বাংলা দলের এ বারের অধিনায়ক মনোতোস চাকলাদার ও রয়েছে প্রিয়ন্ত সিংহ৷ এরা দুজনেই দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড়৷ বাকিরা সবাই প্রায় তরুণ৷ রঞ্জন জানালেন, দলে এই মূহূর্তে কোনও চোটের সমস্যাও নেই৷ আগামী ১৯ তারিখ থেকে যুবভারতীতে প্র্যাকটিস গ্রাউণ্ডে অনুশীলন করবে বাংলা৷
সন্তোষ ট্রফির ড্র হয়ে যাওয়ার পর, গ্রুপ এ-তে বাংলার সঙ্গে রয়েছে মেঘালয়, পঞ্জাব রাজস্থান ও কেরল৷ অনেকেই এদেরকে মারণ গ্রুপ বলছেন৷ যারা বলছেন তাদের কথা মানতে নারাজ বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য৷
এক্ষেত্রে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন--- ‘‘বাংলা সন্তোষ ট্রফি খেলতে নামে জেতার জন্যে৷ তাই কে আমাদের গ্রুপে আছে বা কে নেই সেটা নিয়ে একদমই মাথা ঘামাতে রাজি নই৷ প্রতিটা ম্যাচে জিততেই আমরা মাঠে নামব৷ বাংলাকে যদি জিততে হয় তা হলে কঠিন দলকেই হারাতে হবে কিন্তু আমার বিশ্বাস, গ্রুপে যারা রয়েছে তাদের হারাতে আমার সক্ষম হবে৷ ফলে প্রতিপক্ষ নিয়ে নয়, নিজেদের পরিকল্পনা নিয়েই বেশি ভাবছি৷ যাঁরা বলছে আমরা মারণ গ্রুপে রয়েছি, তাঁদের সঙ্গে আমি সহমত নই৷’’
পঞ্জাব, কেরলকে নিয়ে ভাবতে নারাজ হলেও সার্ভিসেসকে অবজ্ঞা করছেন না কোচ রঞ্জন৷ সার্ভিসেস গতবারের বিজয়ী৷ এ বার তারা একসঙ্গে রয়েছে৷ ফলে ওদের মধ্যে বোঝাপড়াও দারুণ৷ যদি প্রতিপক্ষ হিসাবে কোনও দলের নাম আলাদা করে বলতে হয়, তা হলে সার্ভিসেসের কথাই বলব৷ এ ছাড়াও দিল্লীকে সমীহ করতাম৷ ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরে ঘুরে ফুটবলার খুঁজে ওরা খেলিয়েছে৷ কিন্তু এ বার ওরা মূলপর্বে নেই৷ মণিপুর রয়েছে, কিন্তু ওরাও উল্টোদিকের গ্রুপে৷’’
রঞ্জনের মুখে উঠে এসেছে গুজরাতের কথাও৷ বলেছেন, ‘‘সন্তোষ ট্রফিতে অন্যতম সফল দল গোয়া৷ কিন্তু যোগ্যতা অর্জনের শেষ ম্যাচে ওরা গুজরাতের বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্ট করে হেরে যায়৷ মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি৷ ফলে আলাদা করে কোনও দলকেই শক্তিশালী বলতে রাজি নই৷ প্রতিপক্ষের থেকে বাংলা যাতে অন্তত ২-৩টে সুযোগও বেশি তৈরী করতে পারে ও কাজে লাগাতে পারে, সেই চেষ্টাই আমি করব৷ বাংলা বাংলার মতোই খেলবে৷’’