কেন তাঁকে বলা হয় ‘দ্য গ্রেট ওয়াল অব ইন্ডিয়া’, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন পিআর শ্রীজেশ৷ ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ২-১ লিড নিয়েও শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত স্বস্তিতে ছিল না ভারত৷ প্রত্যেক মুহূর্তেই গোল হজমের আশঙ্কা তাড়া করছিল৷ ডিফেন্সের ভুলে সুযোগও পায় স্পেন৷ কিন্তু তাদের যাবতীয় প্রয়াস রুখে দেন শ্রীজেশ৷ বিদায়ী মঞ্চকে স্মরণীয় করে রাখার কোনও সুযোগই হাতছাড়া করেননি ৩৬’এর ‘তরুণ’৷ বৃথা যায়নি লড়াই৷ স্পেনকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতে ভারত৷ সেই আনন্দে গোল পোস্টে চড়ে বসেন শ্রীজেশ৷ এটাই তো তাঁর সেলিব্রেশনের ট্রেডমার্ক স্টাইল৷ ওলিম্পিকসের আগেই শ্রীজেশ ঘোষণা করেছিলেন, পদক জিতেই শেন নদীর তীরে সুহানা সফর শেষ করতে চান৷ ইচ্ছা পূর্ণ হল৷ পোডিয়ামে পদক গলায় দাঁড়িয়ে হকিকে আলবিদা জানানোর মতো বিদায়ী মঞ্চ আর কী-ই বা হতে পারে৷ শ্রীজেশ সত্যিই ভাগ্যবান৷ তিনি আবেগাপ্লুত৷ আনন্দাশ্রুতে ভিজেছে চোয়াল৷ তা মুছে হাসি মুখে বুকে টেনে নিয়েছেন সতীর্থদের৷ সহযোদ্ধারাও ভালোবাসার বন্যায় ভরিয়ে দিয়েছেন বিদায়ী নায়ককে৷ দীর্ঘদিনের সম্পর্কের বিচ্ছেদ বেদনা যেমন শ্রীজেশকে তাড়া করছে, তেমনই মুহূর্তটাকেও উপভোগ করতে চাইছেন কেরলের হকি তারকা৷ তাঁর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ভারতীয় হকির ইতিহাসে৷
পদক জয়ের উৎসবে ভারতীয় খেলোয়াড়রা যখন আনন্দে আত্মহারা, তখন গ্যালারি গাইছে ‘চক দে ইন্ডিয়া...’৷ ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে আসছিল টোকিওর গেমসের স্মৃতি৷ জার্মানিকে হারিয়ে সেবারও ব্রোঞ্জ জিতেছিল ভারত৷ প্যারিসেও তাই৷ পর পর দুই ওলিম্পিকসে পদক, ৫২ বছরের রেকর্ড স্পর্শ করল টিম ইন্ডিয়া৷