রাজ্যে এবার পঞ্চাশটিরও বেশী আসনে প্রার্থী দিয়ে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে ‘আমরা বাঙালী’দল৷ কেন্দ্রীয় সচিব বকুল রায় বলেন যেই ক্ষমতায় আসুক বাঙালীর ভাগ্য বিপর্যয়ের কোন সুরাহা হবে না৷ বাঙালী এই ভাতৃঘাতী আত্মকলহের রাজনীতি ত্যাগ না করলে বাঙালী জাতির অস্তিত্বের সংকট দেখা দেবে৷ তিনি বলেন অনেকেই অনেক প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাঙালীর বেশ ধরে বাঙলায় আসছেন৷ কে কতটা বাঙালী প্রেমিক সেটা ভোটের পরেই বোঝা যাবে৷ ‘আমরা বাঙালী’ দলের এখন একটাই কাজ, বাঙালী জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতিদের হাতের পুতুল৷ তাদের অঙ্গুলি হেলনে এইসব দলের নেতারা বাঙালীকে দল উপদল সম্প্রদায় বিভক্ত করে, ভাতৃঘাতী সংগ্রামে লিপ্ত রেখে শোষণের সুযোগ করে দিচ্ছে৷ বকুল রায় আক্ষেপ করে বলেন-বাঙালী কবে যে নিজের ভালোটা বুঝবে!
কেন্দ্রীয় কমিটির অপর সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ বলেন--- ধূতি পরে বাঙালী সাজলেই বাঙালী প্রেমিক হওয়া যায়না৷ নেহেরু থেকে নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে যেই আসুক বাঙলার প্রতি বঞ্চনার অবস্থান হয় না৷ প্রধানমন্ত্রী আজ ৫৬ ইঞ্চি ছাতি ফুলিয়ে বাঙালী সাজে ঘন ঘন বাঙলায় আসছেন৷
শ্রী জয়ন্ত দাশ প্রশ্ণ করেন--- বলুন তো আম্ফান বিপর্যয়ের পর উনি বিপর্যস্ত বাঙালীদের পাশে কবার এসেছিলেন৷ আজ সোনার বাঙলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন৷ এর আগে উনি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন-একটাও রাখেন নি৷ গুজরাটে তো উনি এক’দশকের বেশী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তা গুজরাট কি সোনার হয়েছে!
আম্বানি আদানির হাত ধরে সোনার বাঙলা গড়া যাবে না৷ এটা যে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি সেটা বাঙালী বোঝে৷ সোনার বাঙলা গড়তে হলে আম্বানি আদানির হাত ছেড়ে ওনাকে প্রাউটের পাঠ নিতে হবে৷ ব্লকে ব্লকে কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়ে শিল্প গড়ে প্রাউটের বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে রূপ দিয়ে সোনার বাঙলা গড়তে হবে৷ গুজরাট থেকে এসে বাঙালী পোষাকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলে সোনার বাঙলা গড়া যাবে না৷ শ্রী দাশ বলেন---বাঙালী যেদিন বিভেদের রাজনীতি ভুলে ‘আমরা বাঙালীকে বুঝবে জানবে আমরা বাঙালীর পতাকা হাতে ঐক্যবদ্ধ হবে-সেদিনই সোনার বাঙলা হবে৷ অন্য কোন পথ নেই৷