বাংলাদেশ কাণ্ডে সরব হল ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন৷ সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মৌলবাদী ও উগ্রবাদী সৃষ্ট চলমান হিংসা, বিদ্বেষ, মনীষীদের মূর্তি ভাঙচুর, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংখ্যা লঘুদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ বন্ধ ও ‘হিংসা নয় শান্তি’ এই বার্তা নিয়ে ১৪আগস্ট ২০২৪ ‘আমরা বাঙালী’ দল কলকাতার ‘বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে’র মারফৎ বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকটে স্মারকলিপি প্রদান করে ও কলকাতার বেক বাগানে একটি পথসভা করা হয় দলের তরফে৷ ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস ও কেন্দ্রীয় প্রকাশন সচিব প্রণতি পাল ‘বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে’ গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিবিকাশ সিনহা ও তপোময় বিশ্বাস জানান, বিগত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ সমাজ মাধ্যমে আপলোডেড ভিডিও, ছবি ও সংবাদ মাধ্যম মারফৎ বাংলাদেশের বহু হিংসাত্মক ঘটনাক্রম দেখে, জেনে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত৷ সংবাদে প্রকাশ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের কয়েকশো বাঙালী নারী, পুরুষ, শিশু হিংসার বলি হয়েছেন৷ একদল হিংসায় উন্মত্ত দুষৃকতি বাংলাদেশের সাধারণ নিরীহ বাঙালীদের ওপর চরম নির্যাতন চালাচ্ছে,সম্পদ-সম্পত্তি ধবংস করে সন্ত্রাস ও নির্যাতন-নিপীড়নের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছেন৷ এছাড়াও বিশ্ববরেণ্য মনীষী গণের মূর্তি, ছবি ভাঙচুর সহ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতেও সন্ত্রাসের কালো ছায়া নেমে এসেছে৷ এমতাবস্থায় বাংলা ও বাঙালীর কল্যাণে নিবেদিত সংবেদনশীল সংগঠন হিসেবে ‘আমরা বাঙালী’-র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সাধারণ, নিরীহ বাঙালীদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করা, বিশ্ববরেণ্য মনীষীদের অবমাননা অসম্মান রোধ করা, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার, মান-সম্ভ্রম, জীবন-জীবিকা, সম্পদ ও সম্পত্তির নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ সহ প্রকৃত দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবী এবং বাংলাদেশে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দ্রুত নাগরিকদের মনকে ভয় ও আতঙ্ক-মুক্ত করার আবেদন নিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার মারফৎ বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকট স্মারকলিপি প্রেরণ করি৷ এদিনের কর্মসূচিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব মোহনলাল অধিকারী, বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট প্রবীন আমরা বাঙালী নেতা বকুলচন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিব হিতাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়, সমতট সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ প্রমুখ৷