এপ্রিল মাসে স্কুলগুলোর ক্লাসের দু’রকম দৈনিক রুটিন প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ রাজ্যের ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুলে এপ্রিলে একই সঙ্গে মর্নিং এবং ডে বিভাগের এই রুটিনে অভিনবত্ব দেখছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক---শিক্ষিকাদের অনেকেই৷ তবে ঠিক কী কারণে প্রাক---প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা ও সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে বিকেল সাডে ৩টে এই দু’রকম রুটিনের কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে শিক্ষক---শিক্ষিকাদের পাশাপাশি পড়ুয়া এবং অভিভাবকরাও কিছুটা ধন্দে৷
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুয়ায়ী, এ সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে৷ এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে আচমকা ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুলের জন্য দিনে দু’রকমের রুটিন প্রকাশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে৷
তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলছেন, ‘রাজ্যে বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, যেখানে ডে বিভাগে ষষ্ঠ থেকে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হয়৷ আবার গ্রীষ্মের ছুটির ঠিক আগে ও পরে বহু স্কুলেই ক্লাস হয় সকালে৷ তাদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ৷’
কলকাতার বেলেঘাটার শাস্ত্রীজি হরিজন বিদ্যামন্দিরের (বাংলা) প্রধান শিক্ষক সুজয় শিকদার বলেন, ‘প্রতি বছর গরমে বাড়তি ছুটিতে পঠন---পাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷ সে দিক থেকে পর্ষদের নির্দেশিকায় নতুনত্ব রয়েছে৷ এই রুটিনে ছাত্রছাত্রীদের উপকার হলে অবশ্যই স্বাগত৷’ যদিও এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেই শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের নেতা---নেত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষক---শিক্ষিকাদেরও দাবি৷ তাঁদের বক্তব্য, তাপপ্রবাহের দাপটের জেরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজ্য প্রশাসন একতরফা ভাবে বার বার স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে৷ এতে স্কুল স্তরের পঠন---পাঠনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷
অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাইয়ের অভিমত, প্রাথমিক স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে গরমে বাড়তি ছুটি কমিয়ে ক্লাস হওয়ার দিনের সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখতে মর্নিং সেশন শুরুর নির্দেশিকা জারি হলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও একই গাইডলাইন প্রয়োগ করা উচিত৷