আবারও এক্সিট পোলকে মিথ্যে প্রমাণ করে বাঙলায় আধিপত্য বজায় রাখলো তৃণমূল৷ এ যেন ২০২১-এর পুনরাবৃত্তি৷ গোটা দেশে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছে৷ অব কি বার ৪০০ পার দুরস্ত্ একক গরিষ্ঠতাও পেলোনা বিজেপি৷ ২৪০সেই থেমে গেল বিজেপির রথ৷ ৩০০ পার হল না এন.ডি.এ জোট৷ গোটা দেশে ৬০টিরও বেশী আসন হারিয়েছে বিজেপি৷ উত্তর প্রদেশেও অখিলেশ যাদবের কাছে পরাজিত যোগী৷ প্রায় দ্বিগুন আসন বাড়িয়ে কংগ্রেস সংসদে ফিরে আসছে৷ মোদির পক্ষে রাহুল গান্ধীকে উপেক্ষা করা আর সহজ হবে না৷
এন.ডি.এ গরিষ্ঠতা পেলেও ইন্ডিয়া জোটও সরকার গড়ার খেলায় নামবে৷ এন.ডি .এ-র দুই প্রধান শরিক নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের অনেকেরই সম্পর্ক ভালো৷ এন.ডি.এ জোটে এই দুই দলের হাতেই আছে ৩১টি আসন৷ তাই ইন্ডিয়া জোটের থেকে একটা প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুকে এন.ডি.এ জোট থেকে বার করে আনা৷ তা সম্ভব হলে সরকার গড়ার কাছাকাছি চলে যাবে ইণ্ডিয়া জোটও৷ এই পরিস্থিতিতে মোদির পক্ষে দুই শরিককে সামলে সরকার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে৷ কারণ বিজেপির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এই দুই দলের দাবী মেনে চলা মোদির পক্ষে প্রায় অসম্ভব হবে৷ কারণ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দশ বছর মোদি শরিক দলকে সেভাবে পাত্তা দেয়নি৷ এবার ফল ভিন্ন, শরিক দলগুলো সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না৷ এতদিন তারা মোদির আস্ফালন বাধ্য হয়ে সহ্য করে গেছে৷ এবার তাদের চাহিদা পূরণ না হলে মোদিকে ছেড়ে কথা বলবে না৷ ইন্ডিয়া জোট এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতেই চাইবে মোদি, অমিত শাহ এটা ভালোভাবেই জানে৷ তাই চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই মোদি অমিত শাহ নীতিশ ও নাইডুর মনোভাব জানতে ফোন করেছেন৷ ইন্ডিয়া জোটের টীম গেমের কাছে পরাজিত হয়ে এখন মোদির পক্ষে শরিকদের সামলে সরকার চালাতেই হিমশিম খেতে হবে৷ একগুঁয়ে স্বভাবের মোদির পক্ষে যা প্রায় অসম্ভব৷