিমুখকে সম্পূর্ণ বদলে দিতে পারে৷ ও তার যে পরিণতি হবে, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাতকেও ছাপিয়ে যাবে৷’’ রাশিয়াকে এমন কোনও পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করার পাশাপাশি প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রেখেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট৷ তবে সে ক্ষেত্রে ‘অভাবনীয় পদক্ষেপ’টি ঠিক কী, তা জানাননি বাইডেন৷ রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের সূচনাতেই পুতিন জানিয়েছিলেন---পশ্চিমী বিশ্বের তরফে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা হলে কিংবা কোন দেশের কার্যকলাপের জন্য রাশিয়ার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে রাশিয়ার তরফে এমন জবাব দেওয়া হবে, বিশ্ব ইতিহাসে যা আগে কখনও দেখা যায়নি৷ তবে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার প্রসঙ্গে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে মস্কো৷ তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পারমাণবিক বা রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাকি বিশ্বকে ভুল বোঝাচ্ছে আমেরিকার মতো কিছু দেশ৷
সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়